সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়া উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান ও উল্লাপাড়া উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সেলিনা মির্জা মুক্তিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। যৌথ বাহিনী শনিবার রাতে ঢাকার মিরপুরের বাসা থেকে আটক করে পল্লবী থানা পুলিশের কাছে তাঁকে সোপর্দ করে। 

মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক ও পলাশ ডাঙ্গা যুব শিবিরের পরিচালক মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল লতিফ মির্জার মেয়ে সেলিনা মির্জা মুক্তি। ২০২৪ সালের উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে তিনি জয়লাভ করেন। 

ঢাকার পল্লবী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা নজরুল ইসলাম রোববার সেলিনা মির্জা মুক্তিকে গ্রেপ্তারের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, বর্তমানে তাঁকে থানা হেফাজতে রাখা হয়েছে। তাঁর বিরুদ্ধে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র জনতার আন্দলনের বিরোধিতা করার অভিযোগ রয়েছে। 

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: আটক উপজ ল

এছাড়াও পড়ুন:

গাজীপুরে হামলার ঘটনায় শিক্ষার্থীর মৃত্যু, হাসনাতের হুঁশিয়ারি 

গাজীপুরে সাবেক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হকের বাড়িতে শিক্ষার্থীদের ওপর হামলার ঘটনায় আহত শিক্ষার্থী আবুল কাসেম খাঁনের (১৭) মৃত্যু হয়েছে। তিনি অনুশীলন প্রি-ক্যাডেট একাডেমির অষ্টম শ্রেণির শিক্ষার্থী ছিলেন। 

বুধবার বিকেল ৩টায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের আইসিইউতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান। নিহত কাসেম গাজীপুরের বোর্ড বাজার এলাকার মৃত জামাল হাজীর ছেলে।

মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করে ঢামেক হাসপাতালের পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ মো. ফারুক জানান, মরদেহটি ময়নাতদন্তের জন্য হাসপাতাল মর্গে রাখা হয়েছে।

এদিকে শিক্ষার্থী কাশেমের মৃত্যুর ঘটনায় কড়া বার্তা দিয়েছেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আহ্বায়ক হাসনাত আব্দুল্লাহ। নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক আইডিতে দেওয়া এক পোস্টে হাসনাত বলেন, গাজীপুরে আওয়ামী সন্ত্রাসীদের হামলায় আহত কাসেম শহীদ হয়ে গেছেন। প্রতিবিপ্লবের প্রথম শহীদ আমার এই ভাই।’

তিনি আরও বলেন, ‘ইন্টেরিম, আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধ করো,করতে হবে।’

গত ৭ ফেব্রুয়ারি রাত সাড়ে ৯টার দিকে গাজীপুর মহানগরের ধীরাশ্রমের দক্ষিণখানে সাবেক মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হকের বাড়িতে হামলার ঘটনা ঘটে। এ সময় স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের হামলায় অন্তত ১৫ জন আহত হন। পরে ওইদিন দিবাগত রাত দেড়টার দিকে আহতদের মধ্যে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের ৫ জনকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে আনা হয়।

সম্পর্কিত নিবন্ধ