আন্দোলনকে ব্যবহার করে কেউ কেউ দল করতে চায়, বাকিদের অবদান অস্বীকার করে: নুরুল হক
Published: 9th, February 2025 GMT
গণ অধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক বলেছেন, ‘আমাদের আন্দোলনের ছাত্রনেতাদের মধ্যে গুটি কয়েক নেতা আন্দোলনকে ব্যবহার করে দল করতে চায়, সংগঠন করতে চায়, বাকিদের অবদানকে অস্বীকার করে। কোনো কোনো ক্ষেত্রে কোনো কোনো রাজনৈতিক দলের উৎপাতে এখনই মানুষ আবার অতিষ্ঠ হয়ে যাচ্ছে। এই লক্ষণ কিন্তু কারও জন্য ভালো না।’
গতকাল শনিবার সন্ধ্যায় কিশোরগঞ্জের পাকুন্দিয়া উপজেলা সদর ঈদগাহ মাঠে পাকুন্দিয়া উপজেলা গণ অধিকার পরিষদ আয়োজিত জনসভায় এসব কথা বলেন নুরুল হক।
আওয়ামী লীগের পরিণতির কথা সবাইকে মনে রাখার আহ্বান জানিয়ে নুরুল হক বলেন, ‘যারা উৎপাত করবেন, জনগণের বিরুদ্ধে দাঁড়াবেন, গণবিরোধী কর্মকাণ্ড করবেন, আওয়ামী লীগের দিকে একটু তাকান। বেশি দূর যাওয়া লাগবে না, অতীতে যাওয়া লাগবে না। তাদের নির্মম নিষ্ঠুর পতন আপনারা লক্ষ করুন। জনগণ বিক্ষুব্ধ হয়ে তাদের রাজনীতির তীর্থভূমি ধানমন্ডির ৩২ গুঁড়িয়ে মাটির সঙ্গে মিশিয়ে দিয়েছে। তবে এখনো এই ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগের কোনো অনুশোচনা কিংবা কোনো দুঃখবোধ আমরা দেখিনি। এখনো তাদের পৈশাচিক উল্লাস ও তাদের হুমকি চলছে। এখনো স্বৈরাচার শেখ হাসিনা ভারতে বসে ভারতের প্রেসক্রিপশন এই দেশে অরাজকতা তৈরি করার জন্য আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীদের উসকানি দিচ্ছে। অথচ মূল নেতারা সবাই কিন্তু নিরাপদে দেশ থেকে পালিয়ে গেছে।’ তিনি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অপারেশন ডেভিল হান্ট অভিযানের ঘোষণাকে স্বাগত জানান।
জনসভায় পাকুন্দিয়া উপজেলা গণ অধিকার পরিষদের সভাপতি শহিদুল ইসলামের সভাপতিত্বে সমাবেশে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন গণ অধিকার পরিষদের কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক রাশেদ খান।
.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
সেই গডফাদার কোথায়: নারায়ণগঞ্জে জামায়াত আমিরের
নারায়ণগঞ্জের আলোচিত-সমালোচিত আওয়ামী লীগ নেতা ও সংসদ সদস্য শামীম ওসমানকে ইঙ্গিত করে জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান বলেছেন, নারায়ণগঞ্জের গডফাদার কোথায়? যিনি আমাদের একজন আমিরকে বলেছিলেন তার প্রবেশ নিষেধ। সাইনবোর্ডও টানিয়ে রেখেছিলেন।
তিনি বলেন, আওয়ামী লীগের লোকজন পালিয়ে গেলেও তারা দেশকে ‘অস্থির’ করতে উস্কানিমূলক কর্মকাণ্ড করে যাচ্ছে। বাংলাদেশের মুক্তিপাগল মানুষ এইসব সহ্য করবে না। উস্কানির কারণে যে পরিবশে সৃষ্টি হবে তার দায় নিতে হবে উস্কানিদাতাদের।
আজ শুক্রবার দুপুরে নারায়ণগঞ্জ নগরীর ইসদাইরে ওসমানী পৌর স্টেডিয়ামে আয়োজিত এক জনসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। জেলা ও মহানগর জামায়াতে ইসলামী এ সমাবেশ আয়োজন করে।
হাজারো নেতাকর্মীর উপস্থিতিতে জনসভা শুরু হয় সকাল ৯টায়। বেলা সোয়া ১১টার দিকে প্রধান অতিথি বক্তব্য শুরু করেন।
এ সময় ডা. শফিকুর রহমান বলেন, নারায়ণগঞ্জের গডফাদারখ্যাত একজন দুর্ধর্ষ লোক জামায়াতের প্রয়াত আমির অধ্যাপক গোলাম আযমকে প্রকাশ্যে খুন করতে চেয়েছিলেন। সেই গডফাদার একটি সভায় ডিসি-এসপিকে উদ্দেশ করে বলেছিলেন, ‘আমার নামে অগ্রিম মামলা করে রাখেন। আমি অধ্যাপক গোলাম আযমকে হত্যা করতে চাই।’ অধ্যাপক গোলাম আযম অত্যাচার-নির্যাতন সহ্য করে মৃত্যুবরণ করেছেন। কিন্তু গডফাদারের সুযোগ হয়নি খুন করার। ওই লোক দেশ ছেড়ে পালিয়েছেন।
তিনি বলেন, অহংকার ভালো জিনিস নয়। দম্ভ, অহংকার, ক্ষমতার জোরে ছড়ি ঘোরানো, মানুষকে খুন, সন্ত্রাসকে প্রশ্রয় দিতে নাই। এই কাজগুলো যারা করেন, তারা দুনিয়াতেই করুণ পরিণতির একটি অংশ ভোগ করেন এবং আখিরাতেও বিচারের দিন তাদেরকে আল্লাহ তায়ালা শূলে চড়াবেন। সুতরাং দাম্ভিকতা অহংকার পরিহার করুন। তওবা করুন, আগে মানুষ হন, তারপর মুমিন হন।
আওয়ামী লীগ ‘সুকৌশলে’ ৫৪ বছর এই জাতিকে বিভিন্নভাবে বিভক্ত করে রেখেছিল বলেও মন্তব্য করেন তিনি। এ প্রসঙ্গে তিনি স্বাধীনতার পর পার্বত্য চট্টগ্রামে ‘অস্থিরতা’ তৈরির পেছনেও আওয়ামী লীগকে অভিযুক্ত করেন ডা. শফিকুর।