আপত্তিকর বার্তা দেওয়ার অভিযোগে যুক্তরাজ্যের মন্ত্রী বরখাস্ত
Published: 9th, February 2025 GMT
হোয়াটসঅ্যাপে আপত্তিকর বার্তা দেওয়ার অভিযোগে যুক্তরাজ্যের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের জুনিয়র মন্ত্রী অ্যান্ড্রু গুয়েনকে (৫০) বরখাস্ত করা হয়েছে। গতকাল শনিবার দেশটির প্রধানমন্ত্রী কিয়ার স্টারমার এ ঘোষণা দেন।
রবিবার (৯ ফেব্রুয়ারি) এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে বিবিসি।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গত রবিবার যুক্তরাজ্যের দ্য মেইল পত্রিকা হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপে অ্যান্ড্রু গুয়েনের দেওয়া বার্তা নিয়ে একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করে। এরপরই শনিবার তাকে বরখাস্তের সিদ্ধান্ত নেন স্টারমার।
আরো পড়ুন:
‘ন্যাশনাল প্রেয়ার ব্রেকফাস্ট’ অনুষ্ঠানে যোগ দিতে ওয়াশিংটনে জাইমা রহমান
টিউলিপের বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু করেছে যুক্তরাজ্যের ‘এফবিআই’
দেশটির সরকারের একজন মুখপাত্র বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী কিয়ার স্টারমার ‘সরকারি পদে যার আছেন তাদের উচ্চ মান রাখতে দৃঢ়প্রতিজ্ঞ’ এবং এই মান পূরণে ব্যর্থ যেকোনো মন্ত্রীর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে দ্বিধা করবেন না তিনি।
এদিকে হোয়াটসঅ্যাপে আপত্তিকর বার্তা দেওয়ার অপরাধে ক্ষমা চেয়েছেন অ্যান্ড্রু গুয়েন। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে তিনি লেখেন, ‘আমি আমার মন্তব্যের জন্য গভীরভাবে অনুতপ্ত।”
তিনি আরো বলেন, “আমি প্রধানমন্ত্রী ও লেবার পার্টির এমন সিদ্ধান্তের কারণ বুঝতে পারছি। পদচ্যুত করা যদিও খুব দুঃখজনক, কিন্তু আমি যে কোনো উপায়ে তাদের সমর্থনে থাকবো।”
বিবিসির খবরে বলা হয়েছে, অ্যান্ড্রু গুয়েনের বিরুদ্ধে একটি হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপে বর্ণবাদী ও যৌন উত্তেজক বার্তা দেওয়ার অভিযোগ আনা হয়েছে।
হোয়াটসঅ্যাপে গ্রুপে একটি বার্তায় লিখেছেন, তিনি আশা করেছিলেন তাঁকে ভোট না দেওয়া একজন পেনশনভোগী নারী আগামী নির্বাচনের আগেই মারা যাবেন। এছাড়া তার বিরুদ্ধে ইহুদীবিদ্বেষ ও উপপ্রধানমন্ত্রী অ্যাঞ্জেলিনা রায়নারকে নিয়ে অবমাননাকর মন্তব্য করার অভিযোগ পাওয়া গেছে।
ঢাকা/ফিরোজ
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর হ য় টসঅ য প র মন ত মন ত র
এছাড়াও পড়ুন:
ডিজিটাল দর্শনার্থী কার্ড চালু হচ্ছে শেবাচিমে
বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে (শেবাচিম) চালু হতে যাচ্ছে দর্শনার্থী কার্ড। সম্পূর্ণ ডিজিটালাইজড পদ্ধতিতে আগামী সপ্তাহে হাসপাতালের মেডিসিন ভবনে প্রাথমিকভাবে এই কার্ডটি চালু করা হবে। পর্যায়ক্রমে তা পুরো হাসপাতালে চালু করা হবে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।
চিকিৎসার সুষ্ঠু পরিবেশ নিশ্চিত করার লক্ষ্যে এবং অতিরিক্ত দর্শনার্থী ঠেকাতে এই কার্ড চালুর উদ্যোগ নিয়েছেন হাসপাতালটির পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল ডা. এ কে এম মশিউল মুনীর।
