যুক্তরাষ্ট্রের পোশাক আমদানিতে বাংলাদেশের প্রবৃদ্ধি
Published: 9th, February 2025 GMT
সানবিডি২৪ এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি ফলো করুন
গত বছরে যুক্তরাষ্ট্রের পোশাক আমদানিতে কিছুটা হলেও প্রবৃদ্ধি অর্জন করেছে বাংলাদেশ। ২০২৪ সালের জানুয়ারি-ডিসেম্বর সময়কালে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে রপ্তানি মূল্য ০.৭৩% বৃদ্ধি অর্জন করেছে। ফলে এটি ৭.৩৪ বিলিয়ন ডলারে পৌঁছেছে। এছাড়া রপ্তানির পরিমাণও ৪ দশমিক ৮৬ শতাংশ বেড়েছে।
২০২৪ সালের জানুয়ারি থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত মার্কিন পোশাক আমদানির সর্বশেষ তথ্যে বৈশ্বিক পোশাক বাজারে প্রধান সরবরাহকারী দেশগুলোর পারফরম্যান্স দেখানো হয়েছে।
মার্কিন পোশাক আমদানিতে একটি পরিমিত সামগ্রিক প্রবৃদ্ধি সত্ত্বেও মূল্যে ১.
তবে সামগ্রিক বাজার প্রবণতার মতো বাংলাদেশেও ইউনিট দর ৩.৯৪% হ্রাস পেয়েছে, যা মুনাফায় সরাসরি প্রভাব ফেলছে।
অন্যান্য প্রধান পোশাক রফতানিকারক দেশের তুলনায় বাংলাদেশের পারফরম্যান্স ছিল মাঝারি। ভিয়েতনামের মূল্য ৫.৬৭% বৃদ্ধি এবং পরিমাণে ৯.৪৭% বৃদ্ধি পেয়েছে। অন্যদিকে ভারতের মূল্যে ৪.৯৫% এবং পরিমাণে ১৩.০৯% বৃদ্ধি হয়েছে। কম্বোডিয়ার ক্ষেত্রে মূল্য ১৪.৪৮% এবং পরিমাণ ১৮.৪৫% বেড়েছে। যা বাজারে প্রতিযোগিতামূলক প্রবণতা তুলে ধরে।
অন্যদিকে মেক্সিকো ও কোরিয়া চ্যালেঞ্জের মুখে পড়েছে। মেক্সিকোর পণ্য আমদানি মূল্যে ৬.৭৮% এবং পরিমাণে ১৫.১৮% হ্রাস পেয়েছে এবং কোরিয়ার ক্ষেত্রে মূল্য ১২.৯৪% এবং পরিমাণ ৫.৫৬% হ্রাস পেয়েছে।
বিজিএমইএর সাবেক পরিচালক, বাংলাদেশ অ্যাপারেল এক্সচেঞ্জের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এবং ডেনিম এক্সপার্ট লিমিটেডের অতিরিক্ত ব্যবস্থাপনা পরিচালক মহিউদ্দিন রুবেল বলেন, প্রধান সরবরাহকারীদের তুলনায় বাংলাদেশ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে রপ্তানিতে তুলনামূলকভাবে ধীর প্রবৃদ্ধি দেখিয়েছে। এ ক্ষেত্রে সমস্যাদি ও প্রতিযোগিতা মোকাবিলায় কৌশলগত উদ্যোগ গ্রহণ করা জরুরি।
বিএইচ
উৎস: SunBD 24
কীওয়ার্ড: প শ ক আমদ ন পর ম ণ
এছাড়াও পড়ুন:
মিরাজ বর্ষসেরা, দর্শকের হৃদয়ে জায়গা করে নিলেন ঋতুপর্ণা
বাংলাদেশ স্পোর্টস প্রেস অ্যাসোসিয়েশন (বিএসপিএ) আয়োজিত ‘কুল-বিএসপিএ স্পোর্টস অ্যাওয়ার্ড ২০২৪’ এ জয়ের মুকুট পড়েছেন দেশের শীর্ষ ক্রীড়াবিদরা। রাজধানীর এক অভিজাত হোটেলে অনুষ্ঠিত জমকালো অনুষ্ঠানে সম্মাননা পেয়েছেন ১৫ ক্যাটাগরিতে ১৩ জন ক্রীড়াবিদ, সংগঠক, সংস্থা ও দল।
