বিয়ে-বিচ্ছেদ নিয়ে কারিনার রহস্যময় পোস্ট, উড়ছে নানা জল্পনা
Published: 9th, February 2025 GMT
বলিউড অভিনেত্রী কারিনা কাপুর খান ভালোবেসে ঘর বেঁধেছেন অভিনেতা সাইফ আলী খানের সঙ্গে। স্বামীর ওপরে হামলা হওয়ার পর থেকে কঠিন সময় পার করছেন। এরই মধ্যে বিয়ে-বিচ্ছেদ নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট দিয়ে রহস্য তৈরি করলেন কারিনা কাপুর খান।
‘রিফিউজি’ তারকা কারিনা কাপুর খান তার ইনস্টাগ্রাম স্টোরিতে একটি পোস্ট দিয়েছেন। তাতে এই অভিনেত্রী বলেন, “বিয়ে, বিচ্ছেদ, উদ্বিগ্নতা, সন্তান জন্মদান, প্রিয়জনের মৃত্যু, অভিভাবকত্ব— তুমি কখনো বুঝবে না, যতক্ষণ এসব তোমার সঙ্গে না ঘটবে। জীবনের বিভিন্ন অবস্থা নিয়ে অনুমান, তত্ত্ব এবং বাস্তবতা কখনো এক নয়। তুমি বিনয়ী না হওয়া পর্যন্ত নিজেকে সবচেয়ে বুদ্ধিমান মনে করবে।”
গত ১৫ জানুয়ারি দিবাগত মধ্যরাতে মুম্বাইয়ের বান্দ্রার বাড়িতে এক দুর্বৃত্ত ঢুকে সাইফ আলী খানকে গুরুতর আহত করেন। এ ঘটনা নিয়ে নানা ধরনের জল্পনা চলছে। একজন গ্রেপ্তার হয়েছেন।
আরো পড়ুন:
সাইফের ওপরে হামলা: চর্চিত অমীমাংসিত পাঁচ প্রশ্ন
সাইফের ওপরে হামলার অভিযোগে আটক, বিয়ে ভাঙল সেই যুবকের
নানা যুক্তি দেখিয়ে কেউ কেউ দাবি করেছেন— “দাম্পত্য কলহ থেকে আহত হন সাইফ। এজন্য দায়ী কারিনা।” এরই মাঝে কারিনার এই পোস্ট সমালোচনার আগুনে ঘি ঢেলেছে। প্রশ্ন উঠেছে, ভেঙে যাচ্ছে কি এই দম্পতির সংসার? যদিও এই প্রশ্নের উত্তর পাওয়া যায়নি।
অভিনেত্রী অমৃতা সিংয়ের সঙ্গে বিবাহবিচ্ছেদের পর কারিনা কাপুরের সঙ্গে সম্পর্কে জড়ান সাইফ আলী খান। ২০০৭ সালে ‘টশান’ সিনেমার শুটিংয়ের সময় পরস্পরের প্রেমে পড়েন তারা। এরপর দীর্ঘ পাঁচ বছর লিভ-ইন সম্পর্কে ছিলেন এই জুটি।
২০১২ সালে বিয়ে করেন সাইফ-কারিনা। ২০১৬ সালে জন্ম নেয় এ দম্পতির প্রথম সন্তান তৈমুর আলী খান। ২০২১ সালের ২১ ফ্রেব্রুয়ারি এ জুটির সংসার আলো করে জন্ম নেয় দ্বিতীয় পুত্র সন্তান।
ঢাকা/শান্ত
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
১ টাকার ইফতারির দোকান
চাঁপাইনবাবগঞ্জ শহরের ফরিদা বেগমের স্বামী মারা গেছেন আগেই। একমাত্র ছেলে আলাদা সংসার করেছেন, তাঁর খোঁজ রাখেন না। তিনি থাকেন বস্তির খুপরি ঘরে। চার মেয়ের মধ্যে দু’জনের জামাই মারা যাওয়ায় তাদের চার সন্তানসহ থাকেন একসঙ্গে। এক নাতি প্রতিবন্দ্বী। মেয়েরা অন্যের বাড়ি কাজ করেও সংসার চালাতে হিমশিম খেতে হয়। ইফতারি কেনা তাঁর কাছে বিলাসিতা। নাতিকে নিয়ে ১ টাকার ইফতারির দোকানে এসেছিলেন তিনি।
