সন্ধ্যা ৬.২৩। উত্তর হন্ডুরাসে আঘাত হানল ভূমিকম্প। মার্কিন ভূতাত্ত্বিক জরিপ সংস্থা ইউএসজিএস বলছে, রিখটার স্কেলে এর মাত্রা ছিল ৭.৬, যা ওই অঞ্চলে সর্বশেষ ৪ বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ।

ভূমিকম্পের পর সুনামির আশঙ্কাও করেছিল মার্কিন সুনামি সতর্কীকরণ ব্যবস্থা, যা পরে তারা বাতিল করে। এমন প্রতিকূল পরিস্থিতিতে হন্ডুরাসেই প্রাক্‌-মৌসুম ম্যাচ খেলতে গিয়েছিলেন লিওনেল মেসি। গিয়েছেন কী! খেলেছেন, নিজে গোল করেছেন এবং সতীর্থদের দিয়ে করিয়েছেন।

ভূমিকম্পের দুই ঘণ্টা পর সুনামির আশঙ্কা করেছিল মার্কিন সংস্থাটি। ইন্টার মায়ামির ম্যাচও ছিল কাছাকাছি সময়ে, রাত ৮ টার দিকে। তবে ম্যাচ বাতিলের কোনো পরিস্থিতি সেখানে সৃষ্টি হয়নি।

৫–০ গোলে জিতেছে মায়ামি.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: ভ ম কম প

এছাড়াও পড়ুন:

লাকী আক্তারকে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে গ্রেপ্তার দাবি

গণজাগরণ মঞ্চের অন্যতম সংগঠক লাকী আক্তারের বিরুদ্ধে দেশবিরোধী ও উস্কানিমূলক কর্মকাণ্ডে লিপ্ত হওয়ার অভিযোগ এনে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে গ্রেপ্তার দাবি করেছে ইসলামী শাসনতন্ত্র ছাত্র আন্দোলন। 

বুধবার (১২ মার্চ) ইসলামী ছাত্র আন্দোলন বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় সভাপতি ইউসুফ আহমাদ মানসুর ও সাধারণ সম্পাদক শেখ মাহবুবুর রহমান নাহিয়ান স্বাক্ষরিত এক যৌথ বিবৃতিতে এ গ্রেপ্তার জানানো হয়েছে।

বিবৃতিতে নেতৃবৃন্দ বলেন, ২০১৩ সালের শাহবাগ আন্দোলনের সময় লাকী আক্তার ও তার সহযোগীরা ইসলাম, আলেম-ওলামা ও দেশের শান্তিপ্রিয় জনতার সেন্টিমেন্টের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছিল। আজো সে একই অপকৌশলের আশ্রয় নিয়ে দেশকে অস্থিতিশীল করার ষড়যন্ত্রে লিপ্ত। স্বাধীনতার পর থেকে একটি চিহ্নিত গোষ্ঠী দেশের স্বার্থবিরোধী কর্মকাণ্ড চালিয়ে আসছে এবং লাকী আক্তার সেই গোষ্ঠীর সক্রিয় সদস্য হিসেবে আবারো প্রকাশ্যে এসেছে। দেশের বিচার ব্যবস্থাকে প্রশ্নবিদ্ধ করা এবং খুনি হাসিনার মতো স্বেচ্ছাচারী শাসক তৈরি করতে সবচেয়ে বড় ভূমিকা ছিল তাদের। 

আরো পড়ুন:

লাকি আক্তারের গ্রেপ্তার দাবিতে মধ্যরাতে শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ

উপদেষ্টা মাহফুজ আলমের ফেসবুক স্ট্যাটাসের প্রতিবাদ শিবিরের

তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে বিবৃতিতে নেতৃবৃন্দ আরো বলেন, ইসলামী ছাত্র আন্দোলন বাংলাদেশ জনগণের ধর্মীয় ও নৈতিক অধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য বদ্ধপরিকর। আমরা স্পষ্টভাবে বলতে চাই, লাকী আক্তারের মতো দেশবিরোধী অপশক্তিদের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ানো সময়ের দাবি। সরকারের প্রতি আমাদের আহ্বান, ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে লাকী আক্তারকে গ্রেপ্তার করে আইনের আওতায় আনতে হবে। অন্যথায়, দেশপ্রেমিক ছাত্র-জনতা কঠোর কর্মসূচি দিতে বাধ্য হবে।

তারা বলেন, ইসলামী ছাত্র আন্দোলন বাংলাদেশ শান্তিপূর্ণ আন্দোলনে বিশ্বাসী। কিন্তু যদি প্রশাসন নিরব থাকে এবং লাকী আক্তারের অপতৎপরতা বন্ধ না করা হয়, তাহলে আমরা দেশব্যাপী বিক্ষোভ ও গণআন্দোলনের ডাক দিতে বাধ্য হবো।

বিবৃতিতে সর্বস্তরের জনগণকে শাহবাগীদের বিরুদ্ধে সোচ্চার হওয়ার আহ্বান জানানো হয় এবং সংশ্লিষ্ট প্রশাসনকে দ্রুত পদক্ষেপ গ্রহণের আহ্বান জানানো হয়।

ঢাকা/সৌরভ/মেহেদী

সম্পর্কিত নিবন্ধ