ঘরোয়াভাবে খাবার প্রস্তুত করার সময় বিভিন্ন বর্জ্য তৈরি হয়, যা আবাসিক বা গৃহস্থালি বর্জ্য বলা যায়। এই আবাসিক বর্জ্য সঠিকভাবে আবার ব্যবহারোপযোগী করলে পরিবেশ দূষণ যেমন কমে, তেমনি আর্থিকভাবে লাভবান হওয়া যায়। সম্প্রতি এ বিষয়ে সচেতনতা বাড়াতে উদ্যোগ নিয়েছে ইয়ুথ অ্যাকশন ফর সোশ্যাল ডেভেলপমেন্ট।

তারা আবাসিক বর্জ্য আবার ব্যবহারোপযোগী করার জন্য কী পদক্ষেপ নেওয়া যেতে পারে– সে বিষয়ে খাদ্যপণ্য নিয়ে কাজ করেন এমন নারী উদ্যোক্তার সঙ্গে মতবিনিময়ের আয়োজন করেন। ৬ ফেব্রুয়ারি খুলনার কেডিএ অ্যাভিনিউয়ে অবস্থিত বিজয়গাথা কমিউনিটি সেন্টারে ২০ নারী উদ্যোক্তা এতে অংশ নেন।

প্রস্তুতকৃত খাদ্যপণ্য ব্যবসায় আগে থেকে কত পরিমাণ খাবার লাগবে, তা নির্ধারণ করা হলে অতিরিক্ত খাবার নষ্ট হওয়ার আশঙ্কা কম থাকে। এ ছাড়া খাবার প্যাকেজিংয়ের জন্য প্লাস্টিক পণ্য ব্যবহার না করে কাগজ দিয়ে তৈরি অথবা ফয়েল পেপার দিয়ে তৈরি করা পণ্য ব্যবহার করলে পরিবেশ দূষণ হওয়ার আশঙ্কা কম থাকে। প্লাস্টিকের পরিবর্তে ফের ব্যবহারযোগ্য বিভিন্ন পণ্য ব্যবহার করে বর্জ্য ব্যবস্থাপনায় উদ্যোগ নেওয়া যেতে পারে। আলোচনায় অংশগ্রহণকারী নারী উদ্যোক্তারা এসব বিষয়ে মতামত তুলে ধরেন। 

‘কেক অ্যান্ড বাইট’-এর উদ্যোক্তা রুমি রহমান বলেন, ‘পচনশীল উচ্ছিষ্ট ফেলে না দিয়ে কম্পোস্ট তৈরি করি, যা কিচেন গার্ডেনে সার হিসেবে ব্যবহার করি। আবার অনেক পণ্য রয়েছে, যা ভোক্তার কাছে আকর্ষণীয় ও পরিবেশবান্ধব। প্লাস্টিকের বদলে আমি অনেক ক্ষেত্রে কলাপাতা ব্যবহার করি।’

ইয়ুথ অ্যাকশন ফর সোশ্যাল ডেভেলপমেন্টের প্রোগ্রাম ম্যানেজার শাফনা আক্তার বলেন, ‘উদ্যোক্তারা সংসার সামলানোর পাশাপাশি ব্যবসা সামলান। ব্যবসায়ের কাঁচামাল ক্রয় বা সংসারের বাজার করার সময় তারা যদি পরিবেশবান্ধব পণ্য ব্যবহার করেন এবং প্লাস্টিকের ব্যবহার কমিয়ে দেন তাহলে তা পরিবেশ রক্ষায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। যেমন পাট দিয়ে তৈরি করা বাজারের ব্যাগ বা পণ্য ডেলিভারি দেওয়ার সময় প্লাস্টিকের পরিবর্তে পাটের তৈরি ব্যাগ ব্যবহার করতে পারেন।’

লেখক: উন্নয়নকর্মী

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: র ব যবহ র পর ব শ ব যবস

এছাড়াও পড়ুন:

মাগুরার শিশুটির জীবন সংকটাপন্ন, এক দিনে চারবার ‘কার্ডিয়াক অ্যারেস্ট’

মাগুরায় যৌন নির্যাতনের শিকার আট বছর বয়সী শিশুটির জীবন সংকটাপন্ন। বুধবার চিকিৎসাধীন অবস্থায় চারবার ‘কার্ডিয়াক অ্যারেস্ট’ (আকস্মিকভাবে হৃৎস্পন্দন বন্ধ হয়ে যাওয়া) হয়েছে। পাশাপাশি অন্যান্য শারীরিক জটিলতাও রয়েছে। বাংলাদেশ সেনাবাহিনী এক ফেসবুক পোস্টে এ তথ্য জানিয়েছে। শিশুটির সুস্থতার জন্য সেনাবাহিনী দেশবাসীর কাছে দোয়া চেয়েছে।

সেনাবাহিনী জানিয়েছে, ঢাকায় সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালের (সিএমএইচ) শিশু বিভাগের শিশুরোগের চিকিৎসাসংক্রান্ত নিবিড় পরিচর্যাকেন্দ্রে (পিআইসিইউ) শিশুটির চিকিৎসা চলছে। প্রতিদিন স্ট্যান্ডার্ড আইসিইউ প্রটোকল অনুযায়ী প্রয়োজনীয় পরীক্ষা-নিরীক্ষা করা এবং সে অনুযায়ী তাকে সর্বোচ্চ চিকিৎসাসেবা দেওয়া হচ্ছে।

সেনাবাহিনীর ফেসবুক পোস্টে বলা হয়েছে, শিশুটি আজ (বুধবার) চারবার কার্ডিয়াক অ্যারেস্টের শিকার হয়েছে। সিপিআর (কার্ডিও পালমোনারি রিসাসিটেশন) দিয়ে তার শারীরিক অবস্থা স্থিতিশীল করা হয়েছে। তার রক্তে লবণের ভারসাম্যহীনতার কারণে ডায়ালাইসিস করা হচ্ছে। অন্যান্য জটিলতার পাশাপাশি শিশুটির রক্তচাপ ৬০/৪০ মিমি পারদ কিংবা তার চেয়ে নিম্নমুখী।

সিএমএইচের বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের সমন্বয়ে গঠিত উচ্চপর্যায়ের চিকিৎসা পর্ষদ সর্বাধুনিক চিকিৎসাপদ্ধতির মাধ্যমে শিশুটির জীবন রক্ষার জন্য সর্বাত্মক প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন বলে জানিয়েছে সেনাবাহিনী।

বোনের বাড়িতে বেড়াতে যাওয়া আট বছরের এই শিশুকে ধর্ষণের অভিযোগে মামলা করেছেন শিশুটির মা। শিশুটির ভগ্নিপতি, বোনের শ্বশুর, শাশুড়ি ও ভাশুরকে গ্রেপ্তারের পর রিমান্ডে নেওয়া হয়েছে। শিশুর বোনের শ্বশুরকে সাত দিন, স্বামী, শাশুড়ি ও ভাশুর প্রত্যেকের পাঁচ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন মাগুরার আদালত।

গত বৃহস্পতিবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে অচেতন অবস্থায় শিশুটিকে মাগুরা ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট হাসপাতালে নিয়ে আসেন তার বোনের শাশুড়ি। পরে শিশুটির মা হাসপাতালে যান। ওই দিন দুপুরেই উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। সেখান থেকে বৃহস্পতিবার রাতেই পাঠানো হয় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে। এরপর শুক্রবার রাতে তাকে লাইফ সাপোর্টে নেওয়া হয়। সংকটাপন্ন শিশুটিকে শনিবার সন্ধ্যায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পিআইসিইউ থেকে সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়।

সম্পর্কিত নিবন্ধ