বর্ষসেরা ক্রীড়াবিদ মেহেদী হাসান মিরাজ:
জাতীয় ক্রিকেট দলের অলরাউন্ডার মেহেদী হাসান মিরাজ পেয়েছেন ‘‘স্পোর্টস পারসন অব দ্য ইয়ার ২০২৪’’ খেতাব। তিনি পেছনে ফেলেছেন জাতীয় নারী ফুটবল দলের মিডফিল্ডার ঋতুপর্ণা চাকমা ও প্যারিস অলিম্পিকে কোয়ালিফাই করা আর্চার সাগর ইসলামকে। মিরাজ বলেছেন, “এই পুরস্কার প্রতিটি অ্যাথলেটের জন্য এক ধরনের অনুপ্রেরণা। বিভিন্ন ডিসিপ্লিনের ক্রীড়াবিদদের সঙ্গে দেখা হওয়ার সুযোগও তৈরি হয়।”
জনপ্রিয়তার শীর্ষে ঋতুপর্ণা:
ভোটে দর্শকের পছন্দ হিসেবে ‘‘পপুলার চয়েজ অ্যাওয়ার্ড’’ পেয়েছেন ঋতুপর্ণা চাকমা। তিনি জনপ্রিয়তার দৌড়ে হারিয়ে দিয়েছেন মিরাজ এবং উদীয়মান ক্রিকেটার নাহিদ রানাকে। ঋতুপর্ণা ভিডিও বার্তায় জানান, “বিএসপিএকে কৃতজ্ঞতা জানাই। ভুটানে খেলতে যাওয়ার কারণে থাকতে পারিনি, কিন্তু এই স্বীকৃতি আমাকে আরও ভালো খেলোয়াড় হয়ে ওঠার প্রেরণা দেবে।”
১৯৬২ সালে যাত্রা শুরু করা বিএসপিএ ১৯৬৪ সাল থেকে নিয়মিতভাবে দেশসেরা ক্রীড়াবিদদের স্বীকৃতি দিয়ে আসছে। এবারও সেই ধারাবাহিকতায় প্যান প্যাসিফিক সোনারগাঁও হোটেলে বসে তারার মেলা। অনুষ্ঠানটি উপস্থাপন করেন বিএসপিএ সভাপতি রেজওয়ান উজ জামান রাজিব।
অনুষ্ঠানে গেস্ট অব অনার হিসেবে উপস্থিত ছিলেন যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া ও স্কয়ার টয়লেট্রিজ লিমিটেডের এমডি অঞ্জন চৌধুরী।
উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ বলেন, “খেলাধুলায় ইতিবাচক পরিবর্তন আনতে সরকার কাজ করে যাচ্ছে। বাজেট বৃদ্ধির বিষয়েও আমরা সুপারিশ করেছি।” অঞ্জন চৌধুরী যোগ করেন, “জেলার খেলাধুলা অনেকটাই থেমে গেছে। সেখানেও যেন প্রাণ ফেরে, সেটাই কামনা করি। বিএসপিএ’র পাশে আগামীতেও থাকবো।”
২০২৪ সালের পুরস্কার বিজয়ীদের তালিকা:
বর্ষসেরা ক্রীড়াবিদ: মেহেদী হাসান মিরাজ (ক্রিকেট)।
পপুলার চয়েজ অ্যাওয়ার্ড: ঋতুপর্ণা চাকমা (ফুটবল)।
বর্ষসেরা ফুটবলার: ঋতুপর্ণা চাকমা।
বর্ষসেরা আর্চার: সাগর ইসলাম
বর্ষসেরা অ্যাথলেট (ট্র্যাক অ্যান্ড ফিল্ড): জহির রায়হান।
উদীয়মান ক্রীড়াবিদ: নাহিদ রানা (ক্রিকেট)।
বর্ষসেরা দাবাড়ু: মনন রেজা নীড়।
সেরা দলগত সাফল্য: অনূর্ধ্ব-২১ জাতীয় হকি দল।
সক্রিয় সংস্থা: যশোর শামস-উল-হুদা অ্যাকাডেমি।
বর্ষসেরা কোচ: মওদুদুর রহমান শুভ (হকি)।
তৃণমূল ক্রীড়াব্যক্তিত্ব: বীরসেন চাকমা (ফুটবল সংগঠক, রাঙামাটি)।
বর্ষসেরা সংগঠক: মো. ইমরুল হাসান (বসুন্ধরা কিংস)।
বর্ষসেরা আম্পায়ার: শরফুদ্দৌলা ইবনে শহীদ সৈকত।
বিশেষ সম্মাননা: হামিদুল ইসলাম (২০১০ এসএ গেমস সোনাজয়ী ভারোত্তোলক)।
ঢাকা/আমিনুল