নোয়াখালী হাতিয়া উপজেলায় যৌথ বাহিনীর অভিযানে ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যানসহ চার আওয়ামী লীগ নেতাকে আটক করা হয়েছে। গতকাল শনিবার রাতে উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাঁদের আটক করা হয়।

আটক ব্যক্তিরা হলেন উপজেলার চরঈশ্বরের আলাউদ্দিন আজাদ (৬৪) এবং তমরুদ্দির সিরাজুল ইসলাম ওরফে রাকছান (২৪), আবদুল মাজেদ ওরফে পলাশ (৪৩) ও আবদুল জাহের (৩৯)। তাঁদের মধ্যে আলাউদ্দিন আজাদ চরঈশ্বর ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান এবং ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি। অন্যরা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সদস্যপদে রয়েছেন।

পুলিশ জানায়, ইউপি চেয়ারম্যান আজাদকে ওছখালী পুরোনো বাজারের ২ নম্বর ওয়ার্ড থেকে আটক করা হয়েছে। আর বাকি তিনজনকে তমরদ্দি ইউনিয়নের ৯ নম্বর ওয়ার্ডের খাসেরহাট এলাকা থেকে আটক করা হয়। চারজনকে আটকের বিষয়টি হাতিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এ কে এম আজমল হুদা প্রথম আলোকে নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, হাতিয়ায় গত বৃহস্পতিবার রাতে সংঘটিত সহিংস ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে পরিচালিত অভিযানে চারজনকে আটক করা হয়।

.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: আওয় ম

এছাড়াও পড়ুন:

অপারেশন ডেভিল হান্ট : হাতিয়ায় ইউপি চেয়ারম্যানসহ আটক ৭

অপারেশন ডেভিল হান্টের প্রথমদিনে নোয়াখালী হাতিয়ায় যৌথ বাহিনী অভিযান চালিয়ে সাবেক চেয়ারম্যান ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতিসহ ৭ জনকে আটক করেছে।

রবিবার (৯ ফেব্রুয়ারি) আসামিদের বিচারিক আদালতে হাজির করা হবে।  এর আগে, শনিবার (৮ ফেব্রুয়ারি) দিবাগত রাতে হাতিয়ার বিভিন্ন জায়গায় অভিযান পরিচালনা করে তাদের আটক করা হয়। 

আটককৃতরা হলেন, হাতিয়া উপজেলার চরঈশ্বর ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান আলাউদ্দিন আজাদ (৬৪), হাতিয়া পৌরসভার ১ নং ওয়ার্ডের বেলাল উদ্দিনের ছেলে সাদ্দাম হোসেন (২৬), ৩ নং ওয়ার্ডের মৃত আব্দুস শহিদের ছেলে আবুল কালাম বিটু (৪৪), নিঝুম দ্বীপ ইউনিয়নের আদর্শগ্রামের আলাউদ্দিনের ছেলে আজিম উদ্দিন (৩১), তমরুদ্দি ইউনিয়নের মহিন উদ্দিনের ছেলে সিরাজুল ইসলাম প্রকাশ রাকছান (২৪), হাজী আবদুল কাইয়ুমের ছেলে আবদুল মাজেদ পলাশ (৪৩) ও আবদুল জাহের (৩৯)।

নোয়াখালীর হাতিয়া উপজেলায় নৌবাহিনী, কোস্টগার্ড, নৌ পুলিশ ও পুলিশের সদস্যরা যৌথ অভিযান চালিয়ে ৫ নম্বর চরঈশ্বর ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান আজাদকে ওছখালী পুরাতন বাজারের ২ নম্বর ওয়ার্ড থেকে আটক করে। পরবর্তীতে বিভিন্ন স্থানে অভিযান পরিচালনা করে আরও ৬ জনকে আটক করে যৌথবাহিনী। অভিযানে একটি প্লাস্টিকের হাতলযুক্ত ধারালো ছুরি, একটি ধারালো কুড়াল, দুইটি কাঠের হাতলযুক্ত ধারালো ছুরি ও তিনটি লম্বা তলোয়ার উদ্ধার করা হয়। 

হাতিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এ কে এম আজমল হুদা বলেন, “স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে ‘অপারেশন ডেভিল হান্ট’ ঘোষণার পর হাতিয়া থানার এটি প্রথম অভিযান ছিল।” 

ঢাকা/সুজন/টিপু

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • বিশেষ অভিযানে ১ হাজার ৩০৮ জন গ্রেপ্তার
  • অপারেশন ডেভিল হান্ট : হাতিয়ায় ইউপি চেয়ারম্যানসহ আটক ৭