হাবিবের ভালোবাসা গানে মডেলও ভালোবাসার মানুষ
Published: 9th, February 2025 GMT
আগামী ভালোবাসা দিবস উপলক্ষে নতুন গান নিয়ে হাজির হচ্ছেন সংগীত তারকা হাবিব ওয়াহিদ। শ্রোতাভক্তদের জন্য নিয়ে আসছেন ভালোবাসার গান। ইতিমধ্যে গান ভিডিওটির একটি প্রমো শেয়ার করে সেই খবরই জানান দেন তিনি।
শ্রাবণের কথায় গানটির সুর ও সংগীত পরিচালনা করেছেন হাবিব ওয়াহিদ নিজেই। দেশে ও দেশের বাইরের বিভিন্ন মনোরম লোকেশনে এর দৃশ্যায়ন সম্পন্ন হয়েছে।
গান ভিডিওটিতে হাবিবের সঙ্গে মডেল হয়েছেন তার স্ত্রী আফসানা চৌধুরী শিফা। এই গানের মধ্যে দিয়ে প্রায় চার বছর পর পর্দায় জুটি হয়ে আসছেন হাবিব-শিফা।
আফসানা চৌধুরী শিফা বলেন, ‘অনেক দিন পর আমাদের একসঙ্গে স্ক্রিনে আসা, প্রায় চার বছর পর। অভিজ্ঞতা খুবই ভালো। কাজের ব্যাপারে সে বরাবরই পেশাদার। তার মতো একজন পেশাদারের সাথে কাজ করতে ভালোই লাগছিল।’
এর আগে ২০২১ সালে হাবিব ও শিফাকে প্রথমবারের মতো একসঙ্গে দেখা গিয়েছিল ‘রোমান্টিক লাগে’ গানে। এরপর আর তাদেরকে পর্দায় দেখা যায়নি।
হাবিব ওয়াহিদের নিজের এইচ ডব্লিউ প্রোডাকশন হাউজ থেকে নির্মিত ‘পাগল হাওয়া’ মিউজিক ভিডিওটি ভালোবাসা দিবসে গায়কের ইউটিউব চ্যানেলে উন্মুক্ত হবে।
.উৎস: Samakal
এছাড়াও পড়ুন:
সীমান্তে বিএসএফের সিসি ক্যামেরা স্থাপন, বিজিবির প্রতিবাদ
কুড়িগ্রামের ভূরুঙ্গামারী উপজেলার দক্ষিণ বাঁশজানী সীমান্তের শূন্য রেখায় সিসি ক্যামেরা স্থাপন করেছে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ)। রোববার রাতে তারা এই সিসি ক্যামেরা লাগিয়েছে বলে জানায় এলাকাবাসী। এর প্রতিবাদ জানিয়েছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)।
জানা যায়, উপজেলার পাথরডুবী ইউনিয়নের দক্ষিণ বাঁশজানি সীমান্তের আন্তর্জাতিক সীমানা পিলার ৯ এস এর ৯৭৮ নম্বর সীমানা পিলারের পাশে শূন্য রেখার একটি ইউক্লিপটাস গাছে রোববার রাতে বাংলাদেশের দিকে তাক করে একটি সিসি ক্যামেরা স্থাপন করে বিএসএফের ছোট গাড়ল ঝড়া ক্যাম্পের সদস্যরা। সোমবার সকালে স্থানীয়রা বিষয়টি বিজিবিকে জানায়। পরে বিজিবি বিএসএফকে ডেকে এর কড়া প্রতিবাদ জানায় এবং সিসি ক্যামেরা অপসারণ করতে বলেন। তবে এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত এ নিয়ে বিজিবি–বিএসএফের মধ্যে একাধিক আলোচনা হলেও ক্যামেরা খুলে নিয়ে যায়নি বিএসএফ।
স্থানীয়রা জানান, দক্ষিণ বাঁশজানি ঝাকুয়াটারী সীমান্তে স্থাপিত আলোচিত দুই দেশের একটি মসজিদ পুনর্নির্মাণ চলছে। এর সন্নিকটে বিএসএফ রাতের অন্ধকারে সিসি ক্যামেরা স্থাপন করায় আমরা নিরাপত্তা হীনতায় ভুগছি।
মসজিদের মোয়াজ্জিন আলমগীর হোসেন জানান, আমাদের পূর্বপুরুষদের স্থাপিত এই মসজিদটিতে ভারত–বাংলাদেশের মানুষ একসঙ্গে নামাজ পড়ি। দেশভাগের সময় গ্রামের মাঝ দিয়ে সীমান্ত রেখা টানা হলেও একে ঘিরে আমাদের সম্পর্ক আজও ভাগ হয়নি। তখন থেকে আমরা এখনও একসঙ্গে এ মসজিদে নামাজ পড়ি। এটি পুরাতন হলে নতুন করে স্থাপনের উদ্যোগ নেওয়া হয়। এতে বিএসএফ বাধা দেয়। তাদের বাধায় দুই বছর ধরে মসজিদের কাজ বন্ধ রয়েছে। এবার রাতের অন্ধকারে তারা সিসি ক্যামেরা লাগিয়ে গেছে। এতে আমাদের নিরাপত্তা বিঘ্নিত হচ্ছে। বিজিবিকে ক্যামেরা খুলে নিয়ে যেতে বললেও তারা তা করেনি।
কুড়িগ্রাম ২২ বিজিবির পরিচালক লে. কর্নেল মাসুদুর রহমান জানান, শূন্য রেখায় সিসি ক্যামেরা স্থাপনের বিষয়ে বিএসএফকে প্রতিবাদ জানানো হয়েছে। এ নিয়ে তাদের সঙ্গে আলোচনা হয়েছে। তারা ক্যামেরা অপসারণের আশ্বাস দিয়েছেন।