নিষিদ্ধ সংগঠনের সোহরাওয়ার্দী কলেজ শাখার নেতা গ্রেপ্তার
Published: 9th, February 2025 GMT
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে হত্যাকাণ্ডসহ একাধিক মামলায় নিষিদ্ধ সংগঠন ছাত্রলীগের সরকারি শহীদ সোহরাওয়ার্দী কলেজ শাখার সহ-সভাপতি ইমরান হোসেন ইমুকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
শনিবার (৮ ফেব্রুয়ারি) রাতে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে রাজধানীর পুরান ঢাকার লক্ষ্মীবাজার এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে সূত্রাপুর থানা পুলিশ। গ্রেপ্তারের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন সূত্রাপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সাইফুল ইসলাম।
ইমরান হোসেন ইমু সোহরাওয়ার্দী কলেজের সমাজকর্ম বিভাগের ২০১৭-১৮ সেশনের ছাত্র ছিলেন। তার গ্রামের বাড়ি গাইবান্ধা জেলার ফুলছড়িতে।
পুলিশ জানায়, গত ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর থেকে পলাতক ছিলেন ছাত্রলীগের এই নেতা। তাকে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে হত্যা মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে। গত বছর ২০ আগস্ট মোছা.
সূত্রাপুর থানার ওসি মো. সাইফুল ইসলাম জানান, ইমরানকে গোপন সংবাদের ওপর ভিত্তি করে নগরীর লক্ষ্মীবাজার এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। রবিবার (৯ ফেব্রুয়ারি) তাকে আদালতে চালান দেওয়া হবে।
ঢাকা/ইয়াছিন/মেহেদী
উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
৭ বছর পর চুয়েট ছাত্রলীগের ছয় নেতার নামে মামলা
চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (চুয়েট) ২০১৮ সালে দুই শিক্ষার্থীকে মারধর, চাঁদাবাজি এবং হত্যাচেষ্টার অভিযোগে দুটি মামলা হয়েছে। এতে নিষিদ্ধ ঘোষিত ছাত্র সংগঠন ছাত্রলীগের চুয়েট শাখার সাবেক ৬ নেতাকে আসামি করা হয়েছে। ঘটনার সাত বছর পর মামলা দুটি করেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০১৩-১৪ শিক্ষাবর্ষের কম্পিউটার বিজ্ঞান ও কৌশল বিভাগের শিক্ষার্থী মোহাম্মদ মাহমুদুল ইসলাম ও জামিল আহসান।
রাউজান থানায় ওই মামলায় আসামিরা হলেন– চুয়েটের তৎকালীন ছাত্রলীগ নেতা সৈয়দ ইমাম বাকের, সাখাওয়াত হোসেন, অতনু মুখার্জি, নিলয় দে, মেহেদী হাসান ফরহাদ ও মোহাম্মদ ফখরুল হাসান ফাহাদ। এ ছাড়া অজ্ঞাতপরিচয় আরও ২০-৩০ জনকে আসামি করা হয়েছে।
জামিল সমকালকে বলেন, নির্যাতন শেষে বাকের বলেছিল, হাসিনা আরও ১০ বছর ক্ষমতায় থাকবে। অর্থাৎ তারা ভেবে নিয়েছিল ওই নির্যাতনের জন্য তাদের কখনও জবাবদিহি করতে হবে না। এজন্যই মামলাটি করেছি।
মামলায় কারণে শিক্ষাজীবন শেষ করতে পারেননি মাহমুদুল। তিনি বলেন, ওই ঘটনার ব্যাপক প্রভাব পড়েছে আমার জীবনে।