সিলেটের কানাইঘাটের লোভাছড়া পাথর কোয়ারির জব্দ করা পাথর নিলামকে কেন্দ্র করে দু’পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন কমপক্ষে ২০ জন।

শুক্রবার বিকেলে উপজেলার সীমান্তবর্তী সুরইঘাট বাজারে এ সংঘর্ষ হয়। শনিবার সকালেও এ নিয়ে এলাকায় উত্তেজনা ছিল। একপর্যায়ে সমস্যা সমাধানে এলাকার মুরব্বিদের নিয়ে সমঝোতা বৈঠকের আয়োজন করা হয়। 

বছর তিনেক আগে ৪৫ লাখ ঘনফুট পাথর জব্দ করে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। কয়েক মাস সময় নিয়ে এর নিলাম প্রক্রিয়া সম্পন্ন করা হয়। নিলামের আয়োজন করে খনিজসম্পদ উন্নয়ন ব্যুরো।

এদিকে নিলামের খবর পাওয়ার পর পরই দু’পক্ষের লোকজন লাঠিসোটা নিয়ে পাল্টাপাল্টি মিছিল বের করে। তাদের মধ্যে কয়েক দফা ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। এতে দু’পক্ষের লোকজনই আহত হন।

সংঘর্ষের খবর পেয়ে কানাইঘাট থানার ওসি আব্দুল আউয়ালের নেতৃত্বে একদল পুলিশ সুরইঘাট বাজারে গিয়ে পরিস্থিতি শান্ত করে।

জব্দ করা ওই সব পাথর নিলামে পায় সিলেটের পিয়াস এন্টারপ্রাইজ। এর বিপক্ষে অবস্থান নেন বিএনপি ও জামায়াতের একটি অংশের নেতারা। অপরদিকে, পিয়াস এন্টারপ্রাইজের পক্ষে অবস্থান নেন বিএনপির একাংশসহ আওয়ামী লীগপন্থি পাথর ব্যবসায়ীরা। 

কানাইঘাট থানার ওসি আব্দুল আউয়াল জানান, এখন পর্যন্ত কোনো মামলা হয়নি। মুরব্বিদের নিয়ে সমঝোতার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। 
 

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: স ঘর ষ

এছাড়াও পড়ুন:

খুলনায় পালাতে গিয়ে আ. লীগের নেতার ছাদ থেকে লাফ, অতঃপর

পালাতে গিয়ে বাড়ির ছাদ থেকে লাফিয়ে পড়ে পা ভেঙেছেন খুলনা সিটি করপোরেশনের ৭ নম্বর ওয়ার্ডের সাবেক কাউন্সিলর ও ওয়ার্ড আওয়ামী লীগ নেতা শেখ খালিদ আহমেদ। এরপরও তার শেষ রক্ষা হয়নি। পুলিশ তাকে গ্রেপ্তার করে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের প্রিজন সেলে ভর্তি করেছে।

পুলিশ জানায়, গতকাল মঙ্গলবার (১১ মার্চ) বিকেল ৫টার দিকে খুলনা নগরীর খালিশপুর থানার পদ্মা অয়েল রোডে খালিদের বাড়িতে অভিযান চালানো হয়। এসময় খালিদ একতলা বাড়ির ছাদ থেকে লাফ দিয়ে নিচে পড়ে পালানোর চেষ্টা করেন। তখন তার ডান পা ভেঙে যায়। তাকে গ্রেপ্তার করে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের প্রিজন সেলে ভর্তি করা হয়েছে।”

খালিশপুর থানার ওসি মো. রফিকুল ইসলাম বলেন, “গ্রেপ্তারকৃতের বিরুদ্ধে বিএনপির অফিস ভাঙচুর ও নেতাকর্মীদের মারধরের অভিযোগে খালিশপুর থানায় তিনটি এবং খুলনা সদর ও আড়ংঘাটা থানায় একটি করে মামলা রয়েছে। খালিশপুর থানার তিন মামলায় খালিদ হাইকোর্ট থেকে জামিনে ছিলেন। তবে, অপর দুটি মামলায় তিনি জামিন নেননি। তিনি পালানোর চেষ্টা করে পায়ে আঘাতপ্রাপ্ত হন। তাকে হাসপাতালে রেখে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।”

আরো পড়ুন:

শিক্ষার্থীকে ইঙ্গিত করে অশোভন আচরণ, অভিযুক্তকে খুঁজছে পুলিশ

গণমাধ্যমকর্মীদের ওপর হামলা, বরখাস্ত এসপির বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ 

ঢাকা/নূরুজ্জামান/মাসুদ

সম্পর্কিত নিবন্ধ