এসপির কক্ষে সেলফি তুলে ভাইরাল যুবদল নেতা গ্রেপ্তার
Published: 9th, February 2025 GMT
হত্যা মামলার আসামি হয়েও দলীয় নেতাকর্মীদের সঙ্গে পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে প্রবেশ করেন কুমিল্লা দক্ষিণ জেলা যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক আহসান উল্লাহ। এসপির কক্ষে বসেই সেলফি তুলে নিজের ফেসবুকে পোস্ট করেন তিনি। তা ভাইরাল হলে পুলিশ ও রাজনৈতিক মহলে সমালোচনার ঝড় ওঠে।
শুক্রবার (৭ ফেব্রুয়ারি) রাতে পুলিশ অভিযান চালিয়ে নগরীর পুলিশ লাইন এলাকার একটি বাসা থেকে আহসান উল্লাহকে গ্রেপ্তার করে। তিনি নাঙ্গলকোট উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক সেলিম ভূঁইয়া হত্যা মামলার এজাহারভুক্ত আসামি। তার বাড়ি পেরিয়া ইউপির মাধবপুর গ্রামে।
পুলিশ জানায়, গত ১ ফেব্রুয়ারি দুপুর আড়াইটার দিকে নাঙ্গলকোট উপজেলার বাঙ্গড্ডা বাজার এলাকায় বিএনপির দু’পক্ষের সংঘর্ষে নিহত হন সেলিম ভূঁইয়া।
পুলিশ জানায়, ৬ ফেব্রুয়ারি বৃহস্পতিবার বেলা ১১টার দিকে কুমিল্লা পুলিশ সুপার মোহাম্মদ নাজির আহাম্মদ খানের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করতে যান কুমিল্লা দক্ষিণ জেলা বিএনপির নবনির্বাচিত সদস্য সচিব আশিকুর রহমান মাহমুদ ওয়াসিমসহ কয়েকজন নেতাকর্মী। তাদের সঙ্গে ছিলেন হত্যা মামলার আসামি আহসান উল্লাহ। সেখানে সেলফি তুলে ফেসবুকে পোস্ট দিলে ভাইরাল হয়ে যায়। পরে অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
নাঙ্গলকোট থানার ওসি এ কে ফজলুল হক বলেন, “জেলা গোয়েন্দা (ডিবি) ও থানা পুলিশ অভিযান চালিয়ে শুক্রবার রাতে কুমিল্লা নগরীর বাসা থেকে আহসান উল্লাহকে গ্রেপ্তার করে। তাকে শনিবার (৭ ফেব্রুয়ারি) আদালতে সোপর্দ করলে বিচারক জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।”
কুমিল্লা দক্ষিণ জেলা বিএনপির সদস্য সচিব আশিকুর রহমান মাহমুদ ওয়াসিম বলেন, “আহসান উল্লাহ আমাদের দলের লোক, কিন্তু সে যে সেলিম হত্যা মামলার আসামি তা জানা ছিল না। জানা থাকলে তাকে পুলিশ অফিসে নেওয়া হতো না। ভবিষ্যতে এসব বিষয়ে আমরা সতর্ক থাকব।”
ঢাকা/রুবেল/টিপু
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
বাজি ফাটানো নিয়ে দ্বিতীয় দিনের সংঘর্ষে এএসপিসহ অর্ধশত আহত
মাদারীপুরের রাজৈরে বাজি ফাটানো নিয়ে দ্বন্দ্বের জেরে টানা দুই দিন ধরে দুই গ্রামের মধ্যে সংঘর্ষ হয়েছে। এসময় বেশ কয়েকটি ককটেল বিস্ফোরণ, পুলিশের টিয়ারশেল নিক্ষেপ ও অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটে। এতে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (এএসপি) ও কয়েকজন পুলিশ কর্মকর্তাসহ অন্তত অর্ধশত আহত হয়। পরে সেনাবাহিনী, পুলিশ, র্যাব ও ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা কয়েক ঘণ্টা যৌথ প্রচেষ্টা চালিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
রোববার (১৩ এপ্রিল) সন্ধ্যা ৬টা থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত ৪ ঘণ্টাব্যাপী রাজৈর উপজেলা সদরের বেপারীপাড়া মোড়ে বদরপাশা ও পশ্চিম রাজৈর গ্রামের মধ্যে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এসময় ১০/১২টি দোকানে ভাঙচুর ও লুটপাট চালানো হয়।
বিস্তারিত আসছে...