দুই জেলায় শৈত্যপ্রবাহ, এমন অবস্থা কয় দিন থাকতে পারে
Published: 9th, February 2025 GMT
দেশের দুই জেলায় আজ রোববার বইছে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ। গতকাল শনিবার থেকেই এ শৈত্যপ্রবাহ শুরু হয়েছে। আবহাওয়া অধিদপ্তর বলছে, আগামীকাল রোববার থেকেই তাপমাত্রা আবার বাড়তে পারে। তিন থেকে চার দিন ধরে তাপমাত্রা বাড়তে পারে। তারপর এ তাপমাত্রা আবার কমে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
আজ দেশের যে দুই জেলায় শৈত্যপ্রবাহ বইছে, সেগুলো হলো মৌলভীবাজার ও রাজশাহী। আজ মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গলে দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৮ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আর রাজশাহীর সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
যদি কোনো এলাকার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ৮ দশমিক ১ থেকে ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াস হয়, তবে সেই এলাকায় মৃদু শৈত্যপ্রবাহ বয়ে গেছে বলে ধরা হয়। আর সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ৬ দশমিক ১ থেকে ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস হলে তাকে মাঝারি শৈত্যপ্রবাহ বলা হয়। তাপমাত্রা ৪ দশমিক ১ থেকে ৬ ডিগ্রি হলে তা তীব্র শৈত্যপ্রবাহ। আর অতি তীব্র শৈত্যপ্রবাহ তখনই হয়, যখন সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াসের নিচে থাকে।
আবহাওয়া অধিদপ্তরের আবহাওয়াবিদ মো.
চলতি বছর শীত মৌসুমে দেশে স্বাভাবিক শীত পড়েনি। ডিসেম্বর ও জানুয়ারি মাসে তাপমাত্রা স্বাভাবিকের চেয়ে শূন্য দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস বেশি ছিল। জানুয়ারি মাসের শেষে আবার শৈত্যপ্রবাহ শুরু হয়। তবে ওই মাসে কোনো তীব্র শৈত্যপ্রবাহ হয়নি কোনো স্থানে। ২০১৬ সালের পর দেশে এমনটা হয়নি বলে আবহাওয়া অধিদপ্তরের তথ্য।
এরপর গতকাল থেকে দেশের দুই জেলায় শৈত্যপ্রবাহ শুরু হয় দুই জেলায়।
তিন থেকে চার দিন পর তাপমাত্রা কমে কি নতুন করে কোথাও শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা আছে—এ প্রশ্নের উত্তরে শাহীনুল ইসলাম বলছিলেন, শৈত্যপ্রবাহ হবে কি না, তা নিশ্চিত করে বলা যায় না। তাপমাত্রা কমবে, কিন্তু শৈত্যপ্রবাহ হওয়ার সম্ভাবনা কম।
আজ রাজধানীতে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১৬ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
দই-চিড়ার স্বাস্থ্য উপকারিতা
ইফতারে এমন খাবার গ্রহণ করা জরুরি যা শরীরে সহজে শক্তি যোগাতে পারে এবং পানিশূন্যতা দূর করে। পুষ্টিবিদ নাহিদা আহমেদ একটি ভিডিও সাক্ষাতকারে বলেন, ‘‘রোজার মাসে কম বেশি গরমের মধ্যে রোজা পড়লে আমাদের পানিশূন্যতা তৈরি হয়। সেজন্য এই সময় খাদ্য তালিকা এমনভাবে সাজাতে হবে যাতে আমাদের পানিশূন্যতা তৈরি না হয়। ইফতারে সর্ব প্রথম খেজুর মুখে দিতে পারেন। এরপর সামান্য পানি পান করতে হবে। এরপর মৌসুমী ফলের জুস পান করতে পারেন। এরপর দই চিড়া খেতে পারেন। দই চিড়া পুষ্টিকর খাবার এবং এটি শক্তি যোগাতে সাহায্য করে।’’
দই-চিড়ার নানা স্বাস্থ্য উপকারিতা রয়েছে—
১. দই-চিড়া খেলে দ্রুত শক্তি পাওয়া যায়। এতে ক্যালরির মাত্রা খুব বেশি নয়। ফলে ওজনও নিয়ন্ত্রণে থাকে।
২. দই-চিড়া সহজে হজম হয়। এই খাবার অন্যান্য খাবার হজমেও সহায়তা করে। ফলে কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা দূর হয়।
৩. লাল চিড়ায় থাকে আঁশ। লাল চিড়া কেলে কোষ্ঠকাঠিন্য প্রতিরোধ হয় আবার পেটও ভরা থাকে।
৪. দিনে রোজা রাখার পর ইফতারে দই-চিড়া খেলে এতে থাকা আমিষ সহজেই শরীরকে সতেজ করে তুলতে পারে।
পুষ্টিবিদদের পরামর্শ, দই-চিড়ার সঙ্গে কলা বা অন্যান্য ফলও যোগ করে খাওয়া যায়। এতে খাবারের স্বাদ ও পুষ্টিগুণ আরও বেড়ে যায়। বিশেষ করে দই চিড়ার সঙ্গে কলা যোগ করতে পারেন।
ঢাকা/লিপি