২০২৪ সালের ৩১ ডিসেম্বর শেষ হওয়া অর্থবছরে তার শেয়ারহোল্ডারদের জন্য ১০ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ ঘোষণা করেছে সিটি জেনারেল ইনস্যুরেন্স। সম্প্রতি এক বৈঠকে কোম্পানির পরিচালনা পর্ষদ এই লভ্যাংশ অনুমোদন করেছে।

২০২৪ সালের জন্য কোম্পানির ইপিএস বা শেয়ারপ্রতি আয় বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৩ দশমিক ০৮ টাকা; ২০২৩ সালে যা ছিল ৩ দশমিক ০২ টাকা। এই বৃদ্ধির কারণ হিসেবে কোম্পানির অন্যান্য আয়ের উল্লেখযোগ্য বৃদ্ধির কথা বলা হয়েছে। এ ছাড়া নিট অ্যাসেট ভ্যালু পার শেয়ার বা শেয়ারপ্রতি নিট সম্পদ মূল্য বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২১ দশমিক ১৫ টাকা; ২০২৩ সালে যা ছিল ২০ দশমিক ৪০ টাকা। এর কারণ হিসেবে বলা হয়েছে, কোম্পানির নগদ ও নগদ সমতুল্য সম্পদের উল্লেখযোগ্য বৃদ্ধি।

তবে নিট অপারেটিং ক্যাশ ফ্লো পার শেয়ার বা শেয়ারপ্রতি নগদ অর্থপ্রবাহ কিছুটা কমে ২ দশমিক ৪৪ টাকা হয়েছে; ২০২৩ সালে যা ছিল ২ দশমিক ৫৩ টাকা। এই হ্রাসের পেছনে কোম্পানির দায় পরিশোধের পরিমাণ বৃদ্ধির কারণ উল্লেখ করা হয়েছে। ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ সূত্রে এসব তথ্য পাওয়া গেছে।

আগামী ২৪ মার্চ বেলা তিনটায় সিটি জেনারেল ইনস্যুরেন্স কোম্পানির বার্ষিক সাধারণ সভা (এজিএম) অনুষ্ঠিত হবে। সভাটি হাইব্রিড পদ্ধতিতে অনুষ্ঠিত হবে, যেখানে শেয়ারহোল্ডাররা সরাসরি ঢাকার দিলকুশা সি/এ-এর ৩০-৩১ নম্বর বিসিআইসি অডিটরিয়ামে উপস্থিত হয়ে বা ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মের মাধ্যমে ভার্চ্যুয়াল পদ্ধতিতে অংশগ্রহণ করতে পারবেন। লভ্যাংশের জন্য রেকর্ড তারিখ নির্ধারণ করা হয়েছে ২৭ ফেব্রুয়ারি।

শেয়ারহোল্ডার ও অংশীজনদের কোম্পানির কর্মক্ষমতা এবং ভবিষ্যতের কৌশল নিয়ে আলোচনায় অংশ নেওয়ার জন্য বার্ষিক সাধারণ সভায় যোগদানের অনুরোধ জানানো হয়েছে। সভা ও লভ্যাংশ বিতরণসংক্রান্ত বিস্তারিত তথ্য যথাসময়ে জানানো হবে।

গত এক বছরে সিটি জেনারেল ইনস্যুরেন্সের শেয়ারের সর্বোচ্চ দাম ছিল ৯৩ টাকা ৯০ পয়সা এবং সর্বনিম্ন দাম ছিল ৩৮ টাকা ৫০ পয়সা।

কোম্পানিটি ২০২৩ সালে ১২ শতাংশ, ২০২২ সালে ১০ দশমিক ৫০ শতাংশ, ২০২১ সালে ১০ শতাংশ ও ২০২০ সালে ১০ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দিয়েছে। এ ছাড়া ২০১৭ সালে ১০ শতাংশ, ২০১৫ সালে ১০ শতাংশ, ২০১৪ সালে ১০ শতাংশ বোনাস লভ্যাংশ দিয়েছে।

.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: জ ন র ল ইনস য র ন স ২০২৩ স ল র জন য দশম ক

এছাড়াও পড়ুন:

মিরাজ বর্ষসেরা, দর্শকের হৃদয়ে জায়গা করে নিলেন ঋতুপর্ণা

বাংলাদেশ স্পোর্টস প্রেস অ্যাসোসিয়েশন (বিএসপিএ) আয়োজিত ‘কুল-বিএসপিএ স্পোর্টস অ্যাওয়ার্ড ২০২৪’ এ জয়ের মুকুট পড়েছেন দেশের শীর্ষ ক্রীড়াবিদরা। রাজধানীর এক অভিজাত হোটেলে অনুষ্ঠিত জমকালো অনুষ্ঠানে সম্মাননা পেয়েছেন ১৫ ক্যাটাগরিতে ১৩ জন ক্রীড়াবিদ, সংগঠক, সংস্থা ও দল।

বর্ষসেরা ক্রীড়াবিদ মেহেদী হাসান মিরাজ:
জাতীয় ক্রিকেট দলের অলরাউন্ডার মেহেদী হাসান মিরাজ পেয়েছেন ‘‘স্পোর্টস পারসন অব দ্য ইয়ার ২০২৪’’ খেতাব। তিনি পেছনে ফেলেছেন জাতীয় নারী ফুটবল দলের মিডফিল্ডার ঋতুপর্ণা চাকমা ও প্যারিস অলিম্পিকে কোয়ালিফাই করা আর্চার সাগর ইসলামকে। মিরাজ বলেছেন, “এই পুরস্কার প্রতিটি অ্যাথলেটের জন্য এক ধরনের অনুপ্রেরণা। বিভিন্ন ডিসিপ্লিনের ক্রীড়াবিদদের সঙ্গে দেখা হওয়ার সুযোগও তৈরি হয়।”

