মাথা-গলা রক্তে ভেজা, গোডাউনে উপুড় হয়ে পড়ে ছিল ব্যবসায়ীর লাশ
Published: 9th, February 2025 GMT
দিনাজপুরের বিরলে একটি গোডাউন থেকে জাকির হোসেন (৫০) নামে এক চানাচুর ব্যবসায়ীর রক্তাক্ত মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
শনিবার রাতে উপজেলার পিপল্লা ঢেরাপাটিয়া বাজার নামক এলাকার গোডাউন থেকে মরদেহটি উদ্ধার করে বিরল থানা পুলিশ।
নিহত জাকির হোসেন দিনাজপুর সদর উপজেলার বালুয়াডাঙ্গা এলাকার মৃত আবুল কাশেমের ছেলে। ওই গোডাউন ঘরটিতে তিনি আটা, ময়দা ও চানাচুর তৈরি করে বিভিন্ন বাজারে সরবরাহ করতেন।
স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, জাকির হোসেনের একমাত্র মেয়ে আলমা রাইসা প্রভা ঢাকায় থাকেন। শনিবার দুপুর থেকে তিনি বাবার সঙ্গে মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করা চেষ্টা করছিলেন, কিন্তু মোবাইল নম্বর বন্ধ থাকায় বাবার প্রতিবেশির মোবাইলে বিষয়টি জানায়। সন্ধ্যায় প্রতিবেশী জাকির হোসেনের গোডাউন ঘরে প্রবেশ করে তাকে রক্তাক্ত অবস্থায় দেখতে পেয়ে স্থানীয়দের এবং পুলিশকে খবর দেয়। পরে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে মরদেহ উদ্ধার করে।
স্থানীয়রা জানায়, জাকির হোসেনের দুই বিয়ে। প্রথম স্ত্রী ক্যানসারে আক্রান্ত হয়ে মারা যাওয়ার পর তিনি দ্বিতীয় বিয়ে করেছিলেন। মাস দুয়েক আগে দ্বিতীয় স্ত্রীর সঙ্গে বিচ্ছেদ হয় তার। প্রথম স্ত্রীর গর্ভে এক কন্যা সন্তানের জন্ম হয়। সেই কন্যা সন্তান আলমা রাইসা প্রভা ঢাকার মোহাম্মদপুর এলাকায় থাকেন।
কথা হলে দিনাজপুর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) শেখ মো.
উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: মরদ হ
এছাড়াও পড়ুন:
ডিসেম্বরের মধ্যে জাতীয় নির্বাচনের ব্যাপারে আশ্বস্ত করেছেন প্রধান উপদেষ্টা: মির্জা ফখরুল
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, ‘প্রধান উপদেষ্টা আমাদের আশ্বস্ত করেছেন, তারা অতি দ্রুত নির্বাচনের ব্যবস্থা করছেন। ডিসেম্বরের মধ্যে নির্বাচনের ব্যবস্থা করার জন্য কাজ করছেন তারা’
আজ সোমবার সন্ধ্যায় প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে বৈঠকের পর সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ কথা বলেন।
মির্জা ফখরুল বলেন, অতি দ্রুত নির্বাচনের রোড ম্যাপ ঘোষণা করবে সরকার। ডিসেম্বরের মধ্যে নির্বাচন সম্পন্ন হবে বলে আমরা প্রত্যাশা করছি। জনগণও প্রত্যাশা করছে।
তিনি বলেন, ‘বিএনপির স্থায়ী কমিটির সভায় সিদ্ধান্ত হয়েছিল যে সার্বিক বিষয়ে দলের উদ্বেগের বিষয়গুলো প্রধান উপদেষ্টার কাছে তুলে ধরা হবে। একটি দায়িত্বশীল রাজনৈতিক দল হিসেবে এটা বিএনপির দায়িত্ব। বিএনপি সেই দায়িত্ব পালন করেছে।’
দেশে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি হয়েছে। সাম্প্রতিক ঘটনাগুলোর দায় সরকার এড়াতে পারে না বলেও জানান তিনি।
তিনি বলেন, যে ঘটনাগুলো ঘটেছে তার দায় সরকার এড়াতে পারে না। কারণ সরকারের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান, বিভিন্ন বাহিনীর সামনেই একের পর এক ঘটনা ঘটেছে, যার ফলে সার্বিকভাবে দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি যথেষ্ট বিপন্ন হয়েছে। ফ্যাসিবাদীরা এসব বিষয়ে কথা বলার সুযোগ পেয়েছে।
‘আমরা যেটা বারবার বলে এসেছি, এ সরকার অন্তর্বর্তী কালীন সরকার। সুতরাং দ্রুত নির্বাচনের জন্য আমরা তাদের আবারও তাগাদা দিয়েছি’ উল্লেখ করেন মির্জা ফখরুল। তিনি জানান, তারা ন্যূনতম সংস্কারের ক্ষেত্রে আলোচনার পর দ্রুত নির্বাচন দেওয়ার বিষয়ে বলেছেন।
মির্জা ফখরুল বলেন, ‘আমরা দ্রব্যমূল্যের ব্যাপারে কথা বলেছি। এ সরকারের অন্যতম বড় ব্যর্থতা দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণ করতে না পারা। তারা কাজ করছেন বলে আমাদের জানিয়েছেন।’ তিনি বলেন, বৈঠকে আইনশৃঙ্খলা রক্ষার বিষয়টি এসেছে। বিএনপি বলেছে, বিশেষ অভিযান ‘ডেভিল হান্টে’ যেন কোনো নিরপরাধ ব্যক্তি হয়রানির শিকার না হন।
সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘আমরা আগে স্থানীয় সরকার নির্বাচনের বিষয়ে কোনোভাবেই একমত হব না। আগে জাতীয় নির্বাচন দিতে হবে। এর আগে কোনো নির্বাচন হবে না। এটা আগেও পরিষ্কার করে বলেছি।’
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মেজর (অব.) হাফিজ উদ্দিন আহমেদ ও সালাহউদ্দিন আহমেদ এ সময় উপস্থিত ছিলেন।