ক্রিকেট ম্যাচ শুরুর বিলম্বের প্রধান কারণ সাধারণত বৃষ্টি, আলোকস্বল্পতা বা কুয়াশা। তবে ওমানের রাজধানী মাসকাটে আইসিসি ক্রিকেট বিশ্বকাপ লিগ ২-এর নবম রাউন্ডের ম্যাচে যে ঘটনা ঘটেছে, তা বেশ বিরল। ট্রাফিক জ্যামের কারণে নির্ধারিত সময়ে মাঠে পৌঁছাতে পারেনি যুক্তরাষ্ট্র ও নামিবিয়া দল। ফলে ম্যাচ শুরু হয় দেরিতে, যার কারণে প্রতিটি ইনিংস থেকে কমিয়ে দেওয়া হয় ৭ ওভার করে মোট ১৪ ওভার।

ইউএসএ ক্রিকেট তাদের এক্স (পূর্বে টুইটার) অ্যাকাউন্টে ম্যাচ বিলম্বের বিষয়টি জানালেও নির্দিষ্ট কারণ উল্লেখ করেনি। তবে ক্রিকেট বিশ্লেষক পিটার এক্স-এ জানান, মাসকাটে আয়োজিত ম্যারাথন ও আয়রনম্যান রোড রেসের কারণে বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ রাস্তা বন্ধ ছিল। যার মধ্যে যুক্তরাষ্ট্র ও নামিবিয়া দলের নির্ধারিত রুটও অন্তর্ভুক্ত ছিল, ফলে তারা সময়মতো মাঠে পৌঁছাতে পারেনি। পরে ম্যাচটি ৪৩ ওভারে নামিয়ে আনা হয়।

দেরিতে শুরু হওয়া ম্যাচে টস জিতে নামিবিয়া প্রথমে যুক্তরাষ্ট্রকে ব্যাট করার আমন্ত্রণ জানায়। আন্দ্রিস গৌস, অধিনায়ক মোনাঙ্ক প্যাটেল ও মিলিন্দ কুমারের ফিফটিতে ৫০ ওভারে যুক্তরাষ্ট্র সংগ্রহ করে ২৯৩ রান। জবাবে নামিবিয়া ১৭৯ রানে অলআউট হয়ে যায়, ফলে যুক্তরাষ্ট্র ১১৪ রানের বড় ব্যবধানে জয় পায়।

উল্লেখ্য, আইসিসি ক্রিকেট বিশ্বকাপ লিগ ২ সহযোগী দেশগুলোর জন্য ওয়ানডে বিশ্বকাপে খেলার অন্যতম যোগ্যতা অর্জন প্রতিযোগিতা। লিগের শীর্ষ চারটি দল আইসিসি বিশ্বকাপ বাছাইপর্বে খেলার সুযোগ পায়, যেখানে মোট ১০টি দল অংশ নেয়। বাছাইপর্বের শীর্ষ চারটি দল মূল বিশ্বকাপে জায়গা নিশ্চিত করে।

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: আইস স

এছাড়াও পড়ুন:

গণঅভ্যুত্থানের ফল পেতে ধৈর্য ধরুন: আসিফ মাহমুদ

গণঅভ্যুত্থানের ফল পেতে দেশের জনগণকে ধৈর্য ধরার আহ্বান জানিয়েছেন স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় এবং যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া।

মঙ্গলবার (১১ ফেব্রুয়ারি) দুপুর ১২টায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় খেলার মাঠে ‘এসো দেশ বদলাই, পৃথিবী বদলাই’ স্লোগানে শুরু হওয়া তিন দিনব্যাপী তারুণ্যের উৎসবের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি এ আহ্বান জানান।

আসিফ মাহমুদ বলেন, “দেশের জনগণ একটি রক্তক্ষয়ী গণঅভ্যুত্থানের পরেও ধৈর্য সহকারে যে প্রজ্ঞার পরিচয় দিয়েছে, বড় ধরনের কোনো রক্তপাত হয়নি, আইন ও বিচার ব্যবস্থার প্রতি যে শ্রদ্ধা দেখিয়েছে সেখান থেকে আমরা আশ্বস্ত হতে পারি। আমরা আশা করি, দেশের জনগণ দেশ পুনর্গঠনেও ধৈর্য এবং অংশগ্রহণের মাধ্যমে এই গণঅভ্যুত্থানের যেই ফসল দেশের মানুষ পেতে চায় তা বাস্তবায়নে সবাই সহযোগিতা করবে।” 

অন্তর্বর্তী সরকার সংস্কার ও বিচারের এজেন্ডা বাস্তবায়নে এবং একটি সুষ্ঠু গণতান্ত্রিক উত্তরায়ণের যে দায়িত্ব নিয়েছে সেই কাজে দেশবাসী সহযোগিতা করবে বলেও তিনি আশা প্রকাশ করেন। 

জুলাই গণঅভ্যুত্থানে তরুণরা যেভাবে আত্মত্যাগ করেছে দেশের জন্য, দেশ পুনর্গঠনেও একইভাবে এগিয়ে আসবে এমন আশা প্রকাশ করে যুব ও ক্রীড়া উপদেষ্টা বলেন, “প্রত্যেকটা সেক্টরে তাদের যোগ্যতার প্রমাণ দেবে। আধুনিক বিশ্বের সঙ্গে প্রতিযোগিতায় টিকে থাকার জন্য তারা তাদের সর্বোচ চেষ্টাটা করবে।” 

তিনি আরো বলেন, “এই গণঅভ্যুত্থান জাতিকে একটি স্বপ্ন দেখিয়েছে একটি নতুন বাংলাদেশ নির্মাণ করার। সেই স্বপ্ন বাস্তবায়নে অন্তর্বর্তী সরকার কাজ করছে। কমিশনগুলো তাদের প্রস্তাবনা পেশ করেছে। স্টেকহোল্ডার কনসালটেশনের মাধ্যমে সে প্রস্তাবনাগুলো বাস্তবায়নের মাধ্যমে রাষ্ট্রকাঠামোর যে অঙ্গগুলো ফ্যাসিবাদী সরকারের সময় ধ্বংসপ্রাপ্ত হয়েছে সেগুলোকে পুনর্গঠন করা হবে। এর মাধ্যমে বাংলাদেশের মানুষ ফ্যাসিবাদী ব্যবস্থা থেকে মুক্তি পাবার পথে অগ্রসর হবে।”

ঢাকা/রায়হান/ইভা   

সম্পর্কিত নিবন্ধ