স্কয়ার টয়লেট্রিজের সিইও হলেন মালিক মোহাম্মদ সাঈদ
Published: 9th, February 2025 GMT
স্কয়ার টয়লেট্রিজ লিমিটেডের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) হিসেবে পদোন্নতি পেয়েছেন মালিক মোহাম্মদ সাঈদ। ২০০২ সালে তিনি ব্র্যান্ড এক্সিকিউটিভ হিসেবে স্কয়ার টয়লেট্রিজ লিমিটেডে যোগ দেন। ২০ বছরেরও বেশি সময় ধরে এফএমসিজি সেক্টরে কাজের অভিজ্ঞতায় নিজেকে যেমন ঋদ্ধ করেছেন, তেমনি কোম্পানির প্রবৃদ্ধিতেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে আসছেন।
দীর্ঘ এই সময়ে তিনি চিফ অপারেশন অফিসার, হেড অব অপারেশন এবং হেড অব মার্কেটিংয়ের মতো নানা গুরুত্বপূর্ণ পদে আসীন ছিলেন। নেতৃত্বের গুণে ও শিল্পখাত সম্পর্কে গভীর জ্ঞানে স্কয়ার টয়লেট্রিজ লিমিটেডকে উত্তরোত্তর সমৃদ্ধির শিখরে নিয়ে যাওয়ার ক্ষেত্রে তাঁর ভূমিকা অগ্রগণ্য।
মালিক মোহাম্মদ সাঈদ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্যবসায় প্রশাসন ইনস্টিটিউট থেকে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন করেছেন। এরপর স্কয়ার টয়লেট্রিজ লিমিটেড পরিবারের সঙ্গে দীর্ঘ পথ পাড়ি দিয়ে তিনি বর্তমানে প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা হিসেবে নতুন দায়িত্ব গ্রহণ করেছেন। সংবাদ বিজ্ঞপ্তি
.উৎস: Samakal
এছাড়াও পড়ুন:
বর্জ্যের দূষণে নদীটি টিকে থাকবে তো?
দেশের নদ-নদীর বিপন্ন হওয়ার অনেকগুলো কারণের মধ্যে অন্যতম হচ্ছে নাগরিকদের জন্য কোনো কার্যকর বর্জ্য ব্যবস্থা না থাকা। ফলে জেলা-উপজেলার মফস্সল শহর ও পৌরসভা শহরগুলোর বর্জ্যের দিন শেষে স্থান হয় স্থানীয় নদ-নদীতে। এর ফলে নদ-নদীগুলো দূষিত হয় এবং দিন দিন বিপন্ন হওয়ার দিকেই ঝুঁকে। যেমনটি আমরা দেখছি নওগাঁ পৌর শহরের ছোট যমুনা নদীর ক্ষেত্রে। বিষয়টি সত্যিই দুঃখজনক।
প্রথম আলোর প্রতিবেদন জানাচ্ছে, নওগাঁ শহরের অন্তত ২৫টি স্থানে বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান, কলকারখানা ও বাসাবাড়ির বর্জ্য ফেলা হচ্ছে নদীর তীরে। এর ফলে নদীর পানি কালো হয়ে পড়েছে। আশপাশে মশা-মাছি উড়ছে। নদীতীরের বাসিন্দারা পড়েছেন দুর্ভোগে। অনেক স্থানে নদীর বাঁধ থেকে নদীর ভেতরের অংশে বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান, চালকল গড়ে তোলা হচ্ছে। এগুলো থেকে বর্জ্য সরাসরি নদীতে ফেলা হচ্ছে। পরিবেশ আন্দোলনের কর্মীরা বলছেন, দীর্ঘদিন ধরে ছোট যমুনা নদীর তীরে ময়লা-আবর্জনা ফেলা হচ্ছে। প্রশাসন ও পৌর কর্তৃপক্ষের অবহেলা ও বাসিন্দাদের অসচেতনতার কারণে নদীটি দূষিত হচ্ছে। বর্জ্য ফেলার কার্যক্রম বন্ধ করা না হলে দূষণ আরও ভয়াবহ হবে।
নওগাঁ শহরের পারঘাটি ধোপাপাড়া এলাকার এক বাসিন্দার বক্তব্য, ‘শহরের অন্যান্য এলাকায় বাসাবাড়ি থেকে পৌরসভার পরিচ্ছন্নতাকর্মীরা ময়লা-আবর্জনা নিয়ে যান। কিন্তু আমাদের এলাকায় বাসাবাড়ি থেকে ময়লা-আবর্জনা নেওয়া হয় না। এ ছাড়া আশপাশে ডাস্টবিনও নেই। ফলে বাধ্য হয়ে বাসাবাড়ির বর্জ্য নদীর তীরে গিয়ে ফেলছেন বাসিন্দারা।’
নদী সংগঠকদের মতে, শুধু ছোট যমুনা নদী নয়, সারা দেশেই নদীগুলোর একই অবস্থা। নদী হচ্ছে জীবন্ত সত্তা। মানুষের প্রয়োজনেই নদীকে বাঁচাতে হবে। নদী রক্ষায় স্থানীয় প্রশাসনকে উদ্যোগ নেওয়ার জন্য হাইকোর্টের আদেশও আছে। কিন্তু প্রশাসন, সিটি করপোরেশন ও পৌরসভার অবহেলা ও স্থানীয় বাসিন্দাদের অসচেতনতার কারণে নদীগুলোর অবস্থা দিন দিন আরও খারাপ হচ্ছে।
নওগাঁ পৌরসভার প্রশাসকের বক্তব্য, পৌরসভার জনবলসংকটের কারণে এখনো অনেক এলাকার সব বাসাবাড়ি ও ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান থেকে বর্জ্য সংগ্রহ করা যাচ্ছে না। দূষণ রোধ করতে নদীতীরে ময়লা আবর্জনা না ফেলার জন্য বিভিন্ন স্থানে মাইকিং করা হয়েছে। কারও বিরুদ্ধে নদীদূষণের সুনির্দিষ্ট প্রমাণ মিললে ভ্রাম্যমাণ আদালত বসিয়ে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে তিনি জানান।
আমরা আশা করব, দ্রুত জনবলসংকট কাটিয়ে বর্জ্য সংগ্রহের কার্যক্রমকে বেগবান করা হবে। পৌরবাসীর মধ্যে সচেতনতা বৃদ্ধিতে স্থানীয় পরিবেশবিষয়ক ও সামাজিক সংগঠনগুলোকে এবং শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোকে সম্পৃক্ত করতে হবে। সর্বোপরি কার্যকর বর্জ্য ব্যবস্থাপনা তৈরিতে পরিকল্পনা গ্রহণ ও তা বাস্তবায়নে সচেষ্ট থাকতে হবে।