Samakal:
2025-03-17@02:39:48 GMT

ডিজিটাল পরিষেবা

Published: 9th, February 2025 GMT

ডিজিটাল পরিষেবা

স্মার্টফোনে বিক্রয়োত্তর সেবার প্রতিশ্রুতিতে বসুন্ধরা সিটি শপিং কমপ্লেক্সে কার্লকেয়ার ফ্ল্যাগশিপ সেবাকেন্দ্র চালু করেছে প্রযুক্তি ব্র্যান্ড টেকনো।

আইটেল, টেকনো ও ইনফিনিক্স– তিনটি ব্র্যান্ডের নির্বাচিত বিক্রয়োত্তর সেবাদাতা কার্লকেয়ার বিশেষজ্ঞ কারিগর দ্বারা মেরামত (রিপেয়ার সেবা), সফটওয়্যার আপডেট ও প্রিমিয়াম পরিষেবা প্রদান করবে। সহজলভ্য বিক্রয়োত্তর সেবা নিশ্চিত করতেই এমন উদ্যোগ নিয়েছেন উদ্যোক্তারা।

আইস্মার্টইউ টেকনোলজি বিডির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা রেজওয়ানুল হক বলেন, অত্যাধুনিক স্মার্টফোনের সঙ্গে মানোন্নত বিক্রয়োত্তর সেবা (আফটার সেলস সার্ভিস) নিশ্চিতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। কার্লকেয়ার পরিচালিত নতুন ফ্ল্যাগশিপ সেবাকেন্দ্রে নির্ধারিত ব্র্যান্ডের গ্রাহক দ্রুত ও নির্ভরযোগ্য গ্রাহকসেবা প্রতিশ্রুতির দৃশ্যমান প্রতিফলন।

কার্লকেয়ার বাংলাদেশের প্রধান মাহফুজুল হক মিরাজ বলেন, নতুন সেবাকেন্দ্রের সূচনা উপলক্ষে বিশেষ সুবিধা পাবেন গ্রাহক। ১৪ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত ওয়ারেন্টি-বহির্ভূত ফোনের পরিষেবার ওপর থাকবে বিশেষ ছাড়। সঙ্গে থাকছে ফ্রি সার্ভিসিং, সফটওয়্যার আপডেট, মোবাইল ক্লিনিং সুবিধা গ্রহণের সুযোগ। নির্বাচিত গ্রাহক পাবেন বিশেষ উপহার।

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: গ র হক

এছাড়াও পড়ুন:

বন্ধ ব্যাংক থেকে যেভাবে শক্তিশালী ইস্টার্ন ব্যাংক

শুরুতে আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম ব্যাংক চালাবে ব্যাংকাররা, আমরা কোনো হস্তক্ষেপ করব না। ব্যাংক মুনাফায় না যাওয়া পর্যন্ত আমরা প্রথম পাঁচ বছর লভ্যাংশ, সভার সম্মানীসহ কোনো সুবিধা নিইনি। এর ফলে ইস্টার্ন ব্যাংক এখন বাজারের সেরা– শওকত আলী চৌধুরী, চেয়ারম্যান, ইস্টার্ন ব্যাংক

ব্যাংকটিকে আজকের এই পর্যায়ে পৌঁছাতে কী কৌশল কাজে দিয়েছে জানতে চাইলে তিনি প্রথম আলোকে বলেন, ‘ইস্টার্ন ব্যাংক শুরুতেই বিদেশি প্রতিষ্ঠানের পাশাপাশি দেশের ভালো প্রতিষ্ঠানগুলোকে গ্রাহক হিসেবে বেছে নেয়। এ জন্য শুরুতে এসএমই ও খুচরা ঋণ ছিল না। শুরু থেকে আমরা ব্যক্তি নয়, প্রক্রিয়ার ওপর নির্ভর করে সিদ্ধান্ত নেওয়া শুরু করি। এ জন্য আমাদের ব্যাংকে সবকিছু লিখিত আছে। ইস্টার্ন ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদ ও ব্যবস্থাপনা পর্ষদের ভূমিকা কী হবে, তা পরিষ্কার করা আছে। এসব কারণে ইস্টার্ন ব্যাংক আজ এই পর্যায়ে।’

