জীবনঘনিষ্ঠ গল্প বলেই চরিত্রে মিশে গেছি: ফারিন খান
Published: 9th, February 2025 GMT
মডেল হিসেবে দর্শক নজর কেড়েছেন অনেক আগেই। এবার অভিনেত্রী হিসেবে নিজেকে প্রমাণ করার চেষ্টা করে যাচ্ছেন ফারিন খান। সেই ভাবনা থেকে একের পর এক নতুন গল্প ও চরিত্রে অভিনয়ের মধ্য দিয়ে নিজেকে পর্দায় তুলে ধরছেন। এবার অভিনয় করলেন ‘প্রথম প্রেমের গল্প’ নামের ভিন্ন ধাঁচের নাটকে।
এটি পরিচালনা করেছেন রুবেল আনুশ। নির্মাতার গল্প ভাবনা থেকে নাটকের চিত্রনাট্য ও সংলাপ লিখেছেন আব্রাহাম তামিম। নাটকে ফারিনের বিপরীতে অভিনয় করেছেন পার্থ শেখ। বিভিন্ন চরিত্রে অভিনয় করেছেন শিল্পী সরকার অপু, মিলি বাশার, সাফিজ মামুন, ফাতেমা নাইস প্রমুখ। ভালোবাসা দিবস উপলক্ষে শিগগিরই নাটকটি ক্লাব এলিভেন এন্টারটেইনমেন্টের ইউটিউব চ্যানেলে প্রকাশ করা হবে।
ফারিন খানের কথায়, ‘ভালোবাসার গল্পে যে অনেক বাঁকবদল থাকতে পারে, তা এই নাটকের মধ্য দিয়ে নির্মাতা তুলে ধরার চেষ্টা করেছেন। নাটকের চরিত্রগুলোতেও পাওয়া যাবে চেনা মানুষের ছায়া। সে কারণে দর্শক নাটকের কাহিনির সঙ্গে সহজেই মিশে যেতে পারবেন। একই সঙ্গে চরিত্রগুলোর নানা ঘটনার মধ্য দিয়ে যাপিত জীবনের অনেক মিল খুঁজে নিতে পারবেন। জীবনঘনিষ্ঠ গল্প বলেই চেষ্টা করেছি চরিত্রের সঙ্গে মিশে গিয়ে পরিচালকের নির্দেশ মতো অভিনয় করে যাওয়ার। আশা করছি, প্রথম প্রেমের গল্প অভিনয় ক্যারিয়ারে আলোচিত একটি কাজ হয়ে থাকবে।’
পাশাপাশি ‘আজান’ নামে আরেকটি নাটকে অভিনয় করেছেন ফারিন খান। এর গল্প ও চিত্রনাট্য লিখেছেন এবং পরিচালনা করেছেন পুলক অনিল। এতে ফরিনের বিপরীতে দেখা যাবে ইরাফান সাজ্জাদকে। নাটকটি নিয়ে আশার কথা শুনিয়েছেন তরুণ এ অভিনেত্রী।
ফারিন বলেন, ‘সমসাময়িক তারকাদের মতো অভিনয়ে পারদর্শী না হলেও ভালো কাজের জন্য আমি ভীষণভাবে তৃষিত। আমার এই তৃষ্ণা পরিণত শিল্পী হয়ে ওঠার। তাই ক্যামেরার সামনে দাঁড়ালে আমার উপলব্ধি এটিই, অভিনয় হলো জীবনের প্রতিচ্ছবি, যা নানা রঙে আঁকতে হবে। ঘটনাবহুল নানা অধ্যায়ের মধ্য দিয়ে যে কাহিনির বিন্যাস, তা সুনিপুণ অভিনয় দিয়েই বাস্তব করে তুলতে হবে। এ কারণেই প্রতিনিয়ত কিছু না কিছু শেখার চেষ্টা করে যাচ্ছি। কখনও অগ্রজ শিল্পী ও নির্মাতাদের কাছে, কখনও আশপাশের মানুষ ও তাদের যাপিত জীবন দেখে। এভাবেই একটু একটু করে পরিণত শিল্পী হয়ে ওঠার চেষ্টায় আছি।’
.উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: কর ছ ন
এছাড়াও পড়ুন:
মৌলিক সংস্কার ছাড়া নির্বাচন হলে তা হবে নির্বাচনের গণহত্যা: জামায়াত আমির
জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান বলেছেন, নির্বাচনের আগে মৌলিক সংস্কার প্রয়োজন। মৌলিক কিছু সংস্কার করা না গেলে সুষ্ঠু নির্বাচন সম্ভব হবে না। এই অবস্থায় নির্বাচন দেওয়া হলে, তা হবে নির্বাচনের জেনোসাইড বা নির্বাচনের গণহত্যা। আমরা এটা চাই না। আমরা চাই, সুষ্ঠু পরিবেশ সৃষ্টির পর নির্বাচন।
রোববার বিকেলে জামায়াতের সিলেট মহানগর শাখা আয়োজিত শিক্ষা উপকরণ বিতরণ অনুষ্ঠান শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।
আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে শফিকুর রহমান বলেন, দেশ স্বাধীনের পর থেকে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি কখনও একটু ভালো, কখনও খারাপ হয়েছে। কিন্তু খুব ভালো কখনও ছিল না। খুব ভালো কখনও হবে না। যতক্ষণ পর্যন্ত রাজনৈতিক নেতাদের সিদ্ধান্ত সঠিক না হবে। ওই সিদ্ধান্ত যখন সঠিক হবে, সততা ও স্বচ্ছতার ভিত্তিতে হবে, তখন শুধু আইনশৃঙ্খলা নয়; সবকিছুর উন্নতি হবে।
নির্বাচিত সরকার সব সময় ভালো হয় না মন্তব্য করে জামায়াত আমির বলেন, নির্বাচিত সরকার দাবি করে গত ১৫ বছর ফ্যাসিস্টরা ক্ষমতা আঁকড়ে ছিল। তারাই তো দেশের এই অবস্থা করে গেছে। সরকার নির্বাচিত হলেই যে ভালো হবে, তা বলা যাবে না। ভালো সরকার হতে হলে ভালো মানুষের দ্বারা সরকার গঠিত হতে হবে। যাদের অতীত ও বর্তমান ভালো, তাদের দিয়েই ভবিষ্যৎ ভালো হবে– এটা আশা করা যায়।
এর আগে কেন্দ্রীয় মুসলিম সাহিত্য সংসদের শহীদ সোলেমান হলে সিলেট মহানগর জামায়াতের উদ্যোগে শিক্ষা উপকরণ বিতরণ করা হয়। নগর জামায়াতের আমির ফখরুল ইসলামের সভাপতিত্বে ও সেক্রেটারি শাহজাহান আলীর পরিচালনায় অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন দৈনিক জালালাবাদ সম্পাদক মুকতাবিস-উন-নূর, সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক সুলতান আহমদ, আব্দুস সালাম আল মাদানী প্রমুখ।