খেলোয়াড় বিক্রির আয়ে দ্বিতীয় স্থানে গার্দিওলা, সবার ওপরে কে
Published: 9th, February 2025 GMT
আধুনিক ফুটবলে একজন কোচকে বহুমুখী দায়িত্ব পালন করতে হয়। শুধু মাত্র ডাগআউটে দাঁড়িয়ে দলকে খেলানোই এখন আর যথেষ্ট নয়। খেলোয়াড় কেনা, বিক্রি করা, এমনকি খেলোয়াড় তৈরি করাও এখন তাঁদের গুরুত্বপূর্ণ কাজগুলোর মধ্যে পড়ে। একটি দলকে আগাগোড়া ঢেলে সাজাতে যা যা করতে হয়, সবকিছুই করতে হয় কোচকে। আর দলকে গড়ে তোলার এই প্রক্রিয়াতে ক্লাবকে খেলোয়াড় বিক্রিতেও বেশ সাহায্য করেন কোচরা।
তবে এ ক্ষেত্রে বিশেষ ভূমিকা রাখতে পারেন যাঁরা দীর্ঘ মেয়াদে কোনো ক্লাবের দায়িত্ব পালন করেন তাঁরা। কারণ, সে ক্ষেত্রে একাডেমি থেকে খেলোয়াড় তৈরি করে সামনে আনা এবং তাদের বাজারের জন্য ভালোভাবে গড়ে তোলার দায়িত্বও পলন করতে পারেন তাঁরা। খেলোয়াড় বিক্রি করে এই শতকে যে কজন কোচ ক্লাবগুলোকে সবচেয়ে বেশি অর্থ এনে দিয়েছেন, সে তালিকার দিকে তাকালেও বিষয়টি স্পষ্ট হবে।
খেলোয়াড় বিক্রি করে যাঁরা সবচেয়ে বেশি অর্থ এনে দিয়েছেন, তাঁদের শীর্ষে আছেন আতলেতিকো মাদ্রিদের কোচ দিয়েগো সিমিওনে। ২০০৬ সাল থেকে কোচিং ক্যারিয়ার শুরু করা এই আর্জেন্টাইন কোচ ২০১১ সাল থেকেই আছেন আতলেতিকোতে। যিনি এই শতকে খেলোয়াড় বিক্রির দিক থেকে সবচেয়ে অর্থ এনে দেওয়া কোচ। তাঁর হাত ধরেই খেলোয়াড় বিক্রি থেকে আতলেতিকোর ব্যাংক হিসাবে ঢুকেছে ১২৫ কোটি ইউরো।
এই শতকে খেলোয়াড় বিক্রি করে সবচেয়ে বেশি অর্থ এনে দেওয়া দ্বিতীয় কোচ পেপ গার্দিওলা। বার্সেলোনা, বায়ার্ন মিউনিখ এবং বর্তমানে ম্যানচেস্টার সিটিতে দায়িত্ব পালন করার গার্দিওলার আয় ১১২ কোটি ইউরো। এই তালিকায় পরের নামটি অবশ্য খানিকটা চমকপ্রদ। ইন্টার মিলান ছাড়া কখনো সেই অর্থে বড় ক্লাবে দায়িত্ব পালন না করা ইতালিয়ান কোচ জান পিয়েরো গাসপেরেনি আছেন তালিকার তিনে।
আতলেতিকো কোচ দিয়েগো সিমিওনেই খেলোয়াড় বিক্রি করে সবচেয়ে বেশি আয় এনে দিয়েছেন.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: সবচ য়
এছাড়াও পড়ুন:
মধ্যপ্রাচ্যের সামনে ঘুরে দাঁড়ানোর সুযোগ
সম্প্রতি হামাস ও ইসরায়েলের মধ্যে যুদ্ধবিরতি চুক্তি হওয়ায় মধ্যপ্রাচ্যে যুদ্ধ-সংঘাত অনেকটা থেমেছে। সিরিয়ার সাবেক প্রেসিডেন্ট বাশার আল আসাদ পালিয়ে যাওয়ায় দেশটিতে অবসান হয়েছে ১৩ বছরের গৃহযুদ্ধের। মধ্যপ্রাচ্যের রাজনৈতিক ও ঐতিহাসিক পরিবর্তন নতুনভাবে আগ্রহী করে তুলছে বিনিয়োগকারীদের। দীর্ঘ অস্থিরতার পর এখন অঞ্চলটিতে শান্তি ও অর্থনৈতিক পুনরুদ্ধারের সম্ভাবনা দেখা যাচ্ছে।
গতকাল রোববার প্রকাশিত রয়টার্সের বিশ্লেষণে এসব তথ্য উঠে আসে। এতে বলা হয়, দ্বিতীয় মেয়াদে দায়িত্ব নেওয়ার পর প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের ‘গাজা দখলের’ প্রস্তাব যদিও নতুন অনিশ্চয়তা তৈরি করেছে, তবে ইসরায়েল-হামাস যুদ্ধবিরতি, সিরিয়ায় বাশার আল-আসাদের পতন এবং লেবাননের নতুন সরকার বিনিয়োগকারীদের নতুন আশা দেখাচ্ছে।
মধ্যপ্রাচ্যে সাম্প্রতিক শান্তি আলোচনায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখা মিসর দীর্ঘদিন পর আন্তর্জাতিক বাজারে ডলার বন্ড বিক্রি করেছে। কয়েক বছর আগেই চরম অর্থনৈতিক সংকটে থাকা দেশটির অর্থনীতি এখন ঘুরে দাঁড়ানোর ইঙ্গিত দিচ্ছে। অন্যদিকে, লেবাননের রাজনৈতিক পরিস্থিতির উন্নতির ফলে বিনিয়োগকারীরা আবারও দেশটির বন্ড কিনতে শুরু করেছেন। ফলে দেশটির বন্ডের দাম উল্লেখযোগ্যভাবে বেড়েছে। বৈরুতের নতুন সরকার গঠন দেশটির রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক সংকট কাটিয়ে ওঠার প্রথম ধাপ বলেই দেখছেন বিশেষজ্ঞরা।
এফআইএম পার্টনার্সের বিনিয়োগ বিশ্লেষক চার্লি রবার্টসন বলেন, ‘গত কয়েক মাসে এ অঞ্চলের চেহারা বদলে গেছে এবং বিনিয়োগ পরিস্থিতিতে এটি এক নতুন গতিশীলতা তৈরি করেছে।’ তবে ট্রাম্পের নতুন গাজা পরিকল্পনা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেন তিনি।
বিশ্বের অন্যতম বৃহৎ বিনিয়োগ প্রতিষ্ঠান আমুন্দির উদীয়মান বাজার বিভাগের প্রধান ইয়ারলান সিজদিকভ জানিয়েছেন, তাঁর প্রতিষ্ঠান সম্প্রতি মিসরের বন্ড কিনছিল। কিন্তু ট্রাম্পের নতুন পরিকল্পনার পর তারা এখন সতর্ক অবস্থান নিচ্ছেন।
মধ্যপ্রাচ্যের সাম্প্রতিক পরিবর্তন বিনিয়োগের জন্য নতুন সুযোগ তৈরি করছে। তবে কিছুটা রাজনৈতিক ঝুঁকি এখনও আছে। বিশেষত ট্রাম্পের গাজা পরিকল্পনা ও হুতিদের আক্রমণের মতো বিষয়গুলো ঘুরে দাঁড়ানোর পথে থাকা এ অঞ্চলের বাজারের ওপর প্রভাব ফেলতে পারে।