মুন্সীগঞ্জ সদর উপজেলার চরাঞ্চলে অবস্থিত মোল্লাকান্দি ইউনিয়নে দীর্ঘ ১৬ বছর পর সভা করেছে বিএনপি। গতকাল শনিবার বিকেল ৪টার দিকে চরডুমুরিয়া বাজারের ঈদগা মাঠে কর্মিসভা করে ইউনিয়ন বিএনপি।

সভায় নেতারা বলেন, আওয়ামী লীগের শাসনামলে তারা ১৬ বছর ধরে চরাঞ্চলের পাঁচটি ইউনিয়নসহ জেলার কোথাও সভা-সমাবেশ করতে পারেননি। এ কারণে শনিবারের সমাবেশে শত শত নেতাকর্মী উৎসাহ-উদ্দীপনার সঙ্গে অংশ নেন।

সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে মুন্সীগঞ্জ জেলা বিএনপির সদস্য সচিব মহিউদ্দিন আহম্মেদ বলেন, দীর্ঘ সময় ধরে আওয়ামী লীগের সন্ত্রাসী বাহিনীর হামলা-মামলা, জুলুম-নির্যাতনের শিকার হয়েছে অসংখ্য বিএনপি নেতাকর্মী। তাদেরবাড়িঘর ভাঙচুর ও লুটপাট চালিয়েছে আওয়ামী সন্ত্রাসীরা। গ্রাম থেকে বিতাড়িত হয়ে বছরের পর বছর তাদের অন্য জায়গায় মানবেতর জীবনযাপন করতে হয়েছে।

সমাবেশে আরও বক্তব্য দেন– মুন্সীগঞ্জ সদর উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক সাইদুর রহমান ফকির, বিএনপি নেতা আতোয়ার হোসেন আতিক মল্লিক, শহর বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক শহীদুল ইসলাম, শহর ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি এনামুল হক, কামালউদ্দিন আহমেদ, জেলা যুবদলের সদস্য সচিব মাসুদ রানা প্রমুখ।
 

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: ব এনপ ব এনপ র

এছাড়াও পড়ুন:

শরীয়তপুরের জাজিরায় আবারও সংঘর্ষ, মুহুর্মুহু ককটেল বিস্ফোরণ

শরীয়তপুরের জাজিরা উপজেলায় আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এ সময় শতাধিক ককটেল (হাতবোমা) বিস্ফোরণ ঘটানো হয়।

গতকাল রোববার দুপুরে জয়নগর ইউনিয়নের ছাব্বিশপারা এলাকায় এ সংঘর্ষ হয়। এতে এক তরুণের হাতের কব্জিতে গুরুতর ক্ষত হয় এবং আরও একজন আহত হন।

জাজিরা থানা ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, জয়নগর ইউনিয়নের ছাব্বিশপারা এলাকায় তেজগাঁও কলেজ শাখা ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক মিঠুন ঢালী ও জয়নগর ইউনিয়ন পরিষদের ২ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য হালিম তালুকদারের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে আধিপত্য বিস্তার নিয়ে বিরোধ চলছে। আওয়ামী লীগ সরকার পতনের পর এই দুই নেতা আত্মগোপনে গেলে স্থানীয় পর্যায়ে তাদের পক্ষ থেকে নেতৃত্ব দিচ্ছেন জসিম তালুকদার ও নুর আলম সরদার।

রোববার দুপুরে দুই পক্ষের লোকজন দেশীয় অস্ত্র ও ককটেল নিয়ে সংঘর্ষের প্রস্তুতি নেয়। এ সময় নুর আলম সরদারের অনুসারীরা প্রতিপক্ষের ওপর ককটেল বোমা নিক্ষেপ করে। এরপর উভয় পক্ষ ঘণ্টা-ব্যাপী সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। চলে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া, ককটেল বিস্ফোরণ ও মারামারি। পরে পুলিশ, র‌্যাব ও সেনাবাহিনীর সদস্যরা গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন।

সংঘর্ষের কিছু দৃশ্য স্থানীয় এক ব্যক্তির সিসিটিভি ক্যামেরায় ধারণ হয়, যা ইতোমধ্যে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে। ৪ মিনিট ৪৪ সেকেন্ডের সেই ভিডিওতে দেখা যায়, এক পক্ষের সমর্থকরা বালতিতে করে ককটেল নিয়ে প্রতিপক্ষের দিকে নিক্ষেপ করছেন। তাদের হাতে ছিল টেঁটা, রামদা, ছেনদা, বল্লম, ডাল-সুরকি ও অন্যান্য দেশীয় অস্ত্র।

সম্প্রতি জাজিরার বিলাশপুরে সংঘর্ষের ঘটনায় খইয়ের মতো ককটেল বিস্ফোরণ দেশজুড়ে আলোচিত হয়। গত ৫ এপ্রিল সেখানে দুই শতাধিক ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে, যা এখনও আলোচনায় রয়েছে। সেই ঘটনার রেশ কাটতে না কাটতেই আবারও ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটলো ছাব্বিশপারা এলাকায়।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে জাজিরা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) দুলাল আখন্দ বলেন, গতকাল দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এ সময় বেশ কিছু হাতবোমা বিস্ফোরিত হয় বলে জানতে পেরেছি। পরে পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। বর্তমানে পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে। এ ঘটনায় একটি মামলা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