‘সাগর-রুনি হিউম্যান রাইটস ফটো অ্যাওয়ার্ড’ পেলেন ১০ আলোকচিত্রী। শনিবার রাজধানীর শাহবাগ জাতীয় জাদুঘরে এক অনুষ্ঠানে তাদের হাতে পুরস্কার তুলে দেয় সাগর-রুনি ফাউন্ডেশন।

সাংবাদিক দম্পতি সাগর সরওয়ার ও মেহেরুন রুনি হত্যার ১৩তম বছরে সুষ্ঠু বিচার, মানবাধিকার প্রতিষ্ঠা ও সব অন্যায়-অবিচারের প্রতিবাদে পুরস্কার প্রদান এবং আলোকচিত্র প্রদর্শনীতে সহযোগিতা করে হা-মীম গ্রুপ ও মঙ্গলদীপ ফাউন্ডেশন।

ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে হাত হারানো রাজধানীর উত্তরার গাজী আতিকুলের ছবি তুলে সেরা হয়েছেন মোহাম্মদ তাসাওয়ার ইসলাম। কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে মায়ের ডাকের মানববন্ধনে বাবার ছবি ধরে কান্নাভেজা শিশুর ছবি তুলে দ্বিতীয় পুরস্কার অর্জন করেন মেহেদী হাসান। আর গত বছর ১৫ জুলাই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে দুই ছাত্রীর ওপর ছাত্রলীগের হামলার ছবির জন্য তৃতীয় পুরস্কার পেয়েছেন দীপু মালাকার। সেরা আলোকচিত্রীকে ৫০ হাজার, দ্বিতীয় ও তৃতীয়কে ২৫ হাজার টাকা ও সম্মাননা স্মারক এবং সনদ দেওয়া হয়। এ ছাড়া মেহেদী হাসান, সৈয়দ মাহবুবুল কাদের, নুসায়ের বিন খালেদ, আব্দুল্লাহ আল জুবায়ের, শাহনেওয়াজ খান, নুরুন নাহার নার্গিস ও দাইওয়ান আলভি বিশেষ সম্মাননা পেয়েছেন।

আয়োজকরা জানান, নির্বাচিত ৫০ সেরা ছবি নিয়ে গতকাল শুরু প্রদর্শনী চলবে ১৮ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত। তবে আগামী বৃহস্পতি ও শনিবার জাতীয় জাদুঘর বন্ধ থাকায় প্রদর্শনী হবে না।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি গৃহায়ন ও গণপূর্ত উপদেষ্টা আদিলুর রহমান বলেন, ‘অন্যায়ের বিরুদ্ধে সব সময় সংগ্রাম চালিয়ে যেতে হবে। বাংলাদেশকে আর কখনও হারতে দেওয়া যাবে না।’ 

অনুষ্ঠানে সাগর-রুনির ছেলে মাহির সরওয়ার মেঘ বলেন, ‘মা-বাবার অনেক স্মৃতি মনে পড়ে। কিন্তু সব বলা হয় না। আমার কাছে মনে হয়, তারা এমন কিছু জানতেন এক ব্যক্তির সম্পর্কে, সেসব লুকানোর জন্যই মা-বাবাকে হত্যা করা হয়েছে।’

অনুষ্ঠানে সাগর-রুনির আইনজীবী শিশির মুহাম্মদ মনির জানান, নানা প্রতিকূলতার পরও তারা এমন হত্যাকাণ্ড নিয়ে কাজ করছেন। আগামী ৪ এপ্রিল বিশেষ টাস্কফোর্স প্রতিবেদন হাইকোর্টে জমা দেবে।
 

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: স গর র ন

এছাড়াও পড়ুন:

ইউএনওর সামনে কর্মচারীদের মারধর করলেন স্বেচ্ছাসেবক দলের নেতা

দিনাজপুরের বিরামপুরে পহেলা বৈশাখ অনুষ্ঠান চলাকালে উপজেলা পরিষদের তিন কর্মচারীর ওপর হামলার অভিযোগ উঠেছে স্বেচ্ছাসেবক দলের এক নেতা ও তার সহযোগীদের বিরুদ্ধে।