১৯৬৮ সালে মাত্র ৩৬০ শয্যার অবকাঠামো নিয়ে নির্মিত হয় শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল। বর্তমানে এই হাসপাতালে প্রতি একজন রোগীর সঙ্গে ৪-৫ জন দর্শনার্থী অথবা স্বজন অবস্থান করেন। দিনদিন রোগী ও রোগীর স্বজনদের সংখ্যা বৃদ্ধি পেলেও সেই তুলনায় হাসপাতালের অবকাঠামোগত উন্নয়ন হয়নি। ফলে মানুষের অতিরিক্ত চাপে হাসপাতালের পরিবেশ নষ্ট হওয়ার পাশাপাশি নানা ধরনের সমস্যা দেখা দিচ্ছে। এ কারণে হাসপাতালের পরিচালক চিকিৎসার পরিবেশ নিশ্চিত করতে দর্শনার্থী কার্ড চালু করার উদ্যোগ নিয়েছেন।
আরো পড়ুন:
‘মাদক সেবন’ দেখে ফেলায় উপড়ে ফেলা হলো ২ চোখ
ডেলিভারি সময় নবজাতকের মাথা বিচ্ছিন্ন, তদন্ত কমিটি গঠন
শেবাচিম-এর পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল ডা. এ কে এম মশিউল মুনীর
হাসপাতালের মেডিসিন ভবনের দায়িত্বে থাকা ওয়ার্ড মাস্টার জুয়েল চন্দ্র শীল বলেন, “মশিউল মুনীর স্যার সম্প্রতি মেডিসিন ভবনে চিকিৎসক, সেবিকা ও রোগীদের জন্য একাধিক পৃথক টয়লেট ও বিভিন্ন ওয়ার্ডে নতুন জানালার ব্যবস্থা করেছেন। এই ভবনে আরো সুন্দর পরিবেশ সৃষ্টির লক্ষ্যে আগামী সপ্তাহের মধ্যেই দর্শনার্থী কার্ড বা গেট পাশের ব্যবস্থা চালু করছেন পরিচালক স্যার। ইতোমধ্যে দর্শনার্থী কার্ড সম্পর্কে নিয়ম ও শর্তাবলি ব্যানার আকারে হাসপাতালের বিভিন্ন স্থানে ঝুলিয়ে দেওয়া হয়েছে।”
দর্শনার্থী কার্ড ব্যবস্থার নিয়মে বলা হয়েছে- দর্শনার্থী কার্ড ব্যতীত হাসপাতালের ভেতরে প্রবেশ নিষেধ। ১০০ টাকা দিয়ে কার্ড সংগ্রহ করতে হবে, কার্ড জমা দিয়ে ১০০ টাকা ফেরত নেওয়া যাবে। একজন রোগীর জন্য সর্বোচ্চ দুইটি কার্ড সংগ্রহ করা যাবে। কার্ডের মেয়াদ ৭দিন। মেয়াদ উত্তীর্ণ কার্ড ব্যবহার করলে ১০০টাকা জরিমানা আদায় করা হবে।
হাসপাতালের সরকারি পরিচালক (প্রশাসন) ডা. মোঃ মাহমুদ হাসান বলেন, “দর্শনার্থী কার্ড ব্যবস্থা চালু হলে এই হাসপাতাল থেকে প্রতিদিন প্রায় ১২ হাজার দর্শনার্থীর চাপ কমে যাবে। আগামী সপ্তাহেই প্রাথমিকভাবে মেডিসিন ভবনে দর্শনার্থী কার্ড ব্যবস্থা চালু হবে। পর্যায়ক্রমে হাসপাতালে পুরো অন্তঃবিভাগে এই নিয়ম চলবে।”
তিনি আরো বলেন, “হাসপতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল ডা. এ কে এম মশিউল মুনীর স্যারের নির্দেশে সম্পূর্ণ ডিজিটালাইজড পদ্ধতিতে দর্শনার্থী কার্ড বিতরণ করা হবে। কম্পিউটারে কবে থেকে রোগীর লোকজন কার্ড ব্যবহার করছেন সেসব তথ্য লিপিবদ্ধ করা থাকবে।”
ব্রিগেডিয়ার জেনারেল ডা. এ কে এম মশিউল মুনীর বলেন, “অতিরিক্ত দর্শনার্থীর কারণে হাসপাতালে চিকিৎসার সুষ্ঠু পরিবেশ ব্যাহত হয়। সুষ্ঠু পরিবেশ নিশ্চিত করার জন্য হাসপাতালে যেন অতিরিক্ত দর্শনার্থী প্রবেশ না করতে পারে, সেজন্য দর্শনার্থী কার্ড ব্যবস্থা চালু করা হবে। ভিজিটিং আওয়ারে (বিকেল ৩টা থেকে ৫টা) দর্শনার্থীরা কার্ড ছাড়া হাসপাতালে প্রবেশ করতে পারবেন না। হাসপাতালের পরিবেশ উন্নয়নে সবার সার্বিক সহযোগিতা প্রয়োজন।”
ঢাকা/পলাশ/মাসুদ