বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সিরাজগঞ্জ কমিটি বাতিল করে নতাুন কমিটি গঠেনের দাবি জানানো হয়েছে। ছয় ঘণ্টার মধ্যে কমিটি বিলুপ্ত না হলে ‘উত্তরবঙ্গ ব্লকেড’ কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে বলেও জানিয়েছেন সংগঠনটির নেতারা।

রবিবার (৯ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে সিরাজগঞ্জ শহরের নিউজ হোম কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে এই দাবি জানান বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতারা। 

সংবাদ সম্মেলনে নেতারা জানান, গত ৮ ফেব্রুয়ারি প্রকাশিত বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের গ্রুপে একটি বৈষম্য মূলক কমিটি প্রকাশিত হয়েছে। কমিটিতে সজিব সরকারকে আহ্বায়ক, মেহেদী হাসানকে সদস্য সচিব, ইকবাল হাসান রিপনকে মুখ্য সংগঠক ও টিএম মুশফিক সাদকে মুখপাত্র করা হয়েছে। ত্যাগী এবং বিপ্লবীদের বাদ রেখে এই কমিটি ঘোষণা করা হয়েছে। কোনো যাচাই বাছাই না করেই কমিটি ঘোষণা করা হয়েছে। সিরাজগঞ্জের গোয়েন্দা সংস্থা, মিডিয়া কর্মী, নিহতের পরিবার, আহত ও প্রশাসনের কাছে শুনে কমিটি পুনরায় গঠন করতে হবে।

তারা আরো জানান, রাজশাহী বিভাগের দায়িত্বরত সমন্বয় মাহিন সরকার ইতিপূর্বেও একাধিকবার আলোচনা সভা করলেও তিনি সার্বিক বিষয়ে অবহিত হওয়া সত্ত্বেও বৈষম্য মূলক কমিটি ঘোষণা করা হয়েছে। ছয় ঘণ্টার মধ্যে কমিটি বিলুপ্ত না হলে উত্তরবঙ্গ ব্লকেড কর্মসূচি দেওয়া হবে। 

এসময় নতুন ঘোষিত কমিটি থেকে ৩০ জন সদস্য পদত্যাগের ঘোষণা দেন। খুব শিগগিরি বৈষম্যবিরোধী কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে তাদের পদত্যাগপত্র পাঠানো হবে বলে জানান নেতারা।

সংবাদ সম্মেলনে স্বাস্থ্য উপ-কমিটির সিরাজগঞ্জ জেলা শাখার সদস্য মেহেদী হাসান মুনতাসির, মনসুর আলী মেডিকেল কলেজের ছাত্র প্রতিনিধি ইমরান হাসান, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতা আনজারুল ইসলাম, আবু হানিফ তালুকদার, রাজিতা ভূইয়া, পায়েল খান, আমানুল্লাহ আসিফ প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন। 

ঢাকা/অদিত্য/মাসুদ

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর স র জগঞ জ

এছাড়াও পড়ুন:

৭ বছর পর চুয়েট ছাত্রলীগের ছয় নেতার নামে মামলা

 চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (চুয়েট) ২০১৮ সালে দুই শিক্ষার্থীকে মারধর, চাঁদাবাজি এবং হত্যাচেষ্টার অভিযোগে দুটি মামলা হয়েছে। এতে নিষিদ্ধ ঘোষিত ছাত্র সংগঠন ছাত্রলীগের চুয়েট শাখার সাবেক ৬ নেতাকে আসামি করা হয়েছে। ঘটনার সাত বছর পর মামলা দুটি করেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০১৩-১৪ শিক্ষাবর্ষের কম্পিউটার বিজ্ঞান ও কৌশল বিভাগের শিক্ষার্থী মোহাম্মদ মাহমুদুল ইসলাম ও জামিল আহসান। 

রাউজান থানায় ওই মামলায় আসামিরা হলেন– চুয়েটের তৎকালীন ছাত্রলীগ নেতা সৈয়দ ইমাম বাকের, সাখাওয়াত হোসেন, অতনু মুখার্জি, নিলয় দে, মেহেদী হাসান ফরহাদ ও মোহাম্মদ ফখরুল হাসান ফাহাদ। এ ছাড়া অজ্ঞাতপরিচয় আরও ২০-৩০ জনকে আসামি করা হয়েছে। 

জামিল সমকালকে বলেন, নির্যাতন শেষে বাকের বলেছিল, হাসিনা আরও ১০ বছর ক্ষমতায় থাকবে। অর্থাৎ তারা ভেবে নিয়েছিল ওই নির্যাতনের জন্য তাদের কখনও জবাবদিহি করতে হবে না। এজন্যই মামলাটি করেছি। 

মামলায় কারণে শিক্ষাজীবন শেষ করতে পারেননি মাহমুদুল। তিনি বলেন, ওই ঘটনার ব্যাপক প্রভাব পড়েছে আমার জীবনে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