চুয়াডাঙ্গার দামুড়হুদা উপজেলায় রাস্তার ওপর দাঁড়িয়ে থাকা ট্রাক্টরের সঙ্গে ধাক্কা লেগে মোটরসাইকেল আরোহী দুই তরুণ নিহত হয়েছেন। গতকাল শনিবার রাত সাড়ে ১১টার দিকে উপজেলার সদর ইউনিয়নের পুরোনো বাস্তপুর গ্রামে এ দুর্ঘটনা ঘটে।

নিহত তরুণেরা হলেন পুরোনো বাস্তপুর গ্রামের আমিনুল ইসলামে ছেলে নাহিদ হোসেন (১৯) ও একই গ্রামের সেলিম উদ্দিনের ছেলে সুইট হোসেন (২৫)। থানায় লিখিত আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে মরদেহ দুটি রাতেই স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। ট্রাক্টরটি জব্দ করে দামুড়হুদা মডেল থানায় নেওয়া হয়েছে।

প্রত্যক্ষদর্শী ও দামুড়হুদা মডেল থানার পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, গতকাল শনিবার রাত সাড়ে ১১টার দিকে দামুড়হুদা উপজেলার হাউলি ইউনিয়নের রঘুনাথপুর গ্রাম থেকে একটি মোটরসাইকেলযোগে নাহিদ ও সুইট বাড়িতে ফিরছিলেন। বাড়ির কাছাকাছি পৌঁছে রাস্তার ওপর দাঁড়িয়ে থাকা একটি ট্রাক্টরের পেছনে ধাক্কা দেয় মোটরসাইকেলটি। এতে ঘটনাস্থলেই দুজনই নিহত হন।

দামুড়হুদা মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হুমায়ুন কবির ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, সড়ক দুর্ঘটনায় দুই তরুণ নিহত হয়েছেন। স্বজনদের লিখিত আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ময়নাতদন্ত ছাড়াই মরদেহ হস্তান্তর করা হয়েছে। এ ঘটনায় সড়ক পরিবহন আইনে মামলার প্রস্তুতি চলছে।

.

উৎস: Prothomalo

এছাড়াও পড়ুন:

অটোরিকশা থামিয়ে যুবদল কর্মীর বুকে ও পায়ে গুলি

অটোরিকশা থামিয়ে নোয়াখালীর সোনাইমুড়ী উপজেলায় এক যুবদল কর্মীর বুকে ও পায়ে গুলি করেছে দুর্বৃত্তরা। গতকাল শুক্রবার রাত পৌনে ১১টার দিকে উপজেলার নাটেশ্বর ইউনিয়নের নজরপুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। গুলিবিদ্ধ মিজানুর রহমান (৩৯) উপজেলার বজরা ইউনিয়নের ৪ নম্বর ওয়ার্ডের পূর্ব চাঁদপুর গ্রামের মৃত মোহাম্মদ উল্যার ছেলে। তিনি একই ইউনিয়নে যুবদলের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত।

পুলিশ ও স্থানীয় লোকজনের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, মাটি কাটা নিয়ে যুবদল কর্মী মিজানের সঙ্গে পাশের ইউনিয়নের কিছু যুবকের বিরোধ চলছিল। ওই বিরোধের জেরে কয়েক দিন আগে মিজানের অনুসারী কিছু যুবক প্রতিপক্ষের একজনকে মারধর করেন। এ নিয়ে দুই পক্ষের মধ্যে বিরোধে নতুন মাত্রা যুক্ত হয়। স্বজনদের ধারণা, এই বিরোধের জের ধরেই মিজানুরকে গুলি করা হয়েছে।

গুলিবিদ্ধ যুবকের স্বজনদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, শুক্রবার রাত পৌনে ১১টার দিকে উপজেলার নাটেশ্বর ইউনিয়নের নজরপুর গ্রামে কয়েকজন দুর্বৃত্ত মিজানুর রহমানের অটোরিকশার গতিরোধ করে তাঁর ওপর হামলা চালায়। একপর্যায়ে তারা তাঁর বুকে ও পায়ে গুলি করে পালিয়ে যায়। পরে স্থানীয় লোকজন তাঁকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেন। সেখান থেকে উন্নত চিকিৎসার জন্য স্বজনেরা তাঁকে ঢাকায় নিয়ে যান।

উপজেলা যুবদলের আহ্বায়ক জসিম উদ্দিন প্রথম আলোকে বলেন, যুবদলের কর্মী মিজানুর রহমানের গুলিবিদ্ধ হওয়ার ঘটনাটি তিনি শুনেছেন। তবে কী কারণে কারা তাঁর ওপর গুলি ছুড়েছে, তা তিনি জানতে পারেননি।

সোনাইমুড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোরশেদ আলম প্রথম আলোকে বলেন, খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। প্রাথমিকভাবে পাওয়া তথ্য অনুযায়ী, মাটির ব্যবসা নিয়ে বিরোধের জের ধরে এ ঘটনা ঘটে। গুলিবিদ্ধ যুবক ঢাকার একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। ভুক্তভোগী পরিবারকে থানায় লিখিত অভিযোগ দিতে বলা হয়েছে। অভিযোগ দিলে তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • কুষ্টিয়ায় বিবাহবহির্ভূত সম্পর্ক নিয়ে স্বামীকে প্রশ্ন করায় স্ত্রীকে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ
  • সাঈদ খোকন ও তাঁর স্বজনদের নামে থাকা ৭৯ ব্যাংক হিসাব অবরুদ্ধ
  • অটোরিকশা থামিয়ে যুবদল কর্মীর বুকে ও পায়ে গুলি