জুলাই গণহত্যার মামলায় দুই পুলিশসহ আরও ৭ জনের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা
Published: 9th, February 2025 GMT
সানবিডি২৪ এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি ফলো করুন
গত বছরের জুলাই-আগস্টে সংঘটিত গণঅভ্যুত্থানে গণহত্যার অভিযোগে হওয়া মামলায় দুই পুলিশ সদস্যসহ আরও ৭ জনের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেছেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল। এছাড়া একজন পুলিশ কনস্টেবলকে জিজ্ঞাসাবাদের অনুমতি দেওয়া হয়েছে।
রোববার (৯ ফেব্রুয়ারি) জুলাই গণহত্যার মামলায় মিরপুর, রামপুরা ও উত্তরার ঘটনায় এ গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করা হয়।
জুলাই-আগস্টে গণঅভ্যুত্থান চলাকালে সংঘটিত সবচেয়ে বেশি নৃশংসতার ঘটনা সংক্রান্ত কয়েকটি মামলার তদন্ত এ মাসেই শেষ হচ্ছে উল্লেখ করে ট্রাইব্যুনালের প্রসিকিউশন জানায়, এখন পর্যন্ত ১৮ মামলায় ১১৫ জনকে বিচারের মুখোমুখি করা হয়েছে। এর মধ্যে ৫২ জন আওয়ামী লীগের নেতাকর্মী, ৪৫ জন আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য এবং ৯ জন সাবেক সেনা কর্মকর্তা। মোট আসামির মধ্যে এখন পর্যন্ত গ্রেফতার হয়েছেন ৩৫ জন।
রোববার এসব মামলার তদন্তের অগ্রগতি জানতে চান আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল। প্রসিকিউটর গাজী এম এইচ তামিম জানান, এ মাসেই কয়েকটি মামলার তদন্ত রিপোর্ট দাখিল করা হবে।
প্রসিকিউটর বি এম সুলতান মাহমুদ জানান, জুলাই-আগস্টের গণহত্যার মামলায় মিরপুর, রামপুরা, উত্তরার ঘটনায় নতুন করে ৭ জনের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেছেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল। এর মধ্যে ২ জন পুলিশ সদস্য এবং ৫ জন আওয়ামী লীগের নেতাকর্মী।
এছাড়া, ৫ আগস্ট রাজধানীর চানখারপুলে নির্বিচারে গুলির সঙ্গে জড়িত পুলিশ কনস্টেবল সুজনকে ৮ ঘণ্টা জিজ্ঞাসাবাদের অনুমতিও দিয়েছেন ট্রাইব্যুনাল।
এম জি
.উৎস: SunBD 24
কীওয়ার্ড: গণহত য র পর য় ন আগস ট
এছাড়াও পড়ুন:
সাংবাদিকদের বেতন বাড়াতে আরেকটি আন্দোলন করা উচিত: প্রেস সচিব
প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম বলেছেন, সংবাদকর্মীদের বেতন বাড়ানোর ক্ষেত্রে সাংবাদিক ইউনিয়ন ব্যর্থ। বাংলাদেশে সাংবাদিকদের রক্ত কীভাবে চুষে খাওয়া যায়, সেটা করা হচ্ছে। বছরের পর বছর চাকরি করলে বেতন দেয় না। বেতন বাড়ানোর জন্য আরেকটি আন্দোলন করা উচিত।
বুধবার (১২ মার্চ) বিকেলে জাতীয় প্রেস ক্লাবের জহুর হোসেন চৌধুরী হলে মাল্টিমিডিয়া রিপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশন’র উদ্যোগে আয়োজিত এক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, আমরা চাই প্রত্যেক সাংবাদিক যেন ভালো বেতন পান। মিনিমাম যাতে একটা ফ্লোর থাকে। দেশের সব সাংবাদিকের জন্য একটা ফ্লোর বেতন থাকতে হবে। একটা মিনিমাম বেসিক থাকতে হবে। এটা ৩০ অথবা ৪০ হাজার-ই হোক। এর নিচে নামা যাবে না। এর নিচে যে দেবে সে পত্রিকা বন্ধ করে দেওয়া উচিত।
প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব বলেন, শেখ হাসিনার আমলে গণমাধ্যমের কোনো স্বাধীনতা ছিল না। গণঅভ্যুত্থানে টেলিভিশন বা পত্রিকা নয়, মাল্টিমিডিয়া রিপোর্টাররাই অগ্রণী ভূমিকা পালন করেছে। গতকালও তারা আসল সত্য উন্মোচন করেছে। নাহলে শাহবাগের ঘটনায় পুলিশকেই দোষারোপ করা হতো। যাত্রাবাড়ী হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় মাল্টিমিডিয়া রিপোর্টারদের ভিডিও আন্তর্জাতিক প্রামাণ্যচিত্রের অন্যতম দলিল ছিল।
মাল্টিমিডিয়া রিপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি ফখরুল ইসলামের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক আক্তারুজ্জামানের সঞ্চালনায় এ সময় বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন সাংবাদিক কল্যাণ ট্রাস্টের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এম আবদুল্লাহ, ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি শহিদুল ইসলাম, জাতীয় নাগরিক পার্টির যুগ্ম সদস্য সচিব জয়নাল আবেদীন শিশির, জুলাই গণঅভ্যুত্থানের অন্যতম সংগঠক সাদিক কাইয়ুম, দৈনিক জনকণ্ঠ পত্রিকার উপদেষ্টা সাবরিনা বিনতে আহমেদ, দৈনিক জনকণ্ঠ পত্রিকার সিনিয়র রিপোর্টার ইসরাফিল ফরাজী, বাংলাদেশ গণতান্ত্রিক ছাত্র সংসদের মুখ্য সংগঠক তাহমীদ আল মুদ্দাসসীর চৌধুরী, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সহ সমন্বয়ক মুসাদ্দিক আলী ইবনে মোহাম্মদ প্রমুখ।
ঢাকা/রায়হান/এনএইচ