ইসির এত বদনামের এক নম্বর কারণ রাজনৈতিক নিয়ন্ত্রণ: সিইসি
Published: 9th, February 2025 GMT
প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ এম এম নাসির উদ্দীন বলেছেন, নির্বাচন কমিশন কোনো রাজনীতিতে ঢুকতে চায় না। তাঁরা কোনো রাজনৈতিক দলের পক্ষে বা বিপক্ষে দাঁড়াতে চান না। তাঁরা নিরপেক্ষ থাকতে চান।
আজ রোববার সকালে রাজধানীর আগারগাঁওয়ের নির্বাচন ভবনে ‘সাংবাদিক হোসাইন জাকির বেস্ট রিপোর্টিং অ্যাওয়ার্ড’ প্রদান অনুষ্ঠানে সিইসি এ কথা বলেন। নির্বাচন কমিশন বিটে কর্মরত সাংবাদিকদের সংগঠন আরএফইডি অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।
অনুষ্ঠানে সিইসি বলেন, ‘ইলেকশন কমিশনের এত বদনাম, এত গালি দেয়। এটা কেন হলো তার ১০০টা কারণ বলতে পারবেন, ২০০টা কারণ বলতে পারবেন। আমার কাছে এক নম্বর কারণ হলো পলিটিক্যাল কন্ট্রোল অব দ্য ইলেকশন কমিশন (নির্বাচন কমিশনে রাজনৈতিক নিয়ন্ত্রণ)। এটি আমার কাছে মনে হয়েছে সবচেয়ে বড় কারণ। রাজনীতির কাছে নির্বাচন কমিশনকে সঁপে দেওয়া, এটা হচ্ছে সবচেয়ে বড় কারণ।’
এ এম এম নাসির উদ্দীন আশঙ্কা প্রকাশ করে বলেন, ‘রাজনীতিবিদদের ইনফ্লুয়েন্স অন দ্য ইলেকশন কমিশন (নির্বাচন কমিশনের ওপর প্রভাব) বন্ধ করা না যায়, আবার সেই পুরোনো জিনিস রিপিট হবে বলে আমি মনে করি।’
এ আয়োজনে দৈনিক ইত্তেফাকের সাইদুর রহমান, ইনডিপেনডেন্ট টেলিভিশনের মাহমুদুল হাসান ও বিডি২৪ লাইভ ডটকমের মেহেদী হাসান যথাক্রমে প্রিন্ট, টেলিভিশন ও অনলাইন ক্যাটাগরিতে পুরস্কার পান।
.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: র জন ত
এছাড়াও পড়ুন:
‘ফ্যাসিবাদের মুখাকৃতিতে’ আগুন দেওয়ার ঘটনায় দুদিনেও গ্রেপ্তার নেই
বাংলা নববর্ষের আনন্দ শোভাযাত্রার জন্য ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা অনুষদে তৈরি করা ‘ফ্যাসিবাদের মুখাকৃতিতে’ আগুন দেওয়ার ঘটনায় দুই দিনেও কাউকে গ্রেপ্তার করতে পারেনি পুলিশ। সংশ্লিষ্ট পুলিশ কর্মকর্তারা বলছেন, সন্দেহভাজনের নাম-পরিচয় প্রকাশ হওয়ায় তিনি গা-ঢাকা দিয়েছেন।
ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) রমনা বিভাগের উপকমিশনার মাসুদ আলম সোমবার বিকেলে প্রথম আলোকে বলেন, নাম-পরিচয় প্রকাশ হওয়ায় অভিযুক্ত গা-ঢাকা দিয়েছেন। এ কারণে তাঁকে গ্রেপ্তারে পুলিশকে বেগ পেতে হচ্ছে। তবে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।
এর আগে রোববার ডিএমপি কমিশনার শেখ মো. সাজ্জাত আলী গণমাধ্যমকে বলেছিলেন, ‘সোমবার সকাল ৯টায় শোভাযাত্রা শুরুর আগেই ডিটেকশনের (শনাক্তের) ক্ষেত্রে সন্তোষজনক পর্যায়ে চলে যাব। সম্ভব যদি হয়, বাই দিস টাইম (এই সময়ের মধ্যে) দুর্বৃত্তদের অ্যারেস্ট করতে সক্ষম হব, ইনশা আল্লাহ।’
তবে ডিএমপি কমিশনার এমন কথা বললেও পয়লা বৈশাখের আনন্দ শোভাযাত্রা শেষ হওয়ার পরও অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করতে পারেনি পুলিশ।
ফ্যাসিবাদের মুখাকৃতিতে আগুন দেওয়ার ঘটনার ক্লোজড সার্কিট (সিসি) ক্যামেরার ভিডিও রোববার সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আরবি বিভাগের সহপাঠীরা ‘অভিযুক্তকে শনাক্ত করতে পারার’ কথা জানান। তাঁরা বলেন, ২০২১-২২ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী ওই যুবক থাকতেন মাস্টারদা সূর্য সেন হলে। নিষিদ্ধ সংগঠন ছাত্রলীগের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সভাপতি মাজহারুল কবির শয়নের অনুসারী হিসেবে তিনি পরিচিত ছিলেন। গত বছরের ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর তাঁকে আর হলে দেখা যায়নি।
বর্ষবরণ আনন্দ শোভাযাত্রায় ছিল শোলা দিয়ে নতুন করে বানানো ‘ফ্যাসিবাদের মুখাকৃতি’