১০ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দেবে সিটি জেনারেল ইনস্যুরেন্স
Published: 9th, February 2025 GMT
২০২৪ সালের ৩১ ডিসেম্বর শেষ হওয়া অর্থবছরে তার শেয়ারহোল্ডারদের জন্য ১০ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ ঘোষণা করেছে সিটি জেনারেল ইনস্যুরেন্স। সম্প্রতি এক বৈঠকে কোম্পানির পরিচালনা পর্ষদ এই লভ্যাংশ অনুমোদন করেছে।
২০২৪ সালের জন্য কোম্পানির ইপিএস বা শেয়ারপ্রতি আয় বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৩ দশমিক ০৮ টাকা; ২০২৩ সালে যা ছিল ৩ দশমিক ০২ টাকা। এই বৃদ্ধির কারণ হিসেবে কোম্পানির অন্যান্য আয়ের উল্লেখযোগ্য বৃদ্ধির কথা বলা হয়েছে। এ ছাড়া নিট অ্যাসেট ভ্যালু পার শেয়ার বা শেয়ারপ্রতি নিট সম্পদ মূল্য বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২১ দশমিক ১৫ টাকা; ২০২৩ সালে যা ছিল ২০ দশমিক ৪০ টাকা। এর কারণ হিসেবে বলা হয়েছে, কোম্পানির নগদ ও নগদ সমতুল্য সম্পদের উল্লেখযোগ্য বৃদ্ধি।
তবে নিট অপারেটিং ক্যাশ ফ্লো পার শেয়ার বা শেয়ারপ্রতি নগদ অর্থপ্রবাহ কিছুটা কমে ২ দশমিক ৪৪ টাকা হয়েছে; ২০২৩ সালে যা ছিল ২ দশমিক ৫৩ টাকা। এই হ্রাসের পেছনে কোম্পানির দায় পরিশোধের পরিমাণ বৃদ্ধির কারণ উল্লেখ করা হয়েছে। ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ সূত্রে এসব তথ্য পাওয়া গেছে।
আগামী ২৪ মার্চ বেলা তিনটায় সিটি জেনারেল ইনস্যুরেন্স কোম্পানির বার্ষিক সাধারণ সভা (এজিএম) অনুষ্ঠিত হবে। সভাটি হাইব্রিড পদ্ধতিতে অনুষ্ঠিত হবে, যেখানে শেয়ারহোল্ডাররা সরাসরি ঢাকার দিলকুশা সি/এ-এর ৩০-৩১ নম্বর বিসিআইসি অডিটরিয়ামে উপস্থিত হয়ে বা ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মের মাধ্যমে ভার্চ্যুয়াল পদ্ধতিতে অংশগ্রহণ করতে পারবেন। লভ্যাংশের জন্য রেকর্ড তারিখ নির্ধারণ করা হয়েছে ২৭ ফেব্রুয়ারি।
শেয়ারহোল্ডার ও অংশীজনদের কোম্পানির কর্মক্ষমতা এবং ভবিষ্যতের কৌশল নিয়ে আলোচনায় অংশ নেওয়ার জন্য বার্ষিক সাধারণ সভায় যোগদানের অনুরোধ জানানো হয়েছে। সভা ও লভ্যাংশ বিতরণসংক্রান্ত বিস্তারিত তথ্য যথাসময়ে জানানো হবে।
গত এক বছরে সিটি জেনারেল ইনস্যুরেন্সের শেয়ারের সর্বোচ্চ দাম ছিল ৯৩ টাকা ৯০ পয়সা এবং সর্বনিম্ন দাম ছিল ৩৮ টাকা ৫০ পয়সা।
কোম্পানিটি ২০২৩ সালে ১২ শতাংশ, ২০২২ সালে ১০ দশমিক ৫০ শতাংশ, ২০২১ সালে ১০ শতাংশ ও ২০২০ সালে ১০ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দিয়েছে। এ ছাড়া ২০১৭ সালে ১০ শতাংশ, ২০১৫ সালে ১০ শতাংশ, ২০১৪ সালে ১০ শতাংশ বোনাস লভ্যাংশ দিয়েছে।
.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: জ ন র ল ইনস য র ন স ২০২৩ স ল র জন য দশম ক
এছাড়াও পড়ুন:
১ উইকেট নিয়েও যেভাবে ‘সবার ওপরে’ শামি
মোহাম্মদ শামির আরেক নাম হতে পারে ফাইনাল-শিকারি! ক্রিকেটের তিন ফরম্যাট মিলিয়ে আইসিসি টুর্নামেন্টের ফাইনালে এখন সবচেয়ে বেশি (১০) উইকেটের মালিক ভারতীয় পেসার। এত দিন যে রেকর্ডটা ছিল মিচেল স্টার্কের দখলে। আজ দুবাইয়ে চ্যাম্পিয়নস ট্রফির ফাইনালে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে ১ উইকেট নিয়েই স্টার্ককে ছাড়িয়ে সবার ওপরের চেয়ারে বসেছেন শামি।
২০১৩ সালের জানুয়ারিতে দিল্লিতে পাকিস্তানের বিপক্ষে ওয়ানডে দিয়ে জাতীয় দলে পথচলা শুরু শামির। এরপর ২০২১ সালে টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ দিয়ে প্রথম কোনো আইসিসির ফাইনালে অংশ নেন এই পেসার। সেবার নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে প্রথম ইনিংসেই ৪ উইকেট তুলে নেন শামি। যদিও ম্যাচটা ৮ উইকেটে জেতে কিউইরা। এরপর ২০২৩ ওয়ার্ল্ড টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে দুই ইনিংসে ২টি করে মোট ৪টি উইকেট নেন। ২০২৩ ওয়ানডে বিশ্বকাপে নেন আরেক উইকেট। আজ কিউইদের বিপক্ষে চ্যাম্পিয়নস ট্রফিতে নিলেন নিজের দশম ফাইনাল উইকেট। ভাঙলেন স্টার্কের রেকর্ডও।
অস্ট্রেলিয়ার স্টার্ক আইসিসির টুর্নামেন্টে পাওয়া ৮ উইকেটের ৫টিই পেয়েছিলেন দুই ওয়ানডে বিশ্বকাপে। যার মধ্যে ২০১৫ সালে মেলবোর্নে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে ২ উইকেট নিয়ে ম্যাচের মোড় অনেকখানি বদলে দেন। সেবার মোট ২২ উইকেট নিয়ে টুর্নামেন্ট–সেরাও হয়েছিলেন এই অজি পেসার। এরপর ২০২৩ বিশ্বকাপে ভারতের বিপক্ষে ১০ ওভার বোলিং করে ৫৫ রান দিয়ে নেন ৩ উইকেট।
মিচেল স্টার্কের রেকর্ড ভেঙেছেন মোহাম্মদ শামি