দিমুথ করুণারত্নের বিদায়ী টেস্ট স্মরণীয় করে রাখতে ব্যর্থ হলো শ্রীলঙ্কা। গলে প্রথম টেস্টে ইনিংস ব্যবধানে হারের পর দ্বিতীয় টেস্টেও ৯ উইকেটের বড় ব্যবধানে পরাজিত হয়েছে স্বাগতিকরা। এই জয়ে ১৪ বছর পর শ্রীলঙ্কার মাটিতে টেস্ট সিরিজ জিতল অস্ট্রেলিয়া।  

এশিয়ার মাটিতে এটি অজিদের দ্বিতীয় টেস্ট সিরিজ জয়। এর আগে ২০২২ সালে পাকিস্তানে সিরিজ জিতেছিল তারা। এবার শ্রীলঙ্কায় একই সাফল্যের দেখা পেল দলটি। সিরিজের নায়ক স্টিভেন স্মিথ, যিনি ২৭২ রান করে সিরিজসেরা হয়েছেন।  

অস্ট্রেলিয়া শ্রীলঙ্কার মাটিতে সর্বশেষ টেস্ট সিরিজ জিতেছিল ২০১১ সালে। এরপর দুই দফা সফর করেও সিরিজ জয়ের স্বাদ পায়নি তারা। এবার সেই হতাশা ঘুচিয়ে ঘরের মাঠে লঙ্কানদের হারিয়ে দিলো প্যাট কামিন্সের দল।  

গলের দ্বিতীয় টেস্টের চতুর্থ দিন ৮ উইকেটে ২১১ রান নিয়ে ব্যাটিং শুরু করে শ্রীলঙ্কা, তখন তাদের লিড ছিল মাত্র ৫৪ রান। শেষ পর্যন্ত ৭৫ রানের লক্ষ্য ছুড়ে দিতে সক্ষম হয় স্বাগতিকরা। অজিরা সহজেই মাত্র ১ উইকেট হারিয়ে সেই লক্ষ্যে পৌঁছে যায়।  

শ্রীলঙ্কার ব্যাটিং ব্যর্থতার পেছনে বড় ভূমিকা রেখেছেন অস্ট্রেলিয়ার দুই স্পিনার নাথান লায়ন ও ম্যাথু কুনেম্যান। দুই ইনিংস মিলিয়ে দুজনেই নিয়েছেন ৭টি করে উইকেট। পুরো সিরিজে তারা ৩০ উইকেট শিকার করেছেন, কুনেম্যান ১৬টি ও লায়ন ১৪টি। তাদের ঘূর্ণি জাদুতেই শ্রীলঙ্কা নিজেদের মাটিতে বিধ্বস্ত হয়েছে।

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: উইক ট

এছাড়াও পড়ুন:

শরীয়তপুরের জাজিরায় আবারও সংঘর্ষ, মুহুর্মুহু ককটেল বিস্ফোরণ

শরীয়তপুরের জাজিরা উপজেলায় আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এ সময় শতাধিক ককটেল (হাতবোমা) বিস্ফোরণ ঘটানো হয়।

গতকাল রোববার দুপুরে জয়নগর ইউনিয়নের ছাব্বিশপারা এলাকায় এ সংঘর্ষ হয়। এতে এক তরুণের হাতের কব্জিতে গুরুতর ক্ষত হয় এবং আরও একজন আহত হন।

জাজিরা থানা ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, জয়নগর ইউনিয়নের ছাব্বিশপারা এলাকায় তেজগাঁও কলেজ শাখা ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক মিঠুন ঢালী ও জয়নগর ইউনিয়ন পরিষদের ২ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য হালিম তালুকদারের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে আধিপত্য বিস্তার নিয়ে বিরোধ চলছে। আওয়ামী লীগ সরকার পতনের পর এই দুই নেতা আত্মগোপনে গেলে স্থানীয় পর্যায়ে তাদের পক্ষ থেকে নেতৃত্ব দিচ্ছেন জসিম তালুকদার ও নুর আলম সরদার।

রোববার দুপুরে দুই পক্ষের লোকজন দেশীয় অস্ত্র ও ককটেল নিয়ে সংঘর্ষের প্রস্তুতি নেয়। এ সময় নুর আলম সরদারের অনুসারীরা প্রতিপক্ষের ওপর ককটেল বোমা নিক্ষেপ করে। এরপর উভয় পক্ষ ঘণ্টা-ব্যাপী সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। চলে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া, ককটেল বিস্ফোরণ ও মারামারি। পরে পুলিশ, র‌্যাব ও সেনাবাহিনীর সদস্যরা গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন।

সংঘর্ষের কিছু দৃশ্য স্থানীয় এক ব্যক্তির সিসিটিভি ক্যামেরায় ধারণ হয়, যা ইতোমধ্যে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে। ৪ মিনিট ৪৪ সেকেন্ডের সেই ভিডিওতে দেখা যায়, এক পক্ষের সমর্থকরা বালতিতে করে ককটেল নিয়ে প্রতিপক্ষের দিকে নিক্ষেপ করছেন। তাদের হাতে ছিল টেঁটা, রামদা, ছেনদা, বল্লম, ডাল-সুরকি ও অন্যান্য দেশীয় অস্ত্র।

সম্প্রতি জাজিরার বিলাশপুরে সংঘর্ষের ঘটনায় খইয়ের মতো ককটেল বিস্ফোরণ দেশজুড়ে আলোচিত হয়। গত ৫ এপ্রিল সেখানে দুই শতাধিক ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে, যা এখনও আলোচনায় রয়েছে। সেই ঘটনার রেশ কাটতে না কাটতেই আবারও ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটলো ছাব্বিশপারা এলাকায়।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে জাজিরা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) দুলাল আখন্দ বলেন, গতকাল দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এ সময় বেশ কিছু হাতবোমা বিস্ফোরিত হয় বলে জানতে পেরেছি। পরে পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। বর্তমানে পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে। এ ঘটনায় একটি মামলা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