দিনাজপুরের বিরলে একটি গোডাউন থেকে জাকির হোসেন (৫০) নামে এক চানাচুর ব্যবসায়ীর রক্তাক্ত মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ।

শনিবার রাতে উপজেলার পিপল্লা ঢেরাপাটিয়া বাজার নামক এলাকার গোডাউন থেকে মরদেহটি উদ্ধার করে বিরল থানা পুলিশ।

নিহত জাকির হোসেন দিনাজপুর সদর উপজেলার বালুয়াডাঙ্গা এলাকার মৃত আবুল কাশেমের ছেলে। ওই গোডাউন ঘরটিতে তিনি আটা, ময়দা ও চানাচুর তৈরি করে বিভিন্ন বাজারে সরবরাহ করতেন।

স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, জাকির হোসেনের একমাত্র মেয়ে আলমা রাইসা প্রভা ঢাকায় থাকেন। শনিবার দুপুর থেকে তিনি বাবার সঙ্গে মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করা চেষ্টা করছিলেন, কিন্তু মোবাইল নম্বর বন্ধ থাকায় বাবার প্রতিবেশির মোবাইলে বিষয়টি জানায়। সন্ধ্যায় প্রতিবেশী জাকির হোসেনের গোডাউন ঘরে প্রবেশ করে তাকে রক্তাক্ত অবস্থায় দেখতে পেয়ে স্থানীয়দের এবং পুলিশকে খবর দেয়। পরে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে মরদেহ উদ্ধার করে। 

স্থানীয়রা জানায়, জাকির হোসেনের দুই বিয়ে। প্রথম স্ত্রী ক্যানসারে আক্রান্ত হয়ে মারা যাওয়ার পর তিনি দ্বিতীয় বিয়ে করেছিলেন। মাস দুয়েক আগে দ্বিতীয় স্ত্রীর সঙ্গে বিচ্ছেদ হয় তার। প্রথম স্ত্রীর গর্ভে এক কন্যা সন্তানের জন্ম হয়। সেই কন্যা সন্তান আলমা রাইসা প্রভা ঢাকার মোহাম্মদপুর এলাকায় থাকেন।

কথা হলে দিনাজপুর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) শেখ মো.

জিন্নাহ আল মামুন জানান, খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে মরদেহের সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরি করে। নিহতের মরদেহ উপুড় অবস্থায় ছিল। মাথা ও গলা রক্তে ভেজা ছিল। ধারণা করা হচ্ছে, এটি একটি পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড। এই ঘটনায় প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে।

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: মরদ হ

এছাড়াও পড়ুন:

সড়ক অবরোধমুক্ত করতে যথাসাধ্য চেষ্টা করে সেনাবাহিনী

সড়ক-মহাসড়ক অবরোধ করলে দেশের অর্থনীতিসহ সব সেক্টরে নেতিবাচক প্রভাব পড়ে। সড়ক অবরোধমুক্ত করতে যথাসাধ্য চেষ্টা করে থাকে সেনাবাহিনী। যত কম সময়ের মধ্যে মুক্ত করা যায়– এ লক্ষ্যে সর্বাত্মক প্রচেষ্টা থাকে।

গতকাল বৃহস্পতিবার ঢাকা সেনানিবাসে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে সেনাসদর মিলিটারি অপারেশনস ডাইরেক্টরেটের স্টাফ কর্নেল মো. শফিকুল ইসলাম এসব কথা বলেন। তিনি বলেন, বিগত সময়ে শিল্পাঞ্চলে নিরাপত্তা নিশ্চিতে সেনাবাহিনী ১৩৭টি ঝুঁকিপূর্ণ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করেছে। ৩১ বার বিভিন্ন মূল সড়ককে অবরোধ থেকে অবমুক্ত করেছে।  

কর্নেল শফিকুল ইসলাম জানান, গত বছরের ৫ আগস্টের পর থেকে এখন পর্যন্ত ৭ হাজার ৮২২ জনকে গ্রেপ্তার করেছে সেনাবাহিনী। গত দুই মাসে নিয়ন্ত্রণ করেছে ২৩২টি বিশৃঙ্খল পরিস্থিতি। এর মধ্যে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান সংক্রান্ত ৩৭টি, সরকারি সংস্থা ও অফিস-সংক্রান্ত ২৪টি, রাজনৈতিক কোন্দল ৭৬টি এবং অন্য ঘটনা ৯৫টি। 

তিনি বলেন, সেনাবাহিনী দেশে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বজায় রাখাসহ বিদেশি কূটনীতিক ও দূতাবাসগুলোর সামগ্রিক নিরাপত্তা নিশ্চিতের কাজে নিয়োজিত রয়েছে। এ ছাড়া পার্বত্য চট্টগ্রামে শান্তি-শৃঙ্খলা বজায় রাখা এবং কক্সবাজার জেলায় এফডিএমএন ক্যাম্প এলাকার নিরাপত্তা বিধান করার দায়িত্বও সুষ্ঠুভাবে পালন করে যাচ্ছে।

এক প্রশ্নের জবাবে এই সেনা কর্মকর্তা বলেন, ম্যাজিস্ট্রেসি ক্ষমতা প্রয়োগে সেনাবাহিনী কোনো বাধা পাচ্ছে না। এই ক্ষমতা যেখানে যতটুকু ব্যবহারের দরকার, সেটা করা হচ্ছে। অপরাধী গ্রেপ্তারের পর অন্যান্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কাছে হস্তান্তরের পর বিচারকার্যে সেনাবাহিনীর কিছু করার থাকে না। 

গুজবে সেনাবাহিনী বিচলিত নয় জানিয়ে তিনি বলেন, সেনাবাহিনী একতাবদ্ধ হয়ে সরকারের নির্দেশে দেশ-জাতির পাশে থেকে কাজ করে যাচ্ছে। সততা, ন্যায়নীতি, প্রত্যয় ও সহনশীলতার সঙ্গে এটি করা হচ্ছে। 

শফিকুল ইসলাম বলেন, কিছুদিন আগেও দেখেছেন মার্চ ফর গাজা কর্মসূচিতে দীর্ঘ মিছিলে কালো পতাকাধারীদের রহিত করেছে সেনাবাহিনী। কালো পতাকাধারী হলেই জঙ্গি, এর প্রমাণ পাইনি। তবে এ ব্যাপারে সেনাবাহিনী সোচ্চার আছে।  

সেনাপ্রধানের রাশিয়া ও ক্রোয়েশিয়া সফর নিয়ে প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, বন্ধুপ্রতিম দেশে সেনাবাহিনী প্রধানের সফর একটি ‘রুটিন অ্যাফেয়ার’। সেখানে বেশ কয়েকজন উচ্চপদস্থ কর্মকর্তার সঙ্গে তাঁর সাক্ষাৎ হয়েছে। বেশ কিছু মিলিটারি ইন্ডাস্ট্রি পরিদর্শন করেছেন। এতে আমাদের সামরিক সহযোগিতা ও বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক প্রগাঢ় হবে বলে বিশ্বাস করি। 

সম্পর্কিত নিবন্ধ