জনপ্রিয়তার শীর্ষে ঋতুপর্ণা:
ভোটে দর্শকের পছন্দ হিসেবে ‘‘পপুলার চয়েজ অ্যাওয়ার্ড’’ পেয়েছেন ঋতুপর্ণা চাকমা। তিনি জনপ্রিয়তার দৌড়ে হারিয়ে দিয়েছেন মিরাজ এবং উদীয়মান ক্রিকেটার নাহিদ রানাকে। ঋতুপর্ণা ভিডিও বার্তায় জানান, “বিএসপিএকে কৃতজ্ঞতা জানাই। ভুটানে খেলতে যাওয়ার কারণে থাকতে পারিনি, কিন্তু এই স্বীকৃতি আমাকে আরও ভালো খেলোয়াড় হয়ে ওঠার প্রেরণা দেবে।”

১৯৬২ সালে যাত্রা শুরু করা বিএসপিএ ১৯৬৪ সাল থেকে নিয়মিতভাবে দেশসেরা ক্রীড়াবিদদের স্বীকৃতি দিয়ে আসছে। এবারও সেই ধারাবাহিকতায় প্যান প্যাসিফিক সোনারগাঁও হোটেলে বসে তারার মেলা। অনুষ্ঠানটি উপস্থাপন করেন বিএসপিএ সভাপতি রেজওয়ান উজ জামান রাজিব।

অনুষ্ঠানে গেস্ট অব অনার হিসেবে উপস্থিত ছিলেন যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া ও স্কয়ার টয়লেট্রিজ লিমিটেডের এমডি অঞ্জন চৌধুরী।

উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ বলেন, “খেলাধুলায় ইতিবাচক পরিবর্তন আনতে সরকার কাজ করে যাচ্ছে। বাজেট বৃদ্ধির বিষয়েও আমরা সুপারিশ করেছি।” অঞ্জন চৌধুরী যোগ করেন, “জেলার খেলাধুলা অনেকটাই থেমে গেছে। সেখানেও যেন প্রাণ ফেরে, সেটাই কামনা করি। বিএসপিএ’র পাশে আগামীতেও থাকবো।”

২০২৪ সালের পুরস্কার বিজয়ীদের তালিকা:
বর্ষসেরা ক্রীড়াবিদ:
মেহেদী হাসান মিরাজ (ক্রিকেট)।
পপুলার চয়েজ অ্যাওয়ার্ড: ঋতুপর্ণা চাকমা (ফুটবল)।
বর্ষসেরা ফুটবলার: ঋতুপর্ণা চাকমা।
বর্ষসেরা আর্চার: সাগর ইসলাম
বর্ষসেরা অ্যাথলেট (ট্র্যাক অ্যান্ড ফিল্ড): জহির রায়হান।
উদীয়মান ক্রীড়াবিদ: নাহিদ রানা (ক্রিকেট)।
বর্ষসেরা দাবাড়ু: মনন রেজা নীড়।
সেরা দলগত সাফল্য: অনূর্ধ্ব-২১ জাতীয় হকি দল।
সক্রিয় সংস্থা: যশোর শামস-উল-হুদা অ্যাকাডেমি।
বর্ষসেরা কোচ: মওদুদুর রহমান শুভ (হকি)।
তৃণমূল ক্রীড়াব্যক্তিত্ব: বীরসেন চাকমা (ফুটবল সংগঠক, রাঙামাটি)।
বর্ষসেরা সংগঠক: মো. ইমরুল হাসান (বসুন্ধরা কিংস)।
বর্ষসেরা আম্পায়ার: শরফুদ্দৌলা ইবনে শহীদ সৈকত।
বিশেষ সম্মাননা: হামিদুল ইসলাম (২০১০ এসএ গেমস সোনাজয়ী ভারোত্তোলক)।

ঢাকা/আমিনুল

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • হঠাৎ বাড়ছে হাইডেলবার্গ সিমেন্টে শেয়ারদর, চার দিনে বাড়ল ৬৩ টাকা
  • ‘গণতান্ত্রিক নাগরিক শক্তি`র আত্মপ্রকাশ
  • মিরাজ বর্ষসেরা, দর্শকের হৃদয়ে জায়গা করে নিলেন ঋতুপর্ণা
  • সুগন্ধি চাল রপ্তানির অনুমতি পেল ১৩৩ প্রতিষ্ঠান
  • এসএসসি পরীক্ষা দিচ্ছেন ‘হাত-পা ছাড়া জন্ম নেওয়া’ অদম্য লিতুন
  • ইসরাইলের বিরুদ্ধে যুদ্ধে নাম লেখাতে আমরা প্রস্তুত: অধ্যাপক মোর্শেদ
  • ১২৮ বছর পর ক্রিকেট ফিরছে অলিম্পিকে: ৬টি করে দল পুরুষ ও নারী বিভাগে
  • কাট্টলির আইপিও তহবিল তছরুপ, অভিযোগ দুদকে পাঠাবে বিএসইসি
  • মারা যাওয়ার ২ বছর পর অধ্যাপককে অধ্যক্ষ হিসেবে পদায়ন
  • শাবিপ্রবির ভর্তি ফি নিয়ে হতাশ শিক্ষার্থীরা