ফরিদা বেগমের ভাষ্য, ‘১ টাকায় কি কিছু পাওয়া যায়? কিন্তু তারা ইফতারি দিচ্ছেন। এতেই আমরা খুশি। আমরা গরিবরা যেন রোজার মাসটা একটু খেয়ে ভালো থাকতে পারি।’ জেলা বিএনপি ও স্বেচ্ছাসেবক দলের উদ্যোগে প্রথমবারের মতো ১ টাকার ইফতারির দোকান বসানো হয়েছে। এখানে দুপুর থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত ভিড় লেগেই থাকে। বিকেল ৪টা থেকে খোলার কথা থাকলেও দুপুরেই লম্বা লাইন লেগে যায়।
শহরের সরকারি কলেজগেট এলাকায় বসানো দোকানটি নিম্ন আয়ের মানুষের ইফতারি কেনার ঠিকানা হয়ে উঠেছে। সেখানে গিয়ে দেখা যায়, মানুষের দীর্ঘ লাইন লেগে রয়েছে। ইফতারসামগ্রী আনতে আনতে ৩টা বেজে যায়। ৪টায় শুরুর কথা থাকলেও চাহিদা বিবেচনায় আগেই বিক্রি শুরু হয়ে যায়। মাত্র ১ টাকার বিনিময়ে কেনা যায় একটি করে পেঁয়াজু, বেগুনি, ছোলা, শসার টুকরো, খেজুর, জিলাপি, মুড়ি ও সবজি বড়া।
শনিবার বিকেলে আয়োজকদের তৈরি সামগ্রী শেষ হওয়ার পরও অপেক্ষায় ছিলেন মানুষ। ফলে আরও কিছু ইফতারসামগ্রী আনা হয় তাদের জন্য। আয়োজকরা জানান, তৃতীয় রোজা থেকে শুরু হওয়া এ উদ্যোগ চলবে রমজানের শেষ পর্যন্ত। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক ক্রেতা বলছিলেন, বাজারে চারজনের ইফতারসামগ্রী কিনতে গেলে অন্তত ৮০ টাকা লাগে। এখানে মাত্র ১ টাকায় তারা পাচ্ছেন। মাসে ৮ হাজার টাকা আয় দিয়ে সংসার চালানো দায়। একটু খারাপ লাগলেও এ সুযোগটা তিনি নিচ্ছেন।
মানবাধিকার বাস্তবায়ন সংস্থার চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা কমিটির সাধারণ সম্পাদক মোয়াজ্জেম হোসেন মেহেদী বলেন, রাজনৈতিক দলগুলোর প্রতি মানুষের আস্থা দিন দিন কমছে। তখন এ ধরনের উদ্যোগ অনুকরণীয় দৃষ্টান্ত। এ ধরনের ইতিবাচক দিক সব দলে থাকলে দেশে খারাপ বলতে কিছু থাকবে না।
ইফতারসামগ্রী বিতরণে নিয়োজিত ছিলেন স্বেচ্ছাসেবী বাবর আলী রুমন। তিনি বলেন, অসহায় মানুষ যেন এটাকে দান মনে না করে। তাদের সম্মানের কথা ভেবেই ১ টাকার বিনিময়ে এসব সামগ্রী দেওয়া হচ্ছে। প্রতিদিন ২০০ জনকে ইফতারি দেওয়ার উদ্যোগ নিলেও চাহিদা বেশি থাকায় তারা বিব্রত হন। অনেক সময় ম্যানেজ করে বিতরণ করা হচ্ছে।
বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার রোগ মুক্তি এবং জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি প্রয়াত আনোয়ার হোসেনের রুহের মাগফেরাত কামনায় এ উদ্যোগ নিয়েছেন বলে জানান জেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সদস্য সচিব মো. রফিকুল ইসলাম। তিনি বলেন, স্বেচ্ছাসেবক দলের নেতাকর্মীরা ইফতারসামগ্রী বিতরণে সহায়তা করছেন। ১২ পদের ১ টাকার ইফতারি প্রতিদিন ২০০ জনকে দেওয়া হলেও এর পরিমাণ বাড়ানোর চেষ্টা চলছে।