‘এ কম্বলগা আঁর বহুত উপকারে আইবো’
Published: 9th, February 2025 GMT
‘শীতে বেয়া (বাঁকা) হই গেছি। এ কম্বলগা আঁর বহুত উপকারে আইবো। তোন্ডারে (তোমাদের) আল্লাহ বাঁচাই রাখোক। তোন্ডা অনেক বড় হও, তোন্ডা লাই দোয়া রইল।’ প্রথম আলো বন্ধুসভার দেওয়া একটি কম্বল পেয়ে এসব কথা বলেন ষাটোর্ধ্ব সুফিয়া বেগম। গতকাল শনিবার সকালে ফেনীর সোনাগাজী উপজেলার বগাদানা ইউনিয়নের বকুলতলা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় প্রাঙ্গণে কম্বল তুলে দেওয়া হয় স্থানীয় বাসিন্দা সুফিয়া বেগমের হাতে। একই দিনে তাঁর মতো শতাধিক শীতার্ত মানুষকে কম্বল দিয়েছে প্রথম আলো ফেনী বন্ধুসভা।
কম্বল বিতরণ কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) কামরুল হাসান। কম্বল হাতে পেয়ে বাদুরিয়া এলাকার মিজানুর রহমান বলেন, ‘গেল বছর ভয়াবহ বন্যার পর এ বছর এই প্রথম আমাদের কেউ কম্বল দিয়েছে। এ কম্বল গায়ে দিয়ে শীতের শেষ সময়টুকু আরামে ঘুমাতে পারব।’
প্রথম আলো ফেনী বন্ধুসভার সভাপতি জান্নাত আক্তার জাহানের সভাপতিত্বে ও কুঠিরহাট সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আবু তৈয়বের সঞ্চালনায় কম্বল বিতরণের অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন বকুলতলা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সাবিনা ইয়াসমিন, বীর মুক্তিযোদ্ধা আবু তাহের, ফেনী বন্ধুসভার উপদেষ্টা আমজাদ হোসাইন, বিষ্ণুপুর উচ্চবিদ্যালয়ের সাবেক শিক্ষক খোরশেদ আলম প্রমুখ।
কম্বল বিতরণের সময় আরও উপস্থিত ছিলেন ফেনী বন্ধুসভার সহসভাপতি মো.
প্রথম আলো ফেনী বন্ধুসভার সভাপতি জান্নাত আক্তার বলেন, ‘প্রতিবারের মতো এবারও প্রথম আলো বন্ধুসভার পক্ষ থেকে শীতার্ত মানুষের পাশে দাঁড়াতে চেষ্টা করেছি। কম্বল নিতে বিভিন্ন বয়সী মানুষ বিদ্যালয় প্রাঙ্গণে সকাল থেকে ভিড় করেন। বন্ধুসভার সদস্যরা সবাইকে কম্বল তুলে দেন।’
উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
কথিত আন্দোলন আর মবের মহড়া এখন থেকে শক্ত হাতে মোকাবেলা করব
যারা মব করবে তাদের ডেভিল হিসেবে ট্রিট করা হবে বলে মন্তব্য করেছেন উপদেষ্টা মাহফুজ আলম। সোমবার নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক আইডিতে দেওয়া এক পোস্টে তিনি এ মন্তব্য করেন।
উপদেষ্টা বলেন, অভ্যুত্থানের পক্ষে হলে মব করা বন্ধ করেন, আর যদি মব করেন, তাইলে আপনাদেরও ডেভিল হিসাবে ট্রিট করা হবে। আজকের ঘটনার পর আর কোন অনুরোধ করা হবে না। আপনাদের কাজ না আইন নিজের হাতে তুলে নেওয়া।
তিনি আরো বলেন, কথিত আন্দোলন আর মবের মহড়া আমরা এখন থেকে শক্ত হাতে মোকাবেলা করব। রাষ্ট্রকে অকার্যকর এবং ব্যর্থ প্রমাণের চেষ্টা করা হলে একবিন্দু ছাড় দেওয়া হবে না।
মাহফুজ আলম বলেন, তৌহিদী জনতা! আপনারা দেড় দশক পরে শান্তিতে ধর্ম ও সংস্কৃতি পালনের সুযোগ পেয়েছেন। আপনাদের আহমকি কিংবা উগ্রতা আপনাদের সে শান্তি বিনষ্টের কারণ হতে যাচ্ছে।
সবার উদ্দেশে তিনি বলেন, জুলুম করা থেকে বিরত থাকেন, নইলে আপনাদের উপর জুলুম অবধারিত হবে। লা তাযলিমুনা ওলা তুযলামুনা- যুলুম করবেন না, যুলুমের শিকারও হবেন না। এটাই আপনাদের কাছে শেষ অনুরোধ!
এএ