যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন ও সাবেক জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা জ্যাক সুলিভানের নিরাপত্তা ছাড়পত্র প্রত্যাহার করে নিয়েছেন দেশটির প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। গতকাল শনিবার হোয়াইট হাউসের কর্মকর্তারা এ খবর দিয়েছেন।

যাঁদের নিরাপত্তা ছাড়পত্র থাকে, তাঁরা যুক্তরাষ্ট্র সরকারের প্রবেশ সীমিত থাকা জায়গাগুলোতেও প্রবেশ করতে পারেন। আর যুক্তরাষ্ট্রের রীতি অনুযায়ী, দায়িত্ব ছাড়ার পরও সাবেক প্রেসিডেন্টরা কিছু গোয়েন্দা তথ্য পান।

এক দিন আগেই ট্রাম্প তাঁর পূর্বসূরি সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের নিরাপত্তা ছাড়পত্র প্রত্যাহার করে নিয়েছিলেন। গোয়েন্দা সংস্থাগুলোর কাছ থেকে বাইডেন আর প্রতিদিনের ব্রিফিংও পাবেন না।

বাইডেনের ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল লিসা মোনাকোর নিরাপত্তা ছাড়পত্রও প্রত্যাহার করে নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন হোয়াইট হাউসের কর্মকর্তারা। ২০২১ সালের ৬ জানুয়ারি ট্রাম্প–ভক্তদের যুক্তরাষ্ট্রের ক্যাপিটলে হামলার ঘটনায় বিচার বিভাগের প্রতিক্রিয়া ঠিক করতে সহায়তা করেছিলেন মোনাকো।

নিউইয়র্কের অ্যাটর্নি জেনারেল লেটিটিয়া জেমস ও ম্যানহাটানের ডিস্ট্রিক্ট অ্যাটর্নি আলভিন ব্রাগের নিরাপত্তা ছাড়পত্রও প্রত্যাহার করা হয়েছে। এই দুজনই ট্রাম্পের বিরুদ্ধে হওয়া মামলাগুলোয় রাষ্ট্রপক্ষের নেতৃত্ব দিয়েছিলেন।

যদিও এসব প্রত্যাহারের তাৎক্ষণিক প্রভাব বোঝা না-ও যেতে পারে, তবে এটা ওয়াশিংটনে বিভেদ বাড়ার আরও একটি উদাহরণ।

সাধারণত যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্টরা প্রতিদিনের গোয়েন্দা ব্রিফিং পান। সেগুলোর আলোকে বর্তমান প্রেসিডেন্টকে জাতীয় নিরাপত্তা ও বৈদেশিক নীতি বিষয়ে তাঁরা উপদেশ দিতে পারেন।

২০২১ সালে বাইডেনও সে সময়ে তাঁর পূর্বসূরি ট্রাম্পের নিরাপত্তা ছাড়পত্র প্রত্যাহার করে নিয়েছিলেন।

নিরাপত্তা ছাড়পত্র প্রত্যাহার করে নেওয়ার বিষয়ে প্রতিক্রিয়া জানতে রয়টার্স থেকে ব্লিঙ্কেনের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হয়েছিল, কিন্তু তাঁকে পাওয়া যায়নি।

আরও পড়ুন

বাইডেনের নিরাপত্তা ছাড়পত্র বাতিল করলেন ট্রাম্প, পাবেন না গোয়েন্দা সংস্থার ব্রিফিং

.

