যুক্তরাজ্যভিত্তিক প্রতিষ্ঠান হেনলি অ্যান্ড পার্টনার্স প্রকাশিত সূচকে তথ্য অনুযায়ী, পাসপোর্টের শক্তির সূচকে চার ধাপ এগিয়েছে বাংলাদেশে। ১৯৯টি দেশের মধ্যে বাংলাদেশ ৯৩তম স্থানে উঠে এসেছে। তবে আগাম ভিসা না নিয়েও যাওয়া যায় এমন দেশের সংখ্যা কমেছে বাংলাদেশি পাসপোর্টধারীদের জন্য। ২০২৪ সালে যেখানে ৪২টি দেশে ভিসা ছাড়া ভ্রমণ করা যেত, সেখানে এ বছর তা কমে ৩৯টিতে দাঁড়িয়েছে।

সংস্থাটির ওয়েবসাইটে বলা হয়েছে, কোনো দেশের পাসপোর্ট দিয়ে আগাম ভিসা ছাড়া কিংবা ভিসামুক্ত সুবিধা নিয়ে কতটি দেশে যাওয়া যায়, এর ওপর ভিত্তি করে শক্তিশালী পাসপোর্টের এ সূচক তৈরি করা হয়েছে। এ ক্ষেত্রে বিবেচনায় নেওয়া হয়েছে বিশ্বের ১৯৯টি দেশের পাসপোর্ট ও ২২৭টি ভ্রমণ গন্তব্য। গত বছর ৯৭তম স্থানে থাকা বাংলাদেশ র‍্যাংকিংয়ে উন্নতি করলেও, বৈশ্বিক অবস্থা বিবেচনায় বাংলাদেশের পাসপোর্ট এখনো দুর্বল অবস্থানে আছে। এই তালিকায় নেপাল ৯৪তম এবং ৯৬তম স্থানে আছে পাকিস্তান।

অন্যদিকে বিশ্বের সবচেয়ে শক্তিশালী পাসপোর্ট হিসেবে তালিকায় শীর্ষস্থান দখল করেছে সিঙ্গাপুর। সিঙ্গাপুরের পাসপোর্টধারীরা ১৯৩টি দেশে আগাম ভিসা ছাড়াই ভ্রমণ করতে পারেন। এরপরই রয়েছে জাপান ও দক্ষিণ কোরিয়া। এই দুই দেশের পাসপোর্টধারীরা ১৯০টি গন্তব্যে ভিসা-মুক্ত ভ্রমণ করতে পারেন। জার্মানি, ফ্রান্স এবং স্পেনসহ বেশ কয়েকটি ইউরোপীয় দেশ তৃতীয় স্থানে রয়েছে।

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: ভ রমণ

এছাড়াও পড়ুন:

স্ত্রীকে বিদায় বলে ট্রেনের নিচে ঝাঁপ দিলেন স্বামী

স্ত্রীকে মোবাইল ফোনে বিদায় বলে ট্রেনের নিচে ঝাঁপ দিয়ে আত্মহত্যা করেছেন খায়রুল বাসার সুজন (৩৫) নামের এক পোশাকশ্রমিক। পরক্ষণে স্ত্রী শুধু চলন্ত ট্রেনের শব্দ শুনতে পান। পরে একাধিকবার কল দিলেও সাড়াশব্দ মেলেনি। ঘটনাটি ঘটে আজ বৃহস্পতিবার গাজীপুরের শ্রীপুর রেলস্টেশন এলাকায়।

নিহত সুজন কুষ্টিয়ার মিরপুর থানার কুরশা গ্রামের মৃত আবুল কালামের ছেলে। তিনি পরিবার নিয়ে উপজেলার চন্নাপাড়া গ্রামের জনৈক সুলতানের বাড়িতে ভাড়া থেকে স্থানীয় একটি পোশাক কারখানায় চাকরি করেন।

স্থানীয়রা জানান, আজ সন্ধ্যা পৌনে ৬টার দিকে ঢাকাগামী দেওয়ানগঞ্জ কমিউটার ট্রেনের নিচে ঝাঁপ দেন তিনি। এ সময় চলন্ত ট্রেনের নিচে কাটা পড়ে মৃত্যু হয় তার। দেহ থেকে পা বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। বিষয়টি তাৎক্ষণিকভাবে শ্রীপুরের স্টেশনমাস্টারকে জানানো হয়।

নিহত ব্যক্তির স্ত্রী ফাতেমা বলেন, ‘সকালে একসঙ্গে বাসা থেকে বের হই। পরে আর বাসায় ফেরেনি। বিকেলে কোথায় আছে জানতে ফোন করি। তখন তিনি  জানায়, শ্রীপুরে। একটু পর ফোন করে শুধু বলে, বিদায়। তখন আমি শুধু ট্রেনের শব্দ শুনতে পাই। এরপর বারবার ফোন করলে সে ফোন ধরেনি। সন্ধ্যার পর দুর্ঘটনার খবর পাই। ঘটনাস্থলে এসে স্বামীর মরদেহ দেখতে পাই। আমাকে বিদায় বলে সে ট্রেনের নিচে ঝাঁপ দিয়েছে।’

শ্রীপুর রেলওয়ে স্টেশনমাস্টার শামীমা জাহান বলেন, ঘটনাস্থল থেকে মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। স্বজনদের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