আধুনিক ফুটবলে একজন কোচকে বহুমুখী দায়িত্ব পালন করতে হয়। শুধু মাত্র ডাগআউটে দাঁড়িয়ে দলকে খেলানোই এখন আর যথেষ্ট নয়। খেলোয়াড় কেনা, বিক্রি করা, এমনকি খেলোয়াড় তৈরি করাও এখন তাঁদের গুরুত্বপূর্ণ কাজগুলোর মধ্যে পড়ে। একটি দলকে আগাগোড়া ঢেলে সাজাতে যা যা করতে হয়, সবকিছুই করতে হয় কোচকে। আর দলকে গড়ে তোলার এই প্রক্রিয়াতে ক্লাবকে খেলোয়াড় বিক্রিতেও বেশ সাহায্য করেন কোচরা।

তবে এ ক্ষেত্রে বিশেষ ভূমিকা রাখতে পারেন যাঁরা দীর্ঘ মেয়াদে কোনো ক্লাবের দায়িত্ব পালন করেন তাঁরা। কারণ, সে ক্ষেত্রে একাডেমি থেকে খেলোয়াড় তৈরি করে সামনে আনা এবং তাদের বাজারের জন্য ভালোভাবে গড়ে তোলার দায়িত্বও পলন করতে পারেন তাঁরা। খেলোয়াড় বিক্রি করে এই শতকে যে কজন কোচ ক্লাবগুলোকে সবচেয়ে বেশি অর্থ এনে দিয়েছেন, সে তালিকার দিকে তাকালেও বিষয়টি স্পষ্ট হবে।

খেলোয়াড় বিক্রি করে যাঁরা সবচেয়ে বেশি অর্থ এনে দিয়েছেন, তাঁদের শীর্ষে আছেন আতলেতিকো মাদ্রিদের কোচ দিয়েগো সিমিওনে। ২০০৬ সাল থেকে কোচিং ক্যারিয়ার শুরু করা এই আর্জেন্টাইন কোচ ২০১১ সাল থেকেই আছেন আতলেতিকোতে। যিনি এই শতকে খেলোয়াড় বিক্রির দিক থেকে সবচেয়ে অর্থ এনে দেওয়া কোচ। তাঁর হাত ধরেই খেলোয়াড় বিক্রি থেকে আতলেতিকোর ব্যাংক হিসাবে ঢুকেছে ১২৫ কোটি ইউরো।

আরও পড়ুনসেই অর্থের ছায়াতলেই সিটির ভাগ্য বদলাতে চাইছেন গার্দিওলা২৪ জানুয়ারি ২০২৫

এই শতকে খেলোয়াড় বিক্রি করে সবচেয়ে বেশি অর্থ এনে দেওয়া দ্বিতীয় কোচ পেপ গার্দিওলা। বার্সেলোনা, বায়ার্ন মিউনিখ এবং বর্তমানে ম্যানচেস্টার সিটিতে দায়িত্ব পালন করার গার্দিওলার আয় ১১২ কোটি ইউরো। এই তালিকায় পরের নামটি অবশ্য খানিকটা চমকপ্রদ। ইন্টার মিলান ছাড়া কখনো সেই অর্থে বড় ক্লাবে দায়িত্ব পালন না করা ইতালিয়ান কোচ জান পিয়েরো গাসপেরেনি আছেন তালিকার তিনে।

আতলেতিকো কোচ দিয়েগো সিমিওনেই খেলোয়াড় বিক্রি করে সবচেয়ে বেশি আয় এনে দিয়েছেন.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: সবচ য়

এছাড়াও পড়ুন:

টেকনাফে যুবক অপহরণ, দশ লাখ মুক্তিপণ দাবি  

কক্সবাজারের টেকনাফের পাহাড় থেকে মোহাম্মদ দেলোয়ার (২৫) নামে এক যুবককে অপহরণ করেছে সশস্ত্র গোষ্ঠী। এ ঘটনায় অপহরণকারী দশ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করছে। 

জানা যায়, মোহাম্মদ দেলোয়ার মারিশবনিয়া এলাকার মৃত আব্দুল করিম মিস্ত্রীর ছেলে।

সোমবার দুপুরে এসব তথ্য নিশ্চিত করেন টেকনাফের বাহারছড়ার ৭ নম্বর ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য ফরিদ উল্লাহ। 

তিনি বলেন, সকালে এলাকার তিনজন মিলে পাহাড়ে ছন আনতে যায়। ওই সময় সশস্ত্র গোষ্ঠী ধাওয়া করে একজনকে ধরে নিয়ে যায়। অপর দুজন কোন রকম পালিয়ে এসেছে। এরপর দুপুরে অপহরণকারীরা অপহৃত পরিবারের কাছে ফোনে দশ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করে। 

এ বিষয়ে বাহারছড়া তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ (পরিদর্শক) শুভ রঞ্জন সাহা বলেন, এক যুবক অপহরণের বিষয়টি শুনেছি। এ ঘটনায় পুলিশ কাজ করছে। তবে মুক্তিপণের বিষয়টি আমরা অবগত নই।

এদিকে কক্সবাজার জেলা পুলিশ ও ভুক্তভোগী ব্যক্তিদের তথ্য বলছে, এ নিয়ে গত ১৫ মাসে টেকনাফের বিভিন্ন এলাকা থেকে ২৫০ জনকে অপহরণের ঘটনা ঘটেছে। এদের মধ্য বেশির ভাগই মুক্তিপণ দিয়ে ফিরেছে।
 

সম্পর্কিত নিবন্ধ