দেশ বদলাতে হলে আগে রাজনৈতিক দলের সংস্কার প্রয়োজন: মান্না
Published: 9th, February 2025 GMT
এই দেশ বদলানো যাবে এবং সে বিশ্বাস রাখতে হবে। এ জন্য ভালো সরকার ও শাসক প্রয়োজন। আর সরকার ও শাসক তখনই ভালো হবে, যখন রাজনৈতিক দলগুলো ভালো হবে। কিন্তু সেই দলই যদি ২ নম্বর হয়, তাহলে আর তা হবে না। তাই সবার আগে রাজনৈতিক দলের সংস্কার প্রয়োজন। আর এটা দলগুলোকে নিজেদেরই করতে হবে।
আজ রোববার জাতীয়তাবাদী সাংস্কৃতিক ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবে ‘সংস্কার থেকে নির্বাচন কত দূর’ শীর্ষক গোলটেবিল আলোচনায় নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না এ কথা বলেন।
মান্না বলেন, রাষ্ট্রকে বাসযোগ্য করতে হলে পরিবর্তন লাগবেই। তিনি বলেন, ১৫ দিনের মধ্যে জাতীয় ঐকমত্য সম্ভব। এরপর ৪-৫ মাস পর নির্বাচন করা যেতে পারে। তবে নির্বাচনের আগে পুলিশকে বদলাতে হবে বলেও তিনি মনে করেন।
বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আবদুস সালাম বলেন, ‘বিভিন্ন পেশাজীবী, বিশেষজ্ঞ দিয়ে সংস্কার করা হচ্ছে। কিন্তু তাঁদের প্রস্তাবগুলোই যে ভালো হবে, তা তো কেউ বলতে পারে না। আমার জন্য সংস্কার হবে, আমি একটি কাপড় বানাব, আমি পরব; কিন্তু তা যদি দরজি নিজের মনমতো বানায়, তা কি আমার হবে? আমার তো মাপ নিতে হবে। মাপ ছাড়া বানালে গায়ে না–ও লাগতে পারে।’
বিএনপির এই নেতা বলেন, রাজনীতি করবেন রাজনীতিবিদেরা, রাষ্ট্র পরিচালনা করবেন রাজনীতিবিদেরা। মাঝেমধ্যে দুটি পক্ষ সৃষ্টির চেষ্টা করা হয় যে রাজনৈতিক দলগুলো বোধ হয় সংস্কার চায় না। কিন্তু ফ্যাসিবাদ ক্ষমতায় থাকতেই বিএনপি ৩১ দফা দেয়।
আবদুস সালাম আরও বলেন, বিএনপি ১৬ বছর ধরে আন্দোলন করে এসেছে। কিন্তু শেষের ৭ দিনে এসে আন্দোলন করে সবকিছু হয়ে গেল—এই চিন্তা করলে সব শেষ। স্বাধীনতাযুদ্ধে আওয়ামী লীগ ক্রেডিট নেওয়ার চেষ্টা করেছে। যুদ্ধের পর তারা সবকিছুকে আওয়ামীকরণের চেষ্টা করেছে।
আলোচনায় আরও অংশ নেন বিএনপির সহ-আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক নাহিদুল খান সাহেল, জাতীয়তাবাদী সাংস্কৃতিক ফাউন্ডেশনের ভাইস চেয়ারম্যান মতিউর রহমান, অধ্যাপক সুকুমার বড়ুয়া, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য জসিমউদ্দিন আহমদ প্রমুখ।
.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
বাংলাদেশের দ্বিতীয় স্বাধীনতাকে কাজে লাগাতে চায় এবি পার্টি
এবি পার্টির ভাইস চেয়ারম্যান কর্নেল (অব.) দিদারুল আলম বলেছেন, তাঁরা বাংলাদেশের দ্বিতীয় স্বাধীনতাকে কাজে লাগাতে চান। আগামী দিনের নতুন রাজনৈতিক বন্দোবস্ত এবি পার্টির নেতৃত্বেই হবে।
আজ বৃহস্পতিবার বিকেলে এবি পার্টির গণ–ইফতার কর্মসূচিতে সভাপতির বক্তব্যে এসব কথা বলেন দিদারুল আলম। পহেলা রমজান থেকে রাজধানীর বিজয়নগর এলাকায় গণ–ইফতারের আয়োজন করছে দলটি।
এ সময় প্রধান অতিথির বক্তব্যে ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) হাসান নাসির বলেন, ফ্যাসিবাদের দোসরদের বিচারের আওতায় আনতে হবে। রাজনীতি গণমুখী করতে হবে, নেতামুখী রাজনীতি বিলোপের এটাই উপযুক্ত সময়। আমূল সংস্কার ও বিচার না হওয়া পর্যন্ত নির্বাচন হতে দেওয়া যাবে না।
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে কর্নেল (অব.) হাসিনুর রহমান বলেন, ‘আমাদের একমাত্র শত্রু ভারত ও আওয়ামী লীগ। শত্রুদের কোনোভাবে গর্ত হতে বের হতে দেওয়া যাবে না। মাথা বের করলেই তা আবার গর্তে ঢুকিয়ে দিতে হবে।’
এবি পার্টির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আলতাফ হোসাইনের সঞ্চালনায় গণ–ইফতার অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন কর্নেল (অব.) ফেরদৌস আহমেদ, ক্যাপ্টেন (অব.) বিল্লাল আহমেদ, মেজর (অব.) আনিসুর রহমান প্রমুখ।