বিনোদন ডেস্ক
১৯৮১ সালে ‘রকি’ ছবির হাত ধরে অভিনয় দুনিয়ায় পা রাখেন বলিউড তারকা সঞ্জয় দত্ত। প্রথম ছবিই হিট। তারপর আর তাঁকে পিছনে ফিরে তাকাতে হয়নি। ১৩৫টিরও বেশি ছবিতে অভিনয় করেছে তিনি। তাঁর একসময়ের ‘চকোলেট বয়’ ইমেজ বহু তরুণীর হৃদয়ে ঝড় তুলেছিল। সঞ্জয়ের মহিলা অনুরাগীর সংখ্যা নেহাত কম নয়। সম্প্রতি উঠে এসেছে সঞ্জয় দত্তের এমনই এক নারী ভক্তের কথা।
তিনি সঞ্জয়ের জন্য ঠিক কী করেছিলেন, জানলেও আপনিও অবাক হবেন। জানা যাচ্ছে, ঘটনাটি ঘটিয়েছিলেন সঞ্জয় দত্তের একনিষ্ঠ ভক্ত নিশা পাতিল। সেটা ছিল ২০১৮ সাল। সেবছর পুলিশের কাছ থেকে একটি ফোন পান সঞ্জয়। 
জানতে পারেন, তাঁর মহিলা অনুরাগী নিশা, নিজের মৃত্যুর আগে অভিনেতার নামে তাঁর কোটি টাকার সম্পত্তি উইল করে গিয়েছেন। নিশা পাতিলের মোট সম্পত্তির পরিমাণ ছিল ৭২ কোটি টাকা। এমনকি তিনি ব্যাঙ্কগুলিকেও চিঠি লিখে জানিয়েছিলেন যাতে তাঁর সমস্ত কিছু সঞ্জয় দত্তকে দিয়ে দেওয়া হয়। শুধু আমি বা আপনারা নন, এমন ঘটনা পুলিশের কাছ থেকে জানতে পেরে হতবাক হয়ে যান খোদ সঞ্জয় দত্তও। তবে অভিনেতা নিশাকে চিনতেন না কোনওভাবেই তাই তিনি সেই সম্পত্তির দাবিও করেননি।
ঘটনায় সঞ্জয় জানিয়েছেন, তিনি এমন ঘটনায় অভিভূত। এও জানিয়েছেন যে তিনি ব্যক্তিগতভাবে নিশাকে চিনতেন না। 
প্রসঙ্গত, বলিউড অভিনেতাদের মধ্যে অন্যতম জনপ্রিয় নাম সঞ্জয় দত্ত। ২০২৪ সালে তিনি দক্ষিণী ছবির দুনিয়াতেও পা রেখেছেন। দক্ষিণী তারকা যশের ‘কেজিএফ চ্যাপ্টার ২’ ও থলপতি বিজয়ের ‘লিও’তে অভিনয় করেছেন তিনি। আবার একাধিক ছবিতে বিনিয়োগ করে প্রযোজক হিসাবেও কাজ করেছেন তিনি। ব্যাক্তিগত জীবনে সঞ্জয় দত্ত নিজেই ২৯৫ কোটি টাকার মালিক। ছবি পিছু তিনি ৮-১৫ কোটি টাকা পারিশ্রমিক নেন বলে জানা যায়। তাঁর মুম্বই ও দুবাইতে বাড়ি ও গাড়ি সবই রয়েছে। একটি হুইস্কি ব্র্যান্ডের মালিক তিনি, আবার এক ক্রিকেট দলেরও সহ-মালিক। রয়েছে আরও একাধিক ব্যবসা। খবর হিন্দুস্থান টাইমসের। 

.

উৎস: Samakal

এছাড়াও পড়ুন:

আবাসিক হোটেল থেকে ৯ নারীসহ গ্রেপ্তার ১৬

বগুড়ায় মাটিডালির ড্রিম প্যালেস নামের এক আবাসিক হোটেলে অভিযান চালিয়ে অনৈতিক কাজে লিপ্ত থাকার অভিযোগ ৯ নারীসহ ১৬ জনকে আটক করেছে জেলা গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশ। গতকাল রোববার দিবাগত রাত ১২টার দিকে তাদের আটক করা হয়।

এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন বগুড়া গোয়েন্দা পুলিশের ইন্সপেক্টর রাকিব হোসেন। তিনি বলেন, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে শহরের মাটিডালী এলাকায় অবস্থিত হোটেল ড্রিম প্যালেসে অভিযান চালানো হয়। এসময় অনৈতিক কাজে লিপ্ত থাকার অভিযোগে ১৬ জনকে আটক করা হয়। 

তিনি আরও বলেন, আটক নারীদের বাড়ি বাগেরহাট, খুলনা, নওগাঁ, চাঁদপুর, গাজীপুর, নেত্রকোনা, শরীয়তপুর, দিনাজপুর ও গাইবান্ধা এলাকায়। অপরদিকে আটক পুরুষদের বাড়ি বগুড়ায়। তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন আছে। আটক নারীদের বগুড়া সদর থানার মাধ্যমে আদালতে পাঠানো হয়েছে।

অভিযোগ রয়েছে ওই আবাসিক হোটেলে এর আগেও আরও তিনবার অভিযান চালিয়ে একাধিক নারী-পুরুষকে গ্রেপ্তার করা হয়। হোটেলের মালিক সোহেল রানা ও ম্যানেজার মাহবুর রহমানের বিরুদ্ধে মামলাও হয়েছে। তারা আদালত থেকে জামিন নিয়ে এই অনৈতিক ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছেন।

সম্পর্কিত নিবন্ধ