সানবিডি২৪ এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি ফলো করুন

গাজীপুরে সাবেক মুক্তিযুদ্ধবিষয়কমন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হকের বাড়িতে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের শিক্ষার্থীদের ওপর হামলার ঘটনায় নড়েচড়ে বসেছে প্রশাসন। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের নির্দেশে গাজীপুরসহ সারা দেশে চলছে ‘অপারেশন ডেভিল হান্ট’। এরই মধ্যে গাজীপুর থেকে আওয়ামী লীগের ৪০ নেতাকর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে যৌথ বাহিনীর বিশেষ এ অভিযানে।

রোববার (৯ ফেব্রুয়ারি) এ তথ্য নিশ্চিত করেছে গাজীপুর মহানগর পুলিশ (জিএমপি)।

শনিবার (৮ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের আইনশৃঙ্খলা বাহিনীগুলোর সমন্বয়ে অনুষ্ঠিত সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, এদিন রাত থেকেই সাড়াশি অভিযান শুরু করে যৌথ বাহিনী। গুরুত্বপূর্ণ সব মোড়ে জোরদার করা হয় টহল কার্যক্রম। গাজীপুর জেলা প্রশাসকের অফিসের সামনে চেকপোস্ট বসিয়ে মোটরসাইকেলসহ সড়কে বিভিন্ন গাড়ি থামিয়ে তল্লাশি চালান সেনা সদস্যরা। অভিযানে এখন পর্যন্ত আওয়ামী লীগের ৪০ জন নেতাকর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন গাজীপুরের পুলিশ সুপার চৌধুরী যাবের সাদেক।

প্রসঙ্গত, গতকাল শুক্রবার (৭ ফেব্রুয়ারি) রাত ৯টার দিকে গাজীপুর মহানগরীর ধীরাশ্রম দক্ষিণখান এলাকায় সাবেক মন্ত্রী ও জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মোজাম্মেল হকের বাড়ি ভাঙচুরের অভিযোগ তুলে শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা করেছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। এতে আহত হন অন্তত ১৫ শিক্ষার্থী।

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন গাজীপুরের নেতাকর্মীরা বলেন, হামলায় আহত ব্যক্তিদের প্রায় সবাইকে গাজীপুর শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। হামলায় আহতদের দেখতে গতকাল রাত তিনটার দিকে হাসপাতালটিতে যান বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কেন্দ্রীয় দুই নেতা সারজিস আলম ও হাসনাত আবদুল্লাহ।

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতাকর্মীদের দাবি, গতকাল রাতে কাছে খবর আসে, ধীরাশ্রম এলাকায় সাবেক মন্ত্রীর বাড়িতে হামলা ও লুটপাট হচ্ছে। এটি শোনার পর প্রতিহত করতে শিক্ষার্থীরা রওনা হয়। দ্রুত ১৫ থেকে ২০ জন ঘটনাস্থলে চলে যায়। সেখানে গিয়ে দেখা যায়, বাড়িটিতে লুটপাট হচ্ছে। এ সময় মাইকে ঘোষণা দিয়ে শত শত মানুষকে জড়ো করা হয়। অন্য শিক্ষার্থীরা আসার আগেই ওই শিক্ষার্থীদের কয়েকজনকে বাসার ছাদে নিয়ে পেটানো হয়। পরে অন্য শিক্ষার্থীরা ঘটনাস্থলে গেলে তাদেরও পেটায় স্থানীয় বাসিন্দারা।

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের গাজীপুর জেলা সমন্বয়ক আব্দুল্লাহ আল মাহিম জানান, আ ক ম মোজাম্মেল হকের ধীরাশ্রমের বাড়িতে লুটপাট হচ্ছে, এমন খবরে লুটপাট ঠেকাতে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতাকর্মীরা ঘটনাস্থলে যায়। পরে মাইকে ঘোষণা দিয়ে ছাত্রলীগ, যুবলীগ ও এলাকাবাসী তাদের ওপর হামলা চালায়।

বিএইচ

.

উৎস: SunBD 24

কীওয়ার্ড: ন ত কর ম মন ত র আওয় ম

এছাড়াও পড়ুন:

ধর্ষণ ও নারী নিপীড়নের প্রতিবাদে ‘ঢাকাস্থ আদিবাসী ছাত্রসমাজের’ সমাবেশ

দেশের বিভিন্ন স্থানে ধর্ষণ ও নারী নিপীড়নের প্রতিবাদে সমাবেশ ও বিক্ষোভ মিছিল করেছে ‘ঢাকাস্থ আদিবাসী ছাত্রসমাজ’। আজ বুধবার বিকেলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজু ভাস্কর্যের সামনে এ কর্মসূচি পালন করে তারা। সমাবেশ থেকে নারী ও শিশুর ওপর সহিংসতা, ধর্ষণ ও হত্যার ঘটনা বন্ধে অন্তর্বর্তী সরকারকে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণের দাবি জানানো হয়।

সমাবেশে পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতির (জেএসএস) কেন্দ্রীয় সদস্য দীপায়ন খীসা বলেন, ‘আজ সারা দেশে কী হয়েছে? ধর্ষণ বেড়েছে। আদিবাসীদের ওপর হামলা বেড়েছে। আমরা প্রতিবার প্রতিটি সমাবেশ থেকে নিপীড়নের কথা বলেছি। প্রতিবার হামলা নিপীড়নের প্রতিবাদ করতে হয়েছে। এই জন্যই কি গণ–অভ্যুত্থান হয়েছে?’

সমাবেশে বাংলাদেশ মারমা স্টুডেন্টস কাউন্সিলের ঢাকা মহানগর শাখার সাধারণ সম্পাদক নুমংপ্রু মারমা বলেন, গণ–অভ্যুত্থানের স্বপ্ন ব্যর্থ হয়েছে। এক সেটেলার কর্তৃক এক জুম্ম প্রতিবন্ধী শিশুকে ধর্ষণ করা হয়েছে। এর চেয়ে বড় কষ্টের বিষয় হলো সরকার বা দেশের দায়িত্বশীল ব্যক্তিরা তাঁদের নীরব ভূমিকা পালন করেছেন, যা এই ধর্ষকদের সাহস বাড়িয়ে দিচ্ছে এসব অপকর্মে লিপ্ত হওয়ার জন্য।

পার্বত্য চট্টগ্রাম পাহাড়ি ছাত্র পরিষদের ঢাকা মহানগর শাখার সাংগঠনিক সম্পাদক হ্লামংপ্রু মারমার সঞ্চালনায় সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ আদিবাসী ছাত্র সংগ্রাম পরিষদের সভাপতি অনন্ত তঞ্চঙ্গ্যা। এ সময় সংহতি বক্তব্য দেন পার্বত্য চট্টগ্রাম পাহাড়ি ছাত্র পরিষদের কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক রুমেন চাকমা, বাংলাদেশ মাহাতো আদিবাসী ছাত্রসংগঠনের সভাপতি শুভ্রময় মাহাতো, হিল উইমেন্স ফেডারেশনের ঢাকা মহানগর কমিটির সদস্য কলি চাকমা, ত্রিপুরা স্টুডেন্টস ফোরাম ঢাকা মহানগর শাখার সভাপতি মিশাল ত্রিপুরা, পায়া ম্রো, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী সুর্মি চাকমা ও স্নেহলাল তঞ্চঙ্গ্যা।

সম্পর্কিত নিবন্ধ