সোমবার (১৪ এপ্রিল) সকাল ১১টার দিকে উপজেলা পরিষদের মুক্তমঞ্চে ঘটনাটি ঘটে। এসময় সেখানে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও), বিরামপুর থানার ওসি, উপজেলা বিএনপির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক উপস্থিত ছিলেন।

ঘটনার বিষষটি নিশ্চিত করেছেন ইউএনও নুজহাত তাসনীম আওন।

আরো পড়ুন:

শিশুকে ‌‘ধর্ষণ’, গণপিটুনি দিয়ে অভিযুক্তকে পুলিশে সোপর্দ

জামিন: জেল গেটে হামলার শিকার সাবেক এমপি আব্দুল আজিজ

আহতরা হলেন- উপজেলা পরিষদের অফিস সহায়ক এমদাদুল হক, আবু হোসেন, ইউএনও কার্যালয়ের নিরাপত্তা প্রহরী মমিনুল ইসলাম ওরফে রনি। তাদের মধ্যে এমদাদুল হক উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন। 

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, বাংলা নববর্ষ ১৪৩২ বর্ষবরণ অনুষ্ঠানে উপজেলা পরিষদের ভেতর মুক্তমঞ্চে চলছিল। উপজেলা পরিষদ ও ইউএনওর কয়েকজন কর্মচারী আমন্ত্রিত অতিথিদের পান্তা, মাছ, ভর্তা ও পানি বিতরণ করছিলেন। এ সময় স্বেচ্ছাসেবক দলের পৌর সদস্য সচিব আরিফুর রহমান রাসেল ও তার সহযোগীরা খাবার নিয়ে বাকবিতাণ্ড শুরু করেন। এক পর্যায়ে তারা সবার সামনে ওই তিন কর্মচারীকে মারধর করে আহত করেন।

ইউএনও কার্যালয়ের নিরাপত্তা প্রহরী মমিনুল ইসলাম রনি বলেন, “সুন্দর পরিবেশে বর্ষবরণ অনুষ্ঠান চলছিল। অতিথিদের জন্য পান্তা উৎসব শুরু করার জন্য আমরা কয়েকজন নিয়োজিত ছিলাম। পৌর স্বেচ্ছাসেবক দলের সদস্য সচিব আরিফুর রহমান রাসেল নিজেই খাবার নিতে শুরু করেন। আমরা বাঁধা দিলে ওই নেতা ও তার সহযোগীরা আমাদের পিটিয়ে আহত করেন।”

অভিযুক্ত স্বেচ্ছাসেবক দলের সদস্য সচিব আরিফুর রহমান রাসেল বলেন, “ভাই আমি রাগ কন্ট্রোল করতে পারিনি। একটা চড় মেরেছি। খাবার বিতরণের অনিয়ম ও সিনিয়র নেতাদের অপমান করায় এমনটি হয়েছে। আমার ভুল হয়েছে।”

বিরামপুর উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মঞ্জুর এলাহী চৌধুরী রুবেল বলেন, “এমন অনুষ্ঠানে এ ধরনের আচরণ করা মোটেও ঠিক হয়নি। এমন আচরণের পর আমি সেখান থেকে চলে আসি।”

জানতে চাইলে উপজেলা বিএনপির সভাপতি মিঞা মো. শফিকুল আলম মামুন বলেন, “আপনি সামনাসামনি আসেন, মোবাইলে নয়।”

বিরামপুর থানার ওসি মমতাজুল হক বলেন, “এ ঘটনায় কেউ অভিযোগ করেননি। অভিযোগ দিলেই আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”

বিরামপুর উপজেলা নিবার্হী কর্মকর্তা (ইউএনও) নুজহাত তাসনীম আওন বলেন, “বর্ষবরণ অনুষ্ঠানে হাজার লোকের আয়োজন ছিল। এমন অনুষ্ঠানে মারধরের ঘটনা ঘটেছে। আহত তিন কর্মচারীকে থানায় অভিযোগ দিতে বলা হয়েছে।”

ঢাকা/মোসলেম/মাসুদ

সম্পর্কিত নিবন্ধ