সানবিডি২৪ এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি ফলো করুন
সপ্তাহের প্রথম কার্যদিবস রোববার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) সূচকের পতনে লেনদেন শেষ হয়েছে। এদিন কমেছে বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ার দর ও টাকার পরিমানে লেনদেন।
ডিএসই সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
জানা গেছে, দিনশেষে ডিএসই ব্রড ইনডেক্স আগের দিনের চেয়ে ১৩ পয়েন্ট কমে অবস্থান করছে ৫ হাজার ১৬৫ পয়েন্টে। আর ডিএসই শরিয়াহ সূচক ৪ পয়েন্ট কমে অবস্থান করছে ১ হাজার ১৪৩ পয়েন্টে এবং ডিএসই–৩০ সূচক ১ পয়েন্ট কমে অবস্থান করছে ১ হাজার ৯১১ পয়েন্টে।
দিনভর লেনদেন হওয়া ৩৯৫ কোম্পানি ও মিউচ্যুয়াল ফান্ডের মধ্যে দর বেড়েছে ৯২ টির, দর কমেছে ২৪০ টির এবং দর অপরিবর্তিত রয়েছে ৬৩ টির।
ডিএসইতে ৩৭৪ কোটি ১০ লাখ টাকার লেনদেন হয়েছে। যা আগের কার্যদিবস থেকে ৫৫ কোটি ৫৫ লাখ টাকা কম। এর আগের দিন লেনদেন হয়েছিল ৪২৯ কোটি ৬৫ লাখ টাকার ।
অপরদিকে, চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) সার্বিক সূচক সিএএসপিআই ৩৯ পয়েন্ট কমে দাঁড়িয়েছে ১৪ হাজার ৪৭২ পয়েন্টে।
সিএসইতে ১৭৭ টি প্রতিষ্ঠান লেনদেনে অংশ নিয়েছে। এসব প্রতিষ্ঠানের মধ্যে ৬৫ টির দর বেড়েছে, কমেছে ৮৮ টির এবং ২৪ টির দর অপরিবর্তিত রয়েছে। সিএসইতে ৫ কোটি ৩০ লাখ টাকার শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়েছে।
এসকেএস
.উৎস: SunBD 24
এছাড়াও পড়ুন:
সপ্তাহজুড়ে সূচক ঊর্ধ্বমুখী
ঠিক এক বছর পর ঢাকার শেয়ারবাজারে সপ্তাহজুড়ে মূল্যসূচক ঊর্ধ্বমুখী ছিল। তালিকাভুক্ত বেশির ভাগ কোম্পানির শেয়ারদর বৃদ্ধির পাশাপাশি লেনদেনও বেড়েছে। যদিও দর বৃদ্ধির তালিকার ওপরের দিকে রুগ্ণ এবং বন্ধ কোম্পানির আধিপত্য ছিল সুস্পষ্ট। এমনকি টাকার অঙ্কে লেনদেনে বিচ হ্যাচারির মতো কোম্পানি ছিল শীর্ষে।
পর্যালোচনায় দেখা গেছে, গত ২ থেকে ৬ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত প্রধান মূল্যসূচক ডিএসইএক্স ৬৬ পয়েন্ট বেড়ে ৫১৭৯ পয়েন্টে উঠেছে। এর আগে গত বছরের ২৯ জানুয়ারি থেকে ১১ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত টানা দশ কর্মদিবসে সূচক বেড়েছিল ৩৬৮ পয়েন্ট। এর মধ্যে ৪ থেকে ৮ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত সপ্তাহে টানা সূচক বেড়েছিল ১৫৯ পয়েন্ট। অবশ্য গত ২ থেকে ৯ জুলাই পর্যন্ত টানা ছয় কর্মদিবসে সূচকটি ২৬৬ পয়েন্ট বেড়েছিল, যদিও তা ছিল পৃথক দুই সপ্তাহ মিলে।
সার্বিক হিসাবে গত সপ্তাহে ডিএসইতে তালিকাভুক্ত ৩৯৭ কোম্পানির শেয়ার ও মিউচুয়াল ফান্ডের মধ্যে ২৬৫টির দর বেড়েছে, কমেছে ১০৩টির এবং অপরিবর্তিত ছিল ২৯টির দর। চামড়া ও চামড়াজাত পণ্য খাতের নিম্নমুখী এবং খাদ্য ও আনুষঙ্গিক ও সাধারণ বীমা খাতে মিশ্র ধারা ছাড়া বাকি প্রায় সব খাতের অধিকাংশ শেয়ারের দর বেড়েছে। কমপক্ষে ১০ থেকে ৫৯ শতাংশ দর বেড়েছে ৪৯ কোম্পানির। এর মধ্যে ২৯ কোম্পানির দর এক সপ্তাহ আগেও অভিহিত মূল্যের নিচে ছিল। এমনকি উল্লেখযোগ্য পরিমাণ দর বৃদ্ধির পরও দর ১০ টাকা পার হতে পারেনি ২৫টির।
সর্বাধিক ৫৯ শতাংশ দর বৃদ্ধি পাওয়া এনার্জিপ্যাক পাওয়ার জেনারেশনকে তালিকাভুক্ত হওয়ার সময় বেশ ভালো কোম্পানি হিসেবে বিবেচনা করা হতো। ক্রমে মুনাফা কমায় বিনিয়োগকারীরা এ শেয়ারে আগ্রহ হারান। গত অক্টোবর-ডিসেম্বর প্রান্তিকে মুনাফা করার খবরে সাম্প্রতিক সময়ে বড় উল্লম্ফনের আগে এর দর বহু মাস ১২ টাকার ঘরে আটকে ছিল। উল্লেখযোগ্য দর বৃদ্ধির পর শেয়ারটি সর্বশেষ ২১ টাকা ৮০ পয়সায় কেনাবেচা হয়েছে।
দর বৃদ্ধির তালিকায় পরের কোম্পানিগুলো ছিল– প্রিমিয়ার লিজিং, ফিনিক্স ফাইন্যান্স, নিউ লাইন ক্লোথিংস, আলিফ ম্যানুফ্যাকচারিং, কাট্টলী টেক্সটাইল, বিডি থাই ফুড, প্রাইম ফাইন্যান্স, পদ্মা লাইফ, বিবিএস কেবলসের মতো শেয়ার। এগুলোর দর ২০ থেকে ৩৪ শতাংশ পর্যন্ত বেড়েছে।
মৌলভিত্তি বিবেচনায় উল্লেখিত দর বৃদ্ধির তালিকার উল্লেখযোগ্য কোম্পানি ছিল ইস্টার্ন হাউজিং। প্রায় ১১ শতাংশ দর বেড়ে সর্বশেষ ৭৪ টাকা ৩০ পয়সায় কেনাবেচা হয়েছে।
গত সপ্তাহে ডিএসইতে ২ হাজার ১৩৩ কোটি টাকা মূল্যের শেয়ার কেনাবেচা হয়েছে, যা আগের সপ্তাহের তুলনায় প্রায় ২৬ শতাংশ বেশি। এর মধ্যে ১০৩ কোটি টাকার লেনদেন নিয়ে শীর্ষে ছিল বিচ হ্যাচারি।