শৈত্যপ্রবাহ কেটে তাপমাত্রা কিছুটা বাড়লেও মাঘের শেষে আবারও অস্তিত্বের জানান দিচ্ছে শীত। গতকাল শনিবার দেশের ছয় জেলার ওপর দিয়ে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ বয়ে গেছে এবং তা অব্যাহত থাকতে পারে বলে পূর্বাভাস দিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। এই সময়ে সারাদেশে তাপমাত্রাও সামান্য কমতে পারে। 

মাঘের শেষে এসে রাজশাহী, পাবনা, নওগাঁ, দিনাজপুর, মৌলভীবাজার ও চুয়াডাঙ্গার ওপর দিয়ে গতকাল মৃদু শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যায়। আবহাওয়া অধিদপ্তরের আবহাওয়াবিদ আবুল কালাম মল্লিক বলেন, শৈত্যপ্রবাহ আজও থাকবে। বিস্তার হওয়ার সম্ভাবনা কম। তবে সোমবার থেকে সারাদেশের তাপমাত্রা ধীরে ধীরে বাড়তে পারে।

বড় এলাকাজুড়ে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াসের নিচে নেমে গেলে তাকে তীব্র শৈত্যপ্রবাহ ধরা হয়; ৬ থেকে ৮ ডিগ্রির মধ্যে থাকলে মাঝারি এবং ৮ থেকে ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে থাকলে তাকে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ বলা হয়। গতকাল দেশের সর্বনিম্ন ৮ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গলে।

আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে, এবারের শীত মৌসুমে দেশে একটিও তীব্র শৈত্যপ্রবাহ হয়নি। জানুয়ারি মাসকে বছরের শীতলতম মাস বলা হয়। এ মাসে অন্তত একটি তীব্র শৈত্যপ্রবাহ হলেও এবার তা দেখা যায়নি। তীব্র শৈত্যপ্রবাহহীন জানুয়ারি দেখা গিয়েছিল ৯ বছর আগে, ২০১৬ সালে। গত মাসে গড় তাপমাত্রাও ছিল অন্য বছরের চেয়ে বেশি, বিপরীতে কুয়াশা কম পড়েছে। শুধু জানুয়ারি নয়, ডিসেম্বরেও দেশের সার্বিক তাপমাত্রা স্বাভাবিকের চেয়ে শূন্য দশমিক ৭ শতাংশ বেশি ছিল। 

আবহাওয়া অধিদপ্তরের জ্যেষ্ঠ আবহাওয়াবিদ মো.

বজলুর রশীদ বলেন, এবার আন্তর্জাতিক বিভিন্ন মডেলে যে পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছিল, তা মেলেনি। শীত অপেক্ষাকৃত কম পড়েছে। বৈশ্বিক জলবায়ুর বেশ কিছু তৎপরতা এর কারণ।

কৃষি, রোগ সৃষ্টিকারী ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব ও অর্থনীতির ওপর শীত কম পড়ার নেতিবাচক প্রভাব রয়েছে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, কম শীত মানে ডেঙ্গু আরও বিস্তারের সুযোগ তৈরি হওয়া; গম, আলু ও সরষের মতো ফসল উৎপাদনে ক্ষতি এবং শীতকেন্দ্রিক ব্যবসা কমে গেছে।

উৎস: Samakal

এছাড়াও পড়ুন:

পদযাত্রায় বাধার ঘটনায় প্রকাশিত ছবিতে সত্য আড়াল করা হয়েছে: পুলিশ সদর দপ্তর

বিভিন্ন সংবাদপত্রে ধর্ষণবিরোধী পদযাত্রায় পুলিশের বাধাসংক্রান্ত প্রকাশিত ছবিতে সত্য আড়াল করা হয়েছে বলে দাবি করেছে পুলিশ সদর দপ্তর। তাদের ভাষ্য, ঘটনার ভিডিও চিত্র দেখলে পরিষ্কার হয় যে উত্তেজিত মিছিলকারীরা পুলিশের ওপর আক্রমণ করার পর পুলিশ তাঁদের প্রতিহত করে। কিন্তু প্রকাশিত ছবিতে এ সত্যটি আড়াল করা হয়েছে।

আজ বুধবার পুলিশ সদর দপ্তর থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ কথাগুলো বলা হয়।

সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে পুলিশ সদর দপ্তরের বক্তব্যে বলা হয়েছে, গতকাল মঙ্গলবার বিকেলে ‘ধর্ষণ ও নিপীড়নের বিরুদ্ধে বাংলাদেশ’ নামের প্ল্যাটফর্মের প্রায় ৬০/৭০ জনের একটি দল প্রধান উপদেষ্টার বাসভবন যমুনা অভিমুখে পদযাত্রার চেষ্টা করে। পুলিশ রাষ্ট্রীয় গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনার নিরাপত্তাজনিত কারণে পদযাত্রায় অংশগ্রহণকারীদের হোটেল ইন্টারকনটিনেন্টাল মোড়ে বাধা দেয়। এ সময় বিক্ষোভকারীরা পুলিশের ব্যারিকেড ভেঙে সামনে এগোনোর চেষ্টা করে। পুলিশ পবিত্র রমজানে ঘরমুখো মানুষের যাতায়াত নির্বিঘ্ন ও যানবাহন চলাচল স্বাভাবিক রাখতে বিক্ষোভকারীদের সরে যেতে বারবার অনুরোধ জানায়। কিন্তু তাঁরা পুলিশের আহ্বানে সাড়া না দিয়ে কর্তব্যরত পুলিশের ওপর ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে ও লাঠিসোঁটা নিয়ে হামলা চালায়। তাঁদের অতর্কিত হামলায় ডিএমপির রমনা বিভাগের সহকারী কমিশনার গুরুতর আহত হন। এ ছাড়া হামলাকারীদের আঘাতে রমনা বিভাগের উপকমিশনারসহ পাঁচজন পুলিশ সদস্যও আহত হয়েছেন।

পুলিশ সদর দপ্তরের বক্তব্যে আরও বলা হয়, প্রকৃত ঘটনাকে আড়াল করে এরূপ খণ্ডিত সংবাদ ও ছবি প্রকাশ কোনোভাবেই প্রত্যাশিত নয়। পুলিশ সদর দপ্তর গণমাধ্যমের দায়িত্বশীল আচরণ প্রত্যাশা করে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