আজ দিনাজপুরে তাপমাত্রা ১১ ডিগ্রি সেলসিয়াস
Published: 9th, February 2025 GMT
দিনাজপুরে অব্যাহত রয়েছে তীব্র শীত। হাড়কাঁপানো শীতে জনজীবন বিপর্যস্ত। প্রয়োজন ছাড়া ঘর থেকে বের হচ্ছে না এ জেলার মানুষ। থেমে গেছে নিম্ন আয়ের মানুষের কর্মচাঞ্চল্য।
রবিবার ( ৯ ফেব্রুয়ারি) সকাল ৬টায় জেলার তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১১.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। জানিয়েছেন, দিনাজপুর আবহাওয়া অধিদপ্তরের কর্মকর্তা তোফাজ্জল হোসেন।
তিনি জানান, আজ সকাল ৬টায় দিনাজপুরে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১১.
তিনি আরও জানান, দেশের অন্যান্য কয়েকটি জেলার আজকের সকাল ৬ টার তাপমাত্রা তেতুলিয়া (পঞ্চগড়) ১০.৫, সৈয়দপুর ১৩.০, রংপুর ১৩.০, ডিমলা (নীলফামারী) ১১.২, রাজারহাট (কুড়িগ্রাম) ১১.৫, বদলগাছি (নওগাঁ) ১০.৮, বগুড়া ১২.৮, ঈশ্বরদী (পাবনা) ১১.০, রাজশাহী ১০.০, যশোর ১১.৪ ও চুয়াডাঙ্গায় ১০.৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
গভীর রাত থেকে সকাল পর্যন্ত জেলার বিভিন্ন রাস্তায় ঘন কুয়াশায় হেডলাইট জ্বালিয়ে চলাচল করছে বিভিন্ন যানবাহন।
ঢাকা/মোসলেম/টিপু
উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
বাউল সুরে মাতোয়ারা উজানধল
বাউলসম্রাটখ্যাত শাহ্ আবদুল করিমের ১০৯তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে সুনামগঞ্জের দিরাইতে শুরু হয়েছে দুই দিনের লোক উৎসব। গত শুক্রবার রাতে শাহ্ আবদুল করিমের জন্মস্থান উপজেলার উজানধল গ্রামের মাঠে উৎসবের উদ্বোধন করেন জেলা প্রশাসক ড. মোহাম্মদ ইলিয়াস মিয়া। পরে রাতভর হয় অনুষ্ঠান। এ সময় বাউল সুরের মূর্ছনায় মাতোয়ারা হয়ে ওঠে হাওরপারের নিভৃত গ্রামটি। আজ রোববার ভোর পর্যন্ত এ অনুষ্ঠান চলবে।
মোবাইল আর্থিক সেবাদাতা প্রতিষ্ঠান বিকাশের সহযোগিতায় এবং শাহ্ আবদুল করিম পরিষদের উদ্যোগে আয়োজিত অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) সমর কুমার পাল, দিরাই ইউএনও সনজীব সরকার, পরিষদ সভাপতি শাহ্ আবদুল করিমের ছেলে বাউল শাহ নূর জালাল।
উৎসবে শাহ্ আবদুল করিমের শিষ্য-অনুরাগী স্থানীয় শিল্পীদের সঙ্গে জনপ্রিয় শিল্পীরা গান পরিবেশন করেন। উৎসবে আসা বাউল সিরাজ উদ্দিন, আব্দুর রহমান, শাহ আব্দুল তোয়াহেদ, রণেশ ঠাকুর, সূর্যলাল দাস বলেন, একুশে পদকপ্রাপ্ত শিল্পী শাহ্ আবদুল করিম সর্বহারা শ্রেণির বাউল ছিলেন। তিনি সাম্রাজ্যবাদ, পুঁজিবাদের বিরুদ্ধে সংগ্রাম করেছেন। তাঁর লেখা প্রতিটি গানের কথায় যেমন ফুটে উঠেছে ভাটি বাংলার মানুষের সুখ-দুঃখ, আনন্দ-বেদনার কথা, তেমনি তিনি কলম ধরেছেন তৎকালীন কুসংস্কারাচ্ছন্ন সমাজব্যবস্থা এবং সামাজিক বৈষম্যের বিরুদ্ধে। গোড়ামি ও ধর্মান্ধতার বিরুদ্ধে গান লিখতে গিয়ে অনেক সময় তিনি আক্রোশেরও শিকার হয়েছেন। এ সময় তিনি অত্যাচারিত হয়ে গ্রাম ছেড়েছেন। গান ছাড়েননি। আবদুল করিমের সংগীত চর্চায় মরমি, বিচ্ছেদি গানের মাঝেও গ্রামের সাবলীল ভাষায় সমাজের বৈষম্যের কথা উচ্চারিত হয়েছে।
এ দিন উৎসব উদ্বোধনের পর শাহ্ আবদুল করিমের অন্যতম শিষ্য বাউল আব্দুর রহমান, রণেশ ঠাকুর, সিরাজ উদ্দিন, ছেলে শাহ নুর জালাল, সূর্যলাল দাস, প্রাণকৃষ্ণ দাস ও নতুন প্রজন্মের শিল্পী সৌরভ সোহেল, বাউলিয়ানা ফয়সলসহ স্থানীয় প্রায় অর্ধশত শিল্পী সমবেত কণ্ঠে পরিবেশন করেন জনপ্রিয় গান ‘আগে কী সুন্দর দিন কাটাইতাম’।
১৯১৬ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারি উজানধল গ্রামে ইব্রাহিম আলী ও নাইওরজান বিবি দম্পতির ঘরে জন্মগ্রহণ করেন বাউল সম্রাট শাহ্ আবদুল করিম। ২০০১ সালে তিনি একুশে পদকে ভূষিত হন। ২০০৯ সালের ১২ সেপ্টেম্বর শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি।