গণঅধিকার পরিষদের অঙ্গ সংগঠন ছাত্র অধিকার পরিষদের কেন্দ্রীয় কমিটির মুক্তিযোদ্ধা ও স্বাধীনতা বিষয়ক সহ-সম্পাদক নিখোঁজ রবিউল আউয়াল অন্তরকে (৩০) উদ্ধার করেছে পুলিশ। অন্তর পটুয়াখালীর কলাপাড়ার লোন্দা গ্রামের বাসীন্দা 

রবিবার (৯ ফেব্রুয়ারি) সকাল সাড়ে ৬টার দিকে ঢাকার কামরাঙ্গীর চর এলাকার আশ্রাফাবাদ নবীনগর এলাকার একটি ঘর থেকে তাকে উদ্ধার করা হয়। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন কলাপাড়া থানার ওসি মো.

জুয়েল ইসলাম। 

আরো পড়ুন: গণঅধিকার পরিষদের নেতা নিখোঁজ, মোটরসাইকেল উদ্ধার

আরো পড়ুন:

ফেসবুকে সরকারবিরোধী পোস্ট শেয়ার, নিষিদ্ধ ছাত্রলীগের কর্মী আটক

নোয়াখালীতে গণপিটুনিতে নিহত এক

এর আগে, গত বৃহস্পতিবার মধ্যরাতে কলাপাড়া পৌর শহরের নিজ ব্যবসা প্রতিষ্ঠান থেকে বাড়ি ফেরার পথে নিখোঁজ হন অন্তর। সেসময় কলাপাড়া-পটুয়াখালী সড়কের রজপাড়া মাদরাসা সংলগ্ন সড়ক থেকে পার্কিং করা অবস্থায় তার ব্যবহৃত মোটরসাইকেল উদ্ধার করেছিল পুলিশ। এর কিছুটা দূর থেকে একটি হেলমেট উদ্ধার হয়। 

অন্তর নিখোঁজ হওয়ার পরপরই কলাপাড়া থানায় একটি জিডি হয়। এ ছাড়া, গত শুক্রবার অন্তরের বড় ভাই তুষার আল মামুন পায়রা তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের ৬ কর্মকর্তার নাম উল্লেখ করে থানায় মামলা করেন। অন্তর দীর্ঘদিন ধরে পায়রা তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রে ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের ক্ষতিপূরণ আদায় ও ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের সদস্যদের চাকরিসহ আট দফা দাবি আদায়ে আন্দোলন করে আসছিলেন বলে জানায় পরিবার।

অন্তরের বাবা মো. সোলাইমান বলেন, ‍“আমার ছেলে পায়রা তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রে ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের ক্ষতিপূরণ আদায়, ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের সদস্যদের চাকরিসহ আট দফা দাবি আদায়ে দীর্ঘদিন ধরে আন্দোলন করছেন। অন্তরকে পাওয়ার খবরে স্বজনরা শুকরিয়া আদায় করেছেন। কীভাবে তাকে উদ্ধার করা হয়েছে তা আমরা এখন পর্যন্ত জানতে পারিনি।” 

কলাপাড়া থানার ওসি জুয়েল ইসলাম বলেন, “পটুয়াখালী পুলিশ সুপার সাংবাদিক সম্মেলনের মাধ্যমে এ বিষয়ে বিস্তারিত ব্রিফ করবেন।

ঢাকা/ইমরান/মাসুদ

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর কল প ড়

এছাড়াও পড়ুন:

চাঁদাবাজি-সন্ত্রাসী-টেন্ডারবাজি শিবিরের আদর্শে নেই: নুরুল ইসলাম

শিক্ষপ্রতিষ্ঠানগুলোতে সন্ত্রাসী, চাঁদাবাজি, হল দখল, টেন্ডারবাজি- এসব শিবিরের আদর্শে নেই বলে মন্তব্য করেছেন সংগঠনটি কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক নুরুল ইসলাম সাদ্দাম।

বৃহস্পতিবার (১৩ মার্চ) বিকেল ৫টায় রাজধানীর জাতীয় আর্কাইভ ভবনের মিলনায়তনে শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রশিবিরের উদ্যোগে আয়োজিত এক ইফতার ও দোয়া মাহফিলে এসব মন্তব্য করেন তিনি। 

নুরুল ইসলাম সাদ্দাম বলেন, “১৯৭৭ সাল থেকে শিবিরের ব্যাপারে গুম, খুন, ধর্ষণ ও চাঁদাবাজির কোনো অভিযোগ নেই। রগকাটার মতো মিথ্যা অভিযোগ দিয়ে শিবিরের বিরুদ্ধে তরুণ প্রজন্মের কাছে একটি ন্যারেটিভ দাঁড় করানোর চেষ্টা করা হচ্ছে। এখন মানুষ সচেতন, শিবিরের কারিকুলাম ও আদর্শ বর্তমান প্রজন্মকে আকর্ষণ করছে।”

বস্তুবাদী শিক্ষাকে ধর্ষণের অন্যতম কারণ জানিয়ে তিনি বলেন, “নৈতিক ও ধর্মীয় শিক্ষার পরিবর্তে শুধু বস্তুবাদী শিক্ষা দেওয়া হচ্ছে। ফলে শত আন্দোলনেও এ সমাজ থেকে কখনও নারী নির্যাতন ও ধর্ষণ কমবে না। সমাজের মোরাল স্টান্ডার্ড নির্ভর করে শিক্ষার উপর।”

শেকৃবি শাখা শিবিরের সভাপতি আবুল হাসানের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক মেহেদী হাসান নাঈমের সঞ্চালনায় এতে বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ ছাত্রশিবির ঢাকা মহানগর পশ্চিমের সভাপতি এইচ এম সালাউদ্দিন, কৃষিবিদ গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ড. আলী আফজাল, শেকৃবির কৌলিতত্ব ও উদ্ভিদ প্রজনন বিভাগের অধ্যাপক ড. ফিরোজ মাহমুদ প্রমুখ।

এসময় শেকৃবি শাখা ছাত্রশিবিরের পক্ষ থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের নবীন (২৪ ব্যাচের) শিক্ষার্থীদের মাঝে পবিত্র কোরআন শরীফ বিতরণ করা হয়।

ঢাকা/মামুন/মেহেদী

সম্পর্কিত নিবন্ধ