অপরিচিত ব্যক্তি পরিশোধ করলেন খাবার বিল
Published: 9th, February 2025 GMT
পরিবার নিয়ে কোনো রেস্তোরাঁয় আপনি সকালের নাশতা সারলেন। বিলও হয়েছে বেশ ভালোই। বিল দিতে গিয়ে শুনলেন, আপনার বিল দেওয়া হয়ে গেছে। কিন্তু কে দিয়েছেন, আপনি জানতে পারলেন না। এমন দারুণ কোনো সময়ের মুখোমুখি হলে আপনার ভালো লাগারই কথা। যুক্তরাষ্ট্রের টেক্সাস অঙ্গরাজ্যে পোর্ট ওর্থে এমনই এক ঘটনা ঘটেছে।
বার্তা সংস্থা এসডব্লিউএনএসের এক খবরে বলা হয়, ড.
নাশতা সেরে স্লটার বিল দেওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন। তিনি রেস্তোরাঁর কর্মীকে বিল দিতে বললেন। তখন তাঁকে ওই কর্মী বললেন, আপনার বিল হয়েছে ৮৫ ডলার ২১ সেন্ট (১০ হাজার ৪০০ টাকা প্রায়)। তবে এই বিল ইতিমধ্যে পরিশোধ করা হয়েছে—এ কথা জানিয়ে রেস্তোরাঁকর্মী তাঁকে বিলের স্লিপ ধরিয়ে দেন।
অপরিচিত কোনো এক ব্যক্তি স্লটার ও তাঁর পরিবারের নাশতার বিল পরিশোধ করেছেন শুনে তাঁরা বেশ অবাক হন। স্লটার বিলের রসিদে হাতে লেখা একটি নোটও দেখতে পান। এতে লেখা রয়েছে, ‘দারুণ বাবা হওয়ায় আপনাকে ধন্যবাদ’।
বিলের রসিদ উল্টে ওই অপরিচিত ব্যক্তির আরেকটি নোট দেখতে পান স্লটার। সেখানে লেখা রয়েছে, ‘এক বাবার প্রতি আরেক বাবার বার্তা। তাদের যেমন বাবা দরকার, ঠিক তেমন বাবা হওয়ায় আপনাকে ধন্যবাদ। আপনার মতো আমাদের আরও বাবা দরকার। তাদের প্রতি আপনার এই ভালোবাসা আমাদের দেখার সুযোগ দেওয়ায় আপনাকে ধন্যবাদ।’
নোটের নিচে লেখা রয়েছে, ‘অবসরপ্রাপ্ত একজন সেনা চিকিৎসকের পক্ষ থেকে’।
ফোর্ট ওর্থের ওই চিকিৎসক বলেন, ‘ওই ব্যক্তির লেখা পড়ে আমি আবেগাপ্লুত হয়ে পড়ি। আমি চোখের পানি ধরে রাখতে পারিনি।’
স্লটার আরও বলেন, ‘মাত্র ৮৫ ডলারের বিল ছিল। এটা খুব বেশি কিছু নয়। তবে আমার কাছে এটি তার চেয়ে অনেক বেশি কিছু। এ ধরনের মহৎ কাজের শক্তি অনেক বেশি।’
উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
‘লক্ষ্মীসোনা’ ৮ কোটি পার, পাঁচ লাখের বেশি লাইক
হৃদয় খানের গাওয়া ও সুরে ‘লক্ষ্মীসোনা’ গানটি ব্যবহার হয় ‘যদি একদিন’ সিনেমায়। গানে বাবা-মেয়ের ভালোবাসা, মান-অভিমান ফুটিয়ে তোলা হয়েছে। গানটি প্রকাশের পরপরই দর্শক হৃদয় স্পর্শ করে। আস্তে আস্তে শ্রোতাপ্রিয়তা বাড়ে এই গানের। ছয় বছর আগের সেই গানটি নতুন মাইলফলক স্পর্শ করেছে। ইউটিউবে এই গানের ভিউ ৮০ মিলিয়ন বা ৮ কোটি পার করেছে। গানটির শিল্পী, গীতিকার-সুরকার তাই বেশ উচ্ছ্বসিত।
ইউটিউবে ‘লক্ষ্মীসোনা’ গানের মন্তব্যের ঘরে ১৯ হাজারের বেশি মতামত এসেছে। ছয় বছরে পাঁচ লাখের বেশি লাইক পড়েছে, একটিও ডিজলাইক নেই। মোনায়েম খান নামের একজন লিখেছেন, ‘হৃদয় খান আসলে ম্যাজিশিয়ান, লোকে ভুল করে মিউজিশিয়ান ডাকে...গানটা অসাধারণ হয়েছে।’
আলিফ হাসান লিখেছেন, ‘এত ভালো লাগে এই গানটা, ইচ্ছা করে সারা দিন শুনি।’ দুই সপ্তাহ আগে মালেক আহমেদ নামের একজনের একটি মন্তব্য এমন, ‘গানটা শুনলেই আমার মেয়েটার কথা মনে পড়ে। একা একা কাঁদি, আজ দুই মাস বিদেশের মাটিতে কলিজাটা ছাড়া।’
মুসাফির নামের একজন লিখেছেন, ‘ছয় বছর ধরে এই গানটা মাঝেমধ্যেই শোনা হয়, যেন এটা পুরোনো হওয়ার নয়। জীবনে শোনা অন্যতম শ্রেষ্ঠ গান।’ মাস দুয়েক আগের একটি মন্তব্য এ রকম, ‘ছয় বছর আগে প্রকাশিত হলেও আজই প্রথম গানটি শুনলাম। গানটি আমার হৃদয় স্পর্শ করেছে।’
হৃদয় খান