Risingbd:
2025-04-18@14:20:48 GMT

ট্রাব অ্যাওয়ার্ড পেলেন ডন

Published: 9th, February 2025 GMT

ট্রাব অ্যাওয়ার্ড পেলেন ডন

টেলিভিশন রিপোর্টার্স ইউনিটি অব বাংলাদেশ (ট্রাব) অ্যাওয়ার্ড পেলেন সংগীতশিল্পী এফ এম ইকবাল বিন আনোয়ার (ডন)।

দেশের ক্রীড়াবান্ধব করপোরেট প্রতিষ্ঠান ওয়ালটনের জ্যেষ্ঠ নির্বাহী কর্মকর্তা হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন ডন। জনপ্রিয় এই ক্রীড়া সংগঠক ওয়ালটনের মাধ্যমে দেশের অবহেলিত ফেডারেশনগুলোকে পৃষ্ঠপোষকতা করে নিজেকে এবং নিজ প্রতিষ্ঠানকে যেমন অনন্য উচ্চতায় নিয়ে গেছেন; তেমনি গানের ভুবনে পা রেখে একের পর এক সাফল্যের পদচিহ্ন এঁকে চলেছেন।

সংগীতে অসামান্য অবদানস্বরূপ ট্রাব অ্যাওয়ার্ডে ভূষিত হোন ডন। এবার নামের পাশে সাফল্যের আরো একটি পালক যুক্ত করলেন। গতকাল (৮ ফেব্রুয়ারি) রাজধানীর প্যানপেসিফিক সোনার গাঁ হোটেলে জমকালো অনুষ্ঠানের মাধ্যমে ডনের হাতে এই পুরস্কার তুলে দেয়া হয়। সংগীত বিভাগে ডন ছাড়াও সায়েরা রেজা, শাহরিয়ার রাফাত, ইথুন বাবু, এফ এ সুমনের মতো জনপ্রিয় শিল্পীরাও এই অ্যাওয়ার্ডে ভূষিত হয়েছেন।

চলচ্চিত্র বিভাগে আজীবন সম্মাননা দেয়া হয় আশরাফ উদ্দিন আহমেদ উজ্জ্বল, আনোয়ারা বেগম ও মিশা সওদাগরকে। এছাড়া মেহজাবীন চৌধুরী, কুসুম সিকদার, রোশান, আনিকা কবির শখ, মিথিলা, রাশেদ মামুন অপু, ইমন, সাদিয়া জাহান প্রভাকে পুরস্কার দেয়া হয়।  

পুরস্কার প্রাপ্তির পর অভিব্যক্তি প্রকাশ করে কণ্ঠশিল্পী ডন বলেন, “সংগীতে এটাই প্রথম নয়, এর আগেও একাধিক পুরস্কার পেয়েছি। তবে এবারের পুরস্কার আমাকে সংগীতের প্রতি আরো বেশি উৎসাহিত করবে। নতুন কিংবা মৌলিক গান সবাইকে উপহার দেয়ার ব্যাপারে আগ্রহী করে তুলবে।”

ঢাকা/রাহাত/শান্ত

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর

এছাড়াও পড়ুন:

মেয়ের উত্ত্যক্তের প্রতিবাদ করায় বাবাকে হত্যা: গ্রেপ্তার ১ 

রাজশাহী নগরীর তালাইমারি এলাকায় মেয়েকে উত্ত্যক্তের প্রতিবাদ জানানোয় বাবাকে মাথা থেতলে হত্যা করে বখাটেরা। এই ঘটনায় আসামিদের ধরতে প্রশাসনকে ২৪ ঘণ্টা সময় বেঁধে দেয় নিহতের এলাকাবাসী। নির্ধারিত সময়ের মধ্যে একজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। বিষয়টি শুক্রবার সন্ধ্যায় নগরীর বোয়ালিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোস্তাক হোসেন নিশ্চিত করেছেন।

বোয়ালিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোস্তাক হোসেন সমকালকে বলেন, মামলার আসামি রুমেলকে (২৫) গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে রাজশাহীর তালাইমারি শহীদ মিনারের বাবর রোডের মাথা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। অন্য আসামিদের গ্রেপ্তার করার জন্য অভিযান চলছে।

এই মামলার অন্য আসামিরা হলেন- তালাইমারি শহিদ মিনার এলাকার কালু মিয়ার ছেলে নান্টু (২৮), মৃত রতনের ছেলে মো. বিশাল (২৮), মৃত আবদুস সাত্তারের ছেলে মো. খোকন মিয়া (২৮)। এছাড়া তালাইমারি বাবর আলী রোড এলাকার শাহীনের ছেলে তাসিন হোসেন (২৫), মো. অমি (২৫), জামালের ছেলে মো. নাহিদ (২৫), পিরুর ছেলে মো. শিশির (২০)।

নিহত আকরাম আলী (৫২) পেশায় একজন বাস চালক। তিনি রাজশাহী মহানগরীর তালাইমারি শহীদ মিনার এলাকার বাসিন্দা ছিলেন। তার মেয়ে রাকিয়া ওরফে আলফি নগরীর অগ্রণী বিদ্যালয় ও মহাবিদ্যালয়ের মেধাবী ছাত্রী। আলফিকে নিয়মিতই উত্ত্যক্ত করে আসছিল নান্টু ও তার সহযোগীরা। সর্বশেষ গত বুধবার বিকেলে ভুক্তভোগী আলফি কোচিং করে বাসায় ফেরার পথে নান্টু তাকে উত্ত্যক্ত করে। ভুক্তভোগী বাসায় এসে এই বিষয়ে জানালে তার বাবা অভিযুক্ত নান্টুর বাসায় বিচার দেয়। পরে, নান্টু ও তার সহযোগীরা সেদিন রাতে রাজশাহী মহানগরীর তালাইমারি শহীদ মিনার এলাকায় হাতে লোহার রড, বাঁশের লাঠি, কাঠের লাকড়ি, ইটের আধলা নিয়ে ভুক্তভোগীর বড় ভাই ইমান হাসানের ওপর আক্রমণ করে। এসময় নান্টুর হুকুমে অন্য আসামিরা তাকে এলাপাতাড়িভাবে মারপিট করতে থাকে। প্রাণে বাঁচার তাগিদে চিৎকার করলে বাবা আকরাম বাঁচাতে এগিয়ে আসেন। তার বাবা এগিয়ে আসলে অভিযুক্ত নান্টুর হুকুমে আসামিরা এলোপাতাড়ি লাথি, কিল-ঘুষি মারতে থাকে। এ সময় ইটের আধলা দিয়ে হত্যার উদ্দেশে তার (আকরাম) মাথার পিছনে আঘাত করে। মাথায় গুরুতর জখম হয়। পরে তাকে উদ্ধার করে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালে নিলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। এ ঘটনায় নিহত আকরাম আলীর ছেলে ইমাম হাসান অনন্ত বাদী হয়ে গত বৃহস্পতিবার নগরীর বোয়ালিয়া থানায় সাতজনের নাম উল্লেখ করে ও অজ্ঞাত আর চার থেকে পাঁচজনকে আসামি করে মামলা দায়ের করেন। 

ইমাম হাসান অনন্ত সমকালকে বলেন, দ্রুত সময়ের মধ্যে আমার বাবার খুনিদের গ্রেপ্তার করে বিচারের আওতায় আনতে হবে। যারা গ্রেপ্তার হয়নি, তাদের দ্রুত গ্রেপ্তার করতে হবে। এই খুনিরা সমাজের জন্য বিপদজনক।

সম্পর্কিত নিবন্ধ