বাগেরহাটে সাবেক এমপি শেখ হেলাল, শেখ তন্ময়সহ ৩৫ জনের বিরুদ্ধে মামলা
Published: 9th, February 2025 GMT
বাগেরহাটের ফকিরহাটে ছাত্র-জনতার ওপর গুলি, বোমা নিক্ষেপ ও স্থাপনা ধ্বংসের অভিযোগে বাগেরহাট-১ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য শেখ হেলাল উদ্দিন, বাগেরহাট-২ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য শেখ তন্ময়, বাগেরহাটের সাবেক পুলিশ সুপার আবুল হাসনাত খানসহ আওয়ামী লীগের ৩৫ নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে। গতকাল শনিবার রফিকুল ইসলাম মিঠু নামের এক ব্যক্তি বাদী হয়ে ফকিরহাট থানায় এ মামলা করেন। মামলায় সাবেক পুলিশ সুপার আবুল হাসনাত খানকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে।
মামলার অন্যান্য আসামিরা হলেন- বাগেরহাট-২ আসনের আরেক সাবেক সদস্য সংসদ মীর শওকত আলী বাদশা, জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ কামরুজ্জামান টুকু, সাধারণ সম্পাদক ভূঁইয়া হেমায়েত উদ্দিন, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বাগেরহাট পৌরসভার মেয়র খান হাবিবুর রহমান, বাগেরহাট সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান যুবলীগ নেতা সরদার নাসির উদ্দিন, শেখ হেলাল উদ্দিনের একান্ত সচিব ফিরোজুল ইসলাম জোমাদ্দার, ফকিরহাট উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি স্বপন কুমার দাস, আওয়ামী লীগ নেতা আবুল কালাম আজাদ ওরফে সাহেব মল্লিক, ফকিরহাট উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান যুবলীগ নেতা ওয়াহিদুর রহমান বাবু, আওয়ামী লীগ নেতা ইমরুল হাসান, সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি শিপন মিনা, জেলা শ্রমিক লীগের সভাপতি রেজাউর রহমান মন্টু, সাধারণ সম্পাদক খান আবু বক্কর সিদ্দিক, পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ বসিরুল ইসলাম, অওয়ামী লীগ নেতা শামীম আহসান, মহিতুর রহমান পল্টন, সৈয়দ বাদশা হোসেন, দুলাল আকন, আব্দুল কাদের সরদার, হুমায়ুন কবির পলি, সুমন রাহি, মো.
মামলার এজাহারে বলা হয়েছে, ছাত্র-জনতার ন্যায্য আন্দোলনকে নস্যাৎ করার উদ্দেশ্যে আসামিরা গত ৪ আগস্ট দুপুরে ফকিরহাট উপজেলার কাটাখালি গোলচত্বর এলাকায় জড়ো হয়ে গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা ধ্বংস করে। ছাত্র-জনতাকে লক্ষ্য করে গুলি ছোড়ে। আতঙ্ক সৃষ্টির উদ্দেশ্যে কয়েকটি বোমা বিস্ফোরণ করে এবং হত্যার উদ্দেশ্যে একাধিক গুলি ছোড়ে।
এছাড়াও বাগেরহাটের সাবেক পুলিশ সুপার আবুল হাসনাত খান উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা থাকায় ফ্যাসিস্ট সরকারকে টিকিয়ে রাখার জন্য বিভিন্ন সময় উস্কানিমূলক বক্তব্য দিয়েছেন। একটি ব্যালট- একটি বুলেটসহ নানা উস্কানিমূলক বক্তব্য দিয়ে তিনি আসামিদের ছাত্র-জনতার আন্দোলনের বিরুদ্ধে কর্মকাণ্ডে উদ্বুদ্ধ করেছেন।
ফকিরহাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এস এম আলমগীর কবির বলেন, ছাত্র-জনতার আন্দোলনে গুলিবর্ষণ, বোমা বিস্ফোরণ, স্থাপনা ধ্বংসসহ কয়েকটি অভিযোগে ৩৫ জনের নামে মামলা হয়েছে। এই মামলায় সাবেক পুলিশ সুপার আবুল হাসনাত খানকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে। এছাড়াও কয়েকজন আসামি বিভিন্ন মামলায় কারাগারে রয়েছেন। তাদেরকেও এই মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হবে বলে জানান এই পুলিশ কর্মকর্তা।
উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: ছ ত র জনত র র রহম ন আওয় ম উপজ ল
এছাড়াও পড়ুন:
দিনাজপুরে ওএমএসের চাল-আটা নিয়ে খুচরা বাজারে বিক্রির অভিযোগ পেয়ে অভিযান
ছবি: প্রথম আলো