উত্তর হন্ডুরাসে শনিবার স্থানীয় সময় সন্ধ্যা ৬.২৩ মিনিটে ৭.৬ মাত্রার শক্তিশালী ভূমিকম্প আঘাত হানে। মার্কিন ভূতাত্ত্বিক জরিপ সংস্থা (ইউএসজিএস) জানায়, এটি ছিল গত চার বছরের মধ্যে ওই অঞ্চলের সবচেয়ে বড় ভূমিকম্প। প্রাথমিকভাবে সুনামি সতর্কতা জারি করা হলেও পরে তা বাতিল করা হয়।

এমন প্রতিকূল পরিস্থিতির মধ্যেই হন্ডুরাসে প্রাক-মৌসুম ম্যাচ খেলতে নামে লিওনেল মেসির ইন্টার মায়ামি। তবে ভূমিকম্পের কোনো প্রভাব ম্যাচে পড়েনি, বরং মাঠে নিজেদের দাপট দেখিয়েছে মেসির দল। হন্ডুরাসের ক্লাব অলিম্পিয়াকে ৫-০ গোলে উড়িয়ে দিয়েছে ইন্টার মায়ামি।

ভূমিকম্পের প্রায় দেড় ঘণ্টা পর বাংলাদেশ সময় সকাল ৭টায় চেলাটো ইউক্লেস ন্যাশনাল স্টেডিয়ামে ম্যাচটি শুরু হয়। ভূমিকম্পের উৎপত্তিস্থল থেকে প্রায় ৪০০ মাইল দূরে হওয়ায় সেখানে কোনো কম্পন অনুভূত হয়নি। তবে অলিম্পিয়ার রক্ষণভাগ দারুণ চাপের মুখে পড়ে মেসি-সুয়ারেজদের আক্রমণের সামনে।

ম্যাচের ২৭ মিনিটে মেসি গোলের মাধ্যমে দলের এগিয়ে যাওয়ার সূচনা করেন। এরপর ৪৪ মিনিটে ফেডেরিকো রেদোনদো ও প্রথমার্ধের অতিরিক্ত সময়ে (৪৫+২ মিনিটে) নোয়াহ অ্যালেনের গোলে ৩-০ ব্যবধানে এগিয়ে যায় ইন্টার মায়ামি। দুটি গোলে অ্যাসিস্ট করেন মেসি। দ্বিতীয়ার্ধে ৫৪ মিনিটে লুইস সুয়ারেজ গোল করে ব্যবধান আরও বাড়ান। শেষ মুহূর্তে, ৭৯ মিনিটে রায়ান সেইলর জালে বল পাঠিয়ে দলের জয় নিশ্চিত করেন।

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: ইন ট র ম য ম ভ ম কম প র

এছাড়াও পড়ুন:

জিনদের আহার্য

মহানবী (সা.) একবার তার সাহাবি আবু হুরায়রা (রা.)-কে বললেন কিছু পাথর নিয়ে আসতে। তবে হাড় বা গোবর আনতে নিষেধ করলেন। আবু হুরায়রা (রা.) কাপড়ে করে কিছু পাথর এনে সেগুলো নবীজি (সা.)-এর পাশে রেখে চলে গেলেন। নবীজি (সা.) কাজ সেরে ফিরে আসার পর আবু হুরাইরা জিজ্ঞেস করলেন, আল্লাহর রাসুল, হাড় ও গোবরে সমস্যা কী? তিনি উত্তরে বললেন, সেগুলো জিনদের খাবার। নাসিবিন শহরে (সিরিয়া ও ইরাকের মধ্যে আলজাযিরার একটি নগরী) জিনদের একটি প্রতিনিধি দল এসেছিল। তারা সবাই খুব ভালো জিন। আমার কাছে খাবার সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করেছিল। আমি আল্লাহর কাছে তাদের জন্য দোয়া করি। তাই তারা যে হাড় বা গোবরের পাশ দিয়ে যাবে, তাতেই নিজেদের জন্য খাবার খুঁজে পাবে। (বুখারি, হাদিস: ৩,৫৭৮)

আরও পড়ুনইবলিস কি জিন নাকি ফেরেশতা১৬ মার্চ ২০২৫

তাই কেউ যদি বিসমিল্লাহ বলে খাবার খায় এবং হাড় থেকে মাংস খাওয়ার পর নাপাক স্থানে না ফেলে, মুমিন জিনেরা সেই হাড় হাতে নিলে তাতে গোশত ফিরে আসবে। (তিরমিজি, হাদিস: ৩,২৫৮)

আর দুষ্ট জিন ও শয়তানরা খায় এমন খাবার, যাতে আল্লাহর নাম উচ্চারণ করা হয় না। যেসব খাবারের শুরুতে বিসমিল্লাহ বলা হয়, সেগুলো তারা ছুঁয়েও দেখে না।

গোবরে জিনদের পশুদের জন্য খাবার জমা হয়। তার মানে জিনদের পোষা প্রাণী আছে এবং তারা তাতে আরোহণ করে। রাসুল (সা.) বলেছেন, ‘গোবর বা হাড় নাপাকি পরিষ্কারের কাজে ব্যবহার করো না। কারণ এগুলো তোমাদের ভাই জিনদের খাবার।’ (তিরমিজি, হাদিস: ১৮)

আরও পড়ুনকোরআন শুনে একদল জিন ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করেন০৬ আগস্ট ২০২৩

সম্পর্কিত নিবন্ধ