ভূমিকম্পের ধাক্কা পেরিয়ে বড় জয় মেসিদের
Published: 9th, February 2025 GMT
উত্তর হন্ডুরাসে শনিবার স্থানীয় সময় সন্ধ্যা ৬.২৩ মিনিটে ৭.৬ মাত্রার শক্তিশালী ভূমিকম্প আঘাত হানে। মার্কিন ভূতাত্ত্বিক জরিপ সংস্থা (ইউএসজিএস) জানায়, এটি ছিল গত চার বছরের মধ্যে ওই অঞ্চলের সবচেয়ে বড় ভূমিকম্প। প্রাথমিকভাবে সুনামি সতর্কতা জারি করা হলেও পরে তা বাতিল করা হয়।
এমন প্রতিকূল পরিস্থিতির মধ্যেই হন্ডুরাসে প্রাক-মৌসুম ম্যাচ খেলতে নামে লিওনেল মেসির ইন্টার মায়ামি। তবে ভূমিকম্পের কোনো প্রভাব ম্যাচে পড়েনি, বরং মাঠে নিজেদের দাপট দেখিয়েছে মেসির দল। হন্ডুরাসের ক্লাব অলিম্পিয়াকে ৫-০ গোলে উড়িয়ে দিয়েছে ইন্টার মায়ামি।
ভূমিকম্পের প্রায় দেড় ঘণ্টা পর বাংলাদেশ সময় সকাল ৭টায় চেলাটো ইউক্লেস ন্যাশনাল স্টেডিয়ামে ম্যাচটি শুরু হয়। ভূমিকম্পের উৎপত্তিস্থল থেকে প্রায় ৪০০ মাইল দূরে হওয়ায় সেখানে কোনো কম্পন অনুভূত হয়নি। তবে অলিম্পিয়ার রক্ষণভাগ দারুণ চাপের মুখে পড়ে মেসি-সুয়ারেজদের আক্রমণের সামনে।
ম্যাচের ২৭ মিনিটে মেসি গোলের মাধ্যমে দলের এগিয়ে যাওয়ার সূচনা করেন। এরপর ৪৪ মিনিটে ফেডেরিকো রেদোনদো ও প্রথমার্ধের অতিরিক্ত সময়ে (৪৫+২ মিনিটে) নোয়াহ অ্যালেনের গোলে ৩-০ ব্যবধানে এগিয়ে যায় ইন্টার মায়ামি। দুটি গোলে অ্যাসিস্ট করেন মেসি। দ্বিতীয়ার্ধে ৫৪ মিনিটে লুইস সুয়ারেজ গোল করে ব্যবধান আরও বাড়ান। শেষ মুহূর্তে, ৭৯ মিনিটে রায়ান সেইলর জালে বল পাঠিয়ে দলের জয় নিশ্চিত করেন।
.উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: ইন ট র ম য ম ভ ম কম প র
এছাড়াও পড়ুন:
৭ বছর পর চুয়েট ছাত্রলীগের ছয় নেতার নামে মামলা
চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (চুয়েট) ২০১৮ সালে দুই শিক্ষার্থীকে মারধর, চাঁদাবাজি এবং হত্যাচেষ্টার অভিযোগে দুটি মামলা হয়েছে। এতে নিষিদ্ধ ঘোষিত ছাত্র সংগঠন ছাত্রলীগের চুয়েট শাখার সাবেক ৬ নেতাকে আসামি করা হয়েছে। ঘটনার সাত বছর পর মামলা দুটি করেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০১৩-১৪ শিক্ষাবর্ষের কম্পিউটার বিজ্ঞান ও কৌশল বিভাগের শিক্ষার্থী মোহাম্মদ মাহমুদুল ইসলাম ও জামিল আহসান।
রাউজান থানায় ওই মামলায় আসামিরা হলেন– চুয়েটের তৎকালীন ছাত্রলীগ নেতা সৈয়দ ইমাম বাকের, সাখাওয়াত হোসেন, অতনু মুখার্জি, নিলয় দে, মেহেদী হাসান ফরহাদ ও মোহাম্মদ ফখরুল হাসান ফাহাদ। এ ছাড়া অজ্ঞাতপরিচয় আরও ২০-৩০ জনকে আসামি করা হয়েছে।
জামিল সমকালকে বলেন, নির্যাতন শেষে বাকের বলেছিল, হাসিনা আরও ১০ বছর ক্ষমতায় থাকবে। অর্থাৎ তারা ভেবে নিয়েছিল ওই নির্যাতনের জন্য তাদের কখনও জবাবদিহি করতে হবে না। এজন্যই মামলাটি করেছি।
মামলায় কারণে শিক্ষাজীবন শেষ করতে পারেননি মাহমুদুল। তিনি বলেন, ওই ঘটনার ব্যাপক প্রভাব পড়েছে আমার জীবনে।