বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে হত্যাকাণ্ডসহ একাধিক মামলায় নিষিদ্ধ সংগঠন ছাত্রলীগের সরকারি শহীদ সোহরাওয়ার্দী কলেজ শাখার সহ-সভাপতি ইমরান হোসেন ইমুকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

শনিবার (৮ ফেব্রুয়ারি) রাতে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে রাজধানীর পুরান ঢাকার লক্ষ্মীবাজার এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে সূত্রাপুর থানা পুলিশ। গ্রেপ্তারের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন সূত্রাপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সাইফুল ইসলাম। 

ইমরান হোসেন ইমু সোহরাওয়ার্দী কলেজের সমাজকর্ম বিভাগের ২০১৭-১৮ সেশনের ছাত্র ছিলেন। তার গ্রামের বাড়ি গাইবান্ধা জেলার ফুলছড়িতে।

পুলিশ জানায়, গত ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর থেকে পলাতক ছিলেন ছাত্রলীগের এই নেতা। তাকে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে হত্যা মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে। গত বছর ২০ আগস্ট মোছা.

নাসরিন বেগম বাদী হয়ে সূত্রাপুর থানায় এ মামলা করেন। এছাড়া তার বিরুদ্ধে একাধিক মামলা রয়েছে।

সূত্রাপুর থানার ওসি মো. সাইফুল ইসলাম জানান, ইমরানকে গোপন সংবাদের ওপর ভিত্তি করে নগরীর লক্ষ্মীবাজার এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। রবিবার  (৯ ফেব্রুয়ারি) তাকে আদালতে চালান দেওয়া হবে।

ঢাকা/ইয়াছিন/মেহেদী

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর

এছাড়াও পড়ুন:

ভারতকে খুশি করাই ছিল আ.লীগের কাজ: রেজাউল করিম

ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের আমির ও চরমোনাইয়ের পীর মুফতি সৈয়দ মুহাম্মদ রেজাউল করিম বলেছেন, “বাংলাদেশের কল্যাণের জন্য কোনো কাজ করেনি আওয়ামী লীগ। তাদের কাজ ছিল ভারতকে খুশি করা। গোপনে বাংলাদেশের জনগণকে না জানিয়ে বাংলাদেশের ক্ষতি হয় এমন বহু চুক্তি করেছে ফ্যাসিস্ট সরকার। সেই আওয়ামী লীগকে হটাতে বহু মানুষকে জীবন দিতে হয়েছে, বহু মানুষকে পঙ্গু হতে হয়েছে।”

সোমবার (১০ ফেব্রুয়ারি) বিকেল ৪টার দিকে পটুয়াখালীর কলাপাড়া কেন্দ্রীয় জামে মসজিদ মাঠে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ কলাপাড়া উপজেলা শাখার উদ্যোগে আয়োজিত জনসভায় তিনি এসব কথা বলেন।

মুহাম্মদ রেজাউল করিম বলেন, “ভারত স্বাধীনতার পর থেকেই বন্ধুত্বের পরিবর্তে অশান্তির পরিবেশ তৈরি করে রেখেছে। যখনই ভারত অশান্তি করার চেষ্টা করেছে, তখনি ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের নেতাকর্মীরা তাদের প্রতিহত করেছে।” 

তিনি বলেন, “ইসলামী আন্দোলন গতানুগতিক রাজনৈতিক কোনো দল নয়। যখনই দেশের বিরুদ্ধে কোনো ষড়যন্ত্রের গন্ধ পাই, তখনি আমরা লংমার্চসহ আন্দোলন করি। ৫ আগস্ট সর্বপ্রথম আমরা ব্যানার নিয়ে স্লোগান দিয়ে মাঠে নামি বৈষম্যবিরোধী ছাত্রদের পক্ষে কাজ করার জন্য। বর্তমানে বিএনপি বলছে, তারা নাকি সর্বপ্রথম বৈষম্যবিরোধী ছাত্রদের সমর্থন করেছে।”

ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ কলাপাড়া উপজেলা ও পটুয়াখালী জেলা শাখার সভাপতি মুফতি হাবিবুর রহমানের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন দলটির কেন্দ্রীয় কমিটির প্রেসিডিয়াম সদস্য অধ্যাপক মুহাম্মাদ মাহবুবুর রহমান, কেন্দ্রীয় কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক উপাধ্যক্ষ মুহাম্মাদ সিরাজুল ইসলাম, কেন্দ্রীয় কমিটির সিনিয়র সহ-সভাপতি মাওলানা কাজী গোলাম সরোয়ার ও পটুয়াখালী জেলা শাখার সেক্রেটারি মাওলানা মো. নজরুল ইসলাম। 

ঢাকা/ইমরান/মাসুদ

সম্পর্কিত নিবন্ধ