SunBD 24:
2025-02-10@02:03:01 GMT

সাবেক সিইসি আব্দুর রউফ আর নেই

Published: 9th, February 2025 GMT

সানবিডি২৪ এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি ফলো করুন

সাবেক প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) ও সুপ্রিম কোর্টের অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি মোহাম্মদ আবদুর রউফ মারা গেছেন (ইন্নালিল্লাহি ওয়াইন্না ইলাইহি রাজিউন)। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৯১ বছর।

রোববার (৯ ফেব্রুয়ারি) সকালে রাজধানীর একটি বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আবদুর রউফ শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন। তিনি হৃদযন্ত্রের জটিলতায় ভুগছিলেন।

পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, সম্প্রতি হৃদযন্ত্রের জটিলতা নিয়ে রাজধানীর ইউনাইটেড হাসপাতালে ভর্তি হন সাবেক এই বিচারপতি। সেখানে তার হার্টে একটি অপারেশন হয়। হার্টে পেসমেকারও বসানো হয়েছিল।

আবদুর রউফের একান্ত সহকারী তাওহিদ বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, রোববার সকাল ১০টার দিকে মগবাজার ইনসাফ বারাকা কিডনি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় বিচারপতি আবদুর রউফ মারা গেছেন। দুই মাস ধরে তিনি অসুস্থ, হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন।

তিনি বলেন, পরিবারের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ঢাকার আনুষ্ঠানিকতাগুলো করে গ্রামের বাড়ি ময়মনসিংহে তাকে দাফন করা হবে।

উল্লেখ্য, ১৯৯০ সালের ২৫ ডিসেম্বর থেকে ১৯৯৫ সালের ১৮ এপ্রিল পর্যন্ত বাংলাদেশের পঞ্চম সিইসি হিসেবে মো.

আব্দুর রউফ  দায়িত্ব পালন করেন।

১৯৯১ সালের বহু কাঙ্ক্ষিত নির্বাচন করে প্রশংসিত হলেও ১৯৯৪ সালে বিএনপির শাসনামলে মাগুরা উপ নির্বাচন নিয়ে বিতর্কিত হন তিনি।

বিএইচ

উৎস: SunBD 24

কীওয়ার্ড: দ র রউফ

এছাড়াও পড়ুন:

‘এই গরু পাইল্যা আমার গোবরটাই লাভ হইচে’

গরুটির ওজন হয়েছে প্রায় ২০ মণ। প্রতি মাসে তাকে গড়ে ছয় হাজার টাকার খাবার দিতে হতো। সেই সঙ্গে পরিচর্যা নিয়ে একজন মানুষকে সারা দিন ব্যস্ত থাকতে হতো। গত কোরবানির ঈদের সময় গরুটির দাম উঠেছিল চার লাখ টাকা। মালিক আশা করেছিলেন ছয় লাখ টাকা। এ জন্য অপেক্ষা করছিলেন। কিন্তু খাদ্যপণ্যের দাম বেড়ে যাওয়ার কারণে এই গরুর ভার তিনি আর বইতে পারছিলেন না।

গতকাল রোববার আটজন মানুষ চারদিকে দড়ি ধরে গরুটাকে গাড়ি থেকে রাজশাহী নগরের সিটি হাটে এনে নামান। তখন সকাল নয়টা। বেলা গড়িয়ে যায়। কিন্তু কেউ এত বড় গরুটির তেমন দামই বললেন না। অবশেষে সিলেটের একজন ব্যবসায়ী দাম হাঁকলেন ৩ লাখ ৭৮ হাজার টাকা; যা কোরবানির ঈদের বলা দামের চেয়ে ২২ হাজার টাকা কম। শেষ পর্যন্ত মালিক ওই দামেই গরুটি বিক্রি করে দিলেন।

এই মালিকের নাম সারফিন শাহ। তাঁর বাড়ি নওগাঁর মান্দা উপজেলা কালিগ্রামে। প্রত্যাশিত দাম না পেয়ে তিনি প্রথম আলোকে বলেন, ‘একটা বড় গরু পালার শখ ছিল। আমার সেই শখ মিট্যা গ্যাছে। এরম আহাম্মুকি আর করব না। আমি মাছ চাষি করি। মাছের খামারে গোবর লাগে। বইলতে গেলে এই গরু পাইল্যা আমার গোবরটাই লাভ হইচে। মাছের জন্য গোবর কিনতে হয়নি।’

সারফিন শাহ ও তাঁর সঙ্গে আসা লোকজনের সঙ্গে আলাপ করে জানা যায়, এর আগে কোনো হাটে গরুটি বিক্রি করার জন্য নিয়ে যাননি। দূরদূরান্তের বড় ব্যবসায়ীরা তার বাড়িতে এসে গরু দেখে গেছেন। গত কোবানির সময় ‘আরিয়ান ডেইরি’ নামের একটি খামারের স্বত্বাধিকারী তাঁর ফেসবুক পেজ থেকে ‘জায়েদ খান’ নাম দিয়ে গরুটি বিক্রি জন্য প্রচার করেছিলেন। কিন্তু তখন জায়েদ খানের দাম চার লাখ টাকার বেশি ওঠেনি। মালিক প্রত্যাশা করেছিলেন ছয় লাখ টাকা। এ জন্য গরুটি না বিক্রি করে রেখে দিয়েছিলেন। কিন্তু খাদ্যপণ্যের দাম বেড়ে যাওয়ার কারণে তিনি আর পেরে উঠছিলেন না।

বড় আকারের গরুটির দরদাম করতেও আগ্রহ দেখাচ্ছিলেন না ক্রেতারা। গতকাল রোববার রাজশাহী নগরের সিটি হাটে

সম্পর্কিত নিবন্ধ