উৎস: Prothomalo

এছাড়াও পড়ুন:

মাথাপিছু আয় কমে ২,৭৩৮ ডলার, কমেছে প্রবৃদ্ধির হার

বাংলাদেশের মানুষের মাথাপিছু আয় এখন ২ হাজার ৭৩৮ মার্কিন ডলার। ২০২৩-২৪ অর্থবছরের চূড়ান্ত হিসাবে বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো (বিবিএস) এই তথ্য দিয়েছে। এই হিসাবে সাময়িক হিসাব থেকে মাথাপিছু আয় ৪৬ ডলার কমে গেছে। সাময়িক হিসাবে মাথাপিছু আয় ছিল ২ হাজার ৭৮৪ ডলার।

আজ সোমবার বিবিএস ২০২৩-২৪ অর্থবছরের মাথাপিছু আয়, মোট দেশজ উৎপাদনের (জিডিপি) চূড়ান্ত হিসাব দিয়েছে। সেখানে এই তথ্য পাওয়া গেছে। এই হিসাবে দেখা গেছে, ২০২৩-২৪ অর্থবছরে জিডিপি প্রবৃদ্ধির হারও কমেছে। সাময়িক হিসাবের চেয়ে কমেছে ১ দশমিক ৬০ শতাংশীয় পয়েন্ট।

মাথাপিছু আয় ব্যক্তির একক আয় নয়। দেশের অভ্যন্তরের আয়ের পাশাপাশি প্রবাসী আয়সহ যত আয় হয়, তা একটি দেশের মোট জাতীয় আয়। সেই জাতীয় আয়কে মাথাপিছু ভাগ করে এই হিসাব করা হয়।

বিবিএসের হিসাবে দেখা গেছে, তিন বছর ধরে দেশের মানুষের গড় মাথাপিছু আয় কমেছে। ২০২১-২২ অর্থবছরে মাথাপিছু আয় ছিল ২ হাজার ৭৯৩ ডলার, যা এযাবৎকালের সর্বোচ্চ। এরপর ২০২২-২৩ অর্থবছরের মাথাপিছু আয় কমে দাঁড়ায় ২ হাজার ৭৪৯ কোটি ডলার। গত অর্থবছরে তা আরও কমল।

মূলত ডলারের বিনিময় হার বেড়ে যাওয়ায় বিবিএসের হিসাবে মাথাপিছু আয় কমেছে। ২০২৩-২৪ অর্থবছরের মার্কিন ডলারের গড় বিনিময় হার ১১১ টাকা ৬ পয়সা হিসেবে ধরা হয়েছে। দুই বছরের বেশি সময় ধরে ডলারের বিনিময় হার বাড়ছে।

তবে টাকার হিসাবে মাথাপিছু আয় বেড়েছে, সেই হিসাবে মাথাপিছু আয় তিন লাখ টাকা ছাড়িয়ে গেছে। দেশের মানুষের মাথাপিছু আয় এখন ৩ লাখ ৪ হাজার ১০২ টাকা। ২০২২-২৩ অর্থবছরে মাথাপিছু আয় ছিল ২ লাখ ৭৩ হাজার ৩৬০ টাকা।

জিডিপি প্রবৃদ্ধি ৫ শতাংশের নিচে

বিবিএসের চূড়ান্ত হিসাবে ২০২৩-২৪ অর্থবছরে মোট দেশজ উৎপাদনের (জিডিপি) প্রবৃদ্ধি হয়েছে ৪ দশমিক ২২ শতাংশ। কয়েক মাস আগে দেওয়া সাময়িক হিসাবে এই হার ছিল ৫ দশমিক ৮২ শতাংশ। ফলে তিন বছরের মধ্যে সবচেয়ে কম জিডিপি প্রবৃদ্ধি হয়েছে ২০২৩-২৪ অর্থবছরে। এর আগে ২০২১-২২ অর্থবছরের ৬ দশমিক ২৬ শতাংশ এবং ২০২২-২৩ অর্থবছরে প্রবৃদ্ধি হয়েছিল ৫ দশমিক ৩৭ শতাংশ।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • কমলো জিডিপি প্রবৃদ্ধি ও মাথাপিছু আয়
  • মাথাপিছু আয় কমেছে ৪৬ ডলার
  • মাথাপিছু আয় কমে ২,৭৩৮ ডলার, কমেছে প্রবৃদ্ধির হার