‘বড় পর্দার কাজে আমার ভাগ্য ভালো না। যতবার আমার কাছে বড় পর্দায় কোনো কাজের প্রস্তাব এসেছে, কাজটা আর শেষমেশ হয়ে ওঠেনি। এই করতে করতে আমারা পুরো অভিনয় জীবন পার হয়ে গেছে। সেজন্য এখন আর কিছু বলি না। যদি ভাগ্যে থাকে তাহলে কাজ হবে।’ বড় পর্দায় অভিনয় প্রসঙ্গে এমনটাই বললেন অভিনেত্রী সাদিয়া জাহান প্রভা।

যুক্তরাষ্ট্র থেকে সম্প্রতি দেশে এসেছেন প্রভা। শনিবার (৮ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যায় একটি অ্যাওয়ার্ড অনুষ্ঠানে গিয়ে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন তিনি। সেখানেই নিজের অভিনয়, ক্যারিয়ার প্রসঙ্গে কথা বলেন এই অভিনেত্রী।

সাদিয়া জাহান প্রভা বলেন, ‘অভিনয়শিল্পীদের নিয়ে অনেকের অনেক ধরনা। অনেকে মনে করেন, অভিনয়ে করতে কোনো কষ্টই হয় না। শুধু মেকাপ নিয়ে সুন্দরভাবে সেজে ক্যামেরার সামনে দাঁড়িয়ে গেলাম আর অভিনয় হয়ে গেলো। আসলে বিষয়টা এমন না। আমাদের অনেক কষ্ট করে কাজ করতে হয়। এটা যারা সামনে থেকে দেখা না তারা বুঝতে পারে না। কষ্ট করে একটি কাজ করার পর যদি তার স্বীকৃতি পাওয়া যায় তাহলে আমাদের দায়িত্ববোধ আরও বেড়ে যায়।’

অভিনয়ের পাশাপাশি বর্তমানে মেকআপ আর্টিস্ট হিসেবে কাজ করছেন প্রভা। যুক্তরাষ্ট্রে অবস্থিত ‘দ্য মেকআপ একাডেমি’ থেকে প্রশিক্ষণ নিয়ে কাজও করছেন তিনি। তবে অভিনয়কে জীবনে সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দিতে চান তিনি।

প্রভার কথায়, ‘আমার আবেগ, অনুভূতি বা ভালোবাসা যেটাই বলি না কেন সেটা হল অভিনয়। এছাড়া মেকআপ আর্টিস্ট হিসেবেও নিজেকে সু-প্রসন্ন প্রসন্ন করা চেষ্টা করছি। সেই সঙ্গে যেকোনো ক্রিয়েটিভ কাজই আমার পছন্দ।’

এসময় শাকিব খানের প্রতি ভালোলাগার কথাও জানা প্রভা। তিনি বলেন, ‘আমার আগে শাকিব খানের কোনো সিনেমা দেখা হতো না। তবে সর্বশেষ তাঁর তিনটা সিনেমাই দেখা হয়েছে। আর ছবিগুলো দেখে আমি তাঁর ভক্ত হয়ে গেছি। বিশেষ করে রাজকুমার সিনেমা, যেটা দেখে মনে হয়েছে শাকিব খান অনেক পরিশ্রম করেছেন।’

.

উৎস: Samakal

এছাড়াও পড়ুন:

ছাত্রলীগ নেতার লাঠির আঘাতে বিএনপি নেতা নিহত

কক্সবাজারের মহেশখালী উপজেলায় স্থানীয় এক বিএনপি নেতাকে লাঠি দিয়ে পিটিয়ে খুন করার অভিযোগ উঠেছে নিষিদ্ধঘোষিত সংগঠন ছাত্রলীগের এক নেতার বিরুদ্ধে। আজ সোমবার সকালে উপজেলার কালারমারছড়া ইউনিয়নের উত্তর নলবিলা এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

নিহত ব্যক্তির নাম আবদুর রশিদ (৫৫)। তিনি কালারমারছড়া ইউনিয়নের উত্তর নলবিলা এলাকার লাল মিয়ার ছেলে। কালারমারছড়া ইউনিয়ন বিএনপির সদস্য ছিলেন রশিদ। অভিযুক্ত ব্যক্তির নাম অমিত হাসান। তিনিও একই এলাকার বাসিন্দা। কালারমারছড়া ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সহসভাপতি পদে রয়েছেন তিনি।

নিহত রশিদের ভাতিজা জাহেদ হাসান বলেন, সকাল সাড়ে ১০টার দিকে স্থানীয় একটি পুকুরপাড়ে তাঁর চাচা আবদুর রশিদের সঙ্গে অমিত হাসানের রাজনৈতিক বিষয় নিয়ে কথা-কাটাকাটি হয়। এর একপর্যায়ে অমিত হাসান ও তাঁর বড় ভাই কামরুল হাসান লাঠি দিয়ে পিটিয়ে আবদুর রশিদকে আহত করেন। তাঁকে উদ্ধার করে প্রথমে চকরিয়া উপজেলার বদরখালী জেনারেল হাসপাতালে এবং পরে চকরিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হয়। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন।

কালারমারছড়া ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি এখলাছুর রহমান প্রথম আলোকে বলেন, ‘নিহত আবদুর রশিদ ইউনিয়ন বিএনপির অন্যতম সদস্য। নিষিদ্ধ ছাত্রলীগের নেতার নেতৃত্বে তাঁর ওপর হামলা হয়েছে। এ ঘটনায় জড়িত ব্যক্তিদের দ্রুত গ্রেপ্তার করতে হবে।’

অভিযোগের বিষয়ে অমিত হাসানের বক্তব্য জানা সম্ভব হয়নি। তিনি পলাতক রয়েছেন। জানতে চাইলে মহেশখালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোহাম্মদ কাইছার হামিদ প্রথম আলোকে বলেন, লাশটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য কক্সবাজার সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। ঘটনার পর পুলিশ অভিযান চালিয়ে কামরুল হাসানকে আটক করেছে। অমিত হাসানকে ধরতে পুলিশের অভিযান অব্যাহত রয়েছে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