আলী রেজা ইফতেখার আরও বলেন, ‘আমাদের গ্রাহক কে হবেন, এ ব্যাপারে আমরা খুব সচেতন। সব নিয়ম লিখিত। এ জন্য আমার কাছে কোনো ফাইল পড়ে থাকে না। আমার সিদ্ধান্তের জন্য কাউকে অপেক্ষায়ও থাকতে হয় না। আমি কখনো কাউকে ঋণ দেওয়ার জন্য কোনো নির্দেশনা বা পরামর্শ দিইনি। ঋণ দেওয়ার জন্য সংশ্লিষ্ট বিভাগ আছে। তারাই এটা দেখে।’

বিসিসিআই থেকে ইস্টার্ন ব্যাংক

পাকিস্তানি ব্যাংকার আগা হাসান আবেদি ১৯৭২ সালে ব্যাংক অব ক্রেডিট অ্যান্ড কমার্স ইন্টারন্যাশনাল (বিসিসিআই) প্রতিষ্ঠা করেন। বিসিসিআইয়ের ২৫ শতাংশ মূলধন ছিল ব্যাংক অব আমেরিকার এবং ৭৫ শতাংশ মূলধন ছিল সংযুক্ত আরব আমিরাতের আবুধাবির শাসক শেখ জায়েদ বিন সুলতান আল নাহিয়ানের। ব্যাংকটি লুক্সেমবার্গে নিবন্ধিত ছিল এবং তার প্রধান কার্যালয় ছিল পাকিস্তানের করাচি ও যুক্তরাজ্যের লন্ডনে। ব্যাংকটি চালুর এক দশকের মধ্যেই ৭৮টি দেশে ৪ হাজারের বেশি শাখার মাধ্যমে ব্যাংকিং কার্যক্রম সম্প্রসারণ করে। এর মধ্যে বাংলাদেশও ছিল। ব্যাপকভাবে কার্যক্রম সম্প্রসারণের কিছুদিন যেতে না যেতেই ব্যাংকটিতে অর্থ পাচার এবং অন্যান্য আর্থিক অনিয়মের ঘটনা ঘটে। এ কারণে বিভিন্ন দেশের নিয়ন্ত্রক সংস্থা ব্যাংকটির সম্পদ জব্দ করে। এরই ধারাবাহিকতায় ১৯৯১ সালে এসে ব্যাংকটি বন্ধ হয়ে যায়।

নব্বইয়ের দশকে বাংলাদেশে কার্যক্রম পরিচালনাকারী বড় তিনটি বিদেশি ব্যাংকের একটি ছিল বিসিসিআই। অন্য দুটি ছিল এএনজেড গ্রিন্ডলেজ ও আমেরিকান এক্সপ্রেস। বিসিসিআই ব্যাংক বন্ধ হয়ে গেলে আমানতকারীদের নিরাপত্তার পাশাপাশি বিদেশি লেনদেন বাধাগ্রস্ত হবে, এ জন্য ব্যাংকটির বিষয়ে তখনকার সরকার বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নেয়। ১৯৯১ সালের ৬ জুলাই রাতে বিসিসিআইয়ের কার্যক্রম সীমিত করে দেয় বাংলাদেশ ব্যাংক। এরপর ৮ জুলাই তৎকালীন অর্থমন্ত্রী এম সাইফুর রহমান ব্যাংকটির কার্যক্রম বন্ধের সিদ্ধান্ত জাতীয় সংসদকে অবহিত করেন। জাতীয় সংসদে ইস্টার্ন ব্যাংক পুনর্গঠন স্কিম পাস করা হয়। তখন ব্যাংকটির আমানত ছিল ৫৫০ কোটি টাকা। এসব আমানতকারীর একটি অংশকে আমানতের বিপরীতে ব্যাংকের শেয়ার নেওয়ার প্রস্তাব দেওয়া হয়। যদি তাঁরা শেয়ার নিতে আগ্রহী না হন, তবে আমানত ফেরত পেতে ৫-১০ বছর লাগবে বলে জানানো হয়। এই প্রস্তাব পাওয়ার পর আমানতকারীদের একটি অংশ ব্যাংকের শেয়ার নিতে আগ্রহী হন। তখন ১০০ টাকা জমার বিপরীতে ১০০ টাকার শেয়ার দেওয়া হয়। যাঁরা ওই সময় শেয়ার নিয়েছিলেন, তাঁরাই এখন ব্যাংকটির বড় শেয়ারধারী ও পরিচালক। বড় আমানতকারীদের পাশাপাশি সরকারও ব্যাংকটির ৬০ শতাংশ শেয়ার কিনে নেয়।

আলী রেজা ইফতেখার

সম্পর্কিত নিবন্ধ