সানবিডি২৪ এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি ফলো করুন
সাবেক প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) ও সুপ্রিম কোর্টের অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি মোহাম্মদ আবদুর রউফ মারা গেছেন (ইন্নালিল্লাহি ওয়াইন্না ইলাইহি রাজিউন)। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৯১ বছর।
রোববার (৯ ফেব্রুয়ারি) সকালে রাজধানীর একটি বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আবদুর রউফ শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন। তিনি হৃদযন্ত্রের জটিলতায় ভুগছিলেন।
পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, সম্প্রতি হৃদযন্ত্রের জটিলতা নিয়ে রাজধানীর ইউনাইটেড হাসপাতালে ভর্তি হন সাবেক এই বিচারপতি। সেখানে তার হার্টে একটি অপারেশন হয়। হার্টে পেসমেকারও বসানো হয়েছিল।
আবদুর রউফের একান্ত সহকারী তাওহিদ বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, রোববার সকাল ১০টার দিকে মগবাজার ইনসাফ বারাকা কিডনি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় বিচারপতি আবদুর রউফ মারা গেছেন। দুই মাস ধরে তিনি অসুস্থ, হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন।
তিনি বলেন, পরিবারের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ঢাকার আনুষ্ঠানিকতাগুলো করে গ্রামের বাড়ি ময়মনসিংহে তাকে দাফন করা হবে।
উল্লেখ্য, ১৯৯০ সালের ২৫ ডিসেম্বর থেকে ১৯৯৫ সালের ১৮ এপ্রিল পর্যন্ত বাংলাদেশের পঞ্চম সিইসি হিসেবে মো.
১৯৯১ সালের বহু কাঙ্ক্ষিত নির্বাচন করে প্রশংসিত হলেও ১৯৯৪ সালে বিএনপির শাসনামলে মাগুরা উপ নির্বাচন নিয়ে বিতর্কিত হন তিনি।
বিএইচ
উৎস: SunBD 24
কীওয়ার্ড: দ র রউফ
এছাড়াও পড়ুন:
ওয়ারীতে স্কুল থেকে ফেরার পথে মা–ছেলে নিখোঁজ
রাজধানীর ওয়ারী এলাকা থেকে নিখোঁজ হওয়ার এক দিন পরও শিশুপুত্রসহ এক নারীর সন্ধান পাওয়া যায়নি। গতকাল মঙ্গলবার ছেলেকে স্কুল থেকে আনতে গিয়ে নিখোঁজ হন তিনি। এ ঘটনায় হুমায়ুন কবির নামের একজন ব্যবসায়ী স্ত্রী ও সন্তানের নিখোঁজের কথা জানিয়ে ওয়ারী থানায় লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন।
আজ বুধবার বিকেলে হুমায়ুন কবির প্রথম আলোকে বলেন, গতকাল সকাল ১০টার দিকে তাঁর স্ত্রী লামিয়া ছেলে আহনাফকে নিয়ে বলধা গার্ডেনসংলগ্ন ইএলসি স্কুলে যান। দুপুর ১২টার দিকে পরীক্ষা শেষে ছেলেকে নিয়ে বাসায় ফেরার কথা থাকলেও তাঁরা বাসায় ফেরেননি।
হুমায়ুন কবির আরও বলেন, তাঁর স্ত্রীর মুঠোফোন নম্বরে যোগাযোগ করলে সেটি বন্ধ পাওয়া যায়। স্থানীয় সিসিটিভি ফুটেজে দেখা গেছে, গতকাল দুপুর ১২টার দিকে তাঁর স্ত্রী ছেলেকে নিয়ে রাস্তা পার হচ্ছেন। এরপর তাঁদের আর হদিস নেই।
এই ব্যবসায়ী জানান, গতকাল বেলা সাড়ে তিনটার দিকে একটি অপরিচিত নম্বর দিয়ে আহনাফের নানির মুঠোফোনে কল দিয়ে বলা হয়, ‘আপনার নাতির সঙ্গে কথা বলেন। তখন আহনাফ তার নানিকে বলে আমরা নিরাপদে আছি।’ এ কথা বলেই মুঠোফোনের লাইন কেটে দেওয়া হয়।
এ ঘটনায় পুলিশ অভিযোগ গ্রহণ করলেও মামলা হিসেবে নেয়নি। তবে হুমায়ুন কবির মনে করেন, এটি অপহরণের ঘটনা। এ কারণে স্ত্রী–সন্তানকে উদ্ধারে র্যাবের কাছেও অভিযোগ জমা দিয়েছেন তিনি।
এ বিষয়ে যোগাযোগ করা হলে ওয়ারী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ফয়সাল আহমেদ বলেন, আহনাফের নানির সঙ্গে কথা বলার সূত্র ধরে মুঠোফোনটির অবস্থান ডেমরার কোনাপাড়ায় নিশ্চিত হওয়া গেছে। মুঠোফোন ব্যবহারকারীর নাম–ঠিকানাও পাওয়া গেছে। এখন মা ও ছেলেকে উদ্ধারে চেষ্টা করা হচ্ছে।