দৈনন্দিন বিভিন্ন কাজে আইফোনের ব্যবহার বাড়াতে আইফোনকে সর্বজনীন রিমোট কন্ট্রোলে পরিণত করতে চায় অ্যাপল। আইফোনকে সর্বজনীন রিমোট কন্ট্রোলে পরিণত করতে এরই মধ্যে নতুন প্রযুক্তি উদ্ভাবনের জন্য কাজ শুরু করেছে প্রতিষ্ঠানটি। নতুন এ সুবিধা চালু হলে আইফোন ব্যবহার করে হাতের ইশারায় আশপাশে থাকা স্মার্ট টেলিভিশনসহ বিভিন্ন ইলেকট্রনিক যন্ত্র, গাড়ি বা গেমিং কনসোল নিয়ন্ত্রণ করা যাবে। এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে অ্যাপল ইনসাইডার।

অ্যাপলের ইকোসিস্টেমে অ্যাপল টিভি রিমোট অ্যাপ এবং অ্যাপল কার কি–এর মতো বেশ কিছু সুবিধা রয়েছে, যা ব্যবহার করে টেলিভিশন নিয়ন্ত্রণের পাশাপাশি গাড়ির দরজা খোলা যায়। তবে এসব ক্ষেত্রে ব্যবহারকারীদের আইফোনে অ্যাপ চালু করে বিভিন্ন অপশন নির্বাচন করতে হয়। এতে সময় বেশি লাগার পাশাপাশি বাড়তি ঝামেলা পোহাতে হয়। কিন্তু নতুন পেটেন্ট অনুযায়ী, অ্যাপল এমন একটি প্রযুক্তি তৈরি করছে, যা ব্যবহারকারীর ইশারা স্বয়ংক্রিয়ভাবে শনাক্ত করে বিভিন্ন প্রযুক্তিপণ্য নিয়ন্ত্রণ করতে পারবে।

আরও পড়ুনআইফোনের যে সুবিধা ব্যবহার করা যাবে অ্যান্ড্রয়েড ফোনে৩০ অক্টোবর ২০২৪

অ্যাপলের তথ্যমতে, নতুন এ প্রযুক্তি চালু হলে বিভিন্ন ইলেকট্রনিক যন্ত্র চালু বা বন্ধের জন্য পাসকোড বা আঙুলের ছাপ ব্যবহার করতে হবে না। ব্যবহারকারী যন্ত্রের দিকে ইশারা করলেই সেটি স্বয়ংক্রিয়ভাবে নিয়ন্ত্রণের জন্য প্রস্তুত হয়ে যাবে। এর ফলে ব্যবহারকারীকে কোনো বোতাম চাপতে বা যন্ত্র স্পর্শ করতে হবে না। এই প্রযুক্তি আইফোনে যুক্ত হলে ইলেকট্রনিক যন্ত্র ব্যবহারের অভিজ্ঞতায় নতুন মাত্রা যুক্ত হবে।

সূত্র: ইন্ডিয়া টুডে

আরও পড়ুননতুন আইফোন কিনে বিপাকে ব্যবহারকারীরা২২ অক্টোবর ২০২৪.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: আইফ ন

এছাড়াও পড়ুন:

বাউল সুরে মাতোয়ারা উজানধল

বাউলসম্রাটখ্যাত শাহ্ আবদুল করিমের ১০৯তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে সুনামগঞ্জের দিরাইতে শুরু হয়েছে দুই দিনের লোক উৎসব। গত শুক্রবার রাতে শাহ্ আবদুল করিমের জন্মস্থান উপজেলার উজানধল গ্রামের মাঠে উৎসবের উদ্বোধন করেন জেলা প্রশাসক ড. মোহাম্মদ ইলিয়াস মিয়া। পরে রাতভর হয় অনুষ্ঠান। এ সময় বাউল সুরের মূর্ছনায় মাতোয়ারা হয়ে ওঠে হাওরপারের নিভৃত গ্রামটি। আজ রোববার ভোর পর্যন্ত এ অনুষ্ঠান চলবে। 

মোবাইল আর্থিক সেবাদাতা প্রতিষ্ঠান বিকাশের সহযোগিতায় এবং শাহ্ আবদুল করিম পরিষদের উদ্যোগে আয়োজিত অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) সমর কুমার পাল, দিরাই ইউএনও সনজীব সরকার, পরিষদ সভাপতি শাহ্ আবদুল করিমের ছেলে বাউল শাহ নূর জালাল।

উৎসবে শাহ্‌ আবদুল করিমের শিষ্য-অনুরাগী স্থানীয় শিল্পীদের সঙ্গে জনপ্রিয় শিল্পীরা গান পরিবেশন করেন। উৎসবে আসা বাউল সিরাজ উদ্দিন, আব্দুর রহমান, শাহ আব্দুল তোয়াহেদ, রণেশ ঠাকুর, সূর্যলাল দাস বলেন, একুশে পদকপ্রাপ্ত শিল্পী শাহ্ আবদুল করিম সর্বহারা শ্রেণির বাউল ছিলেন। তিনি সাম্রাজ্যবাদ, পুঁজিবাদের বিরুদ্ধে সংগ্রাম করেছেন। তাঁর লেখা প্রতিটি গানের কথায় যেমন ফুটে উঠেছে ভাটি বাংলার মানুষের সুখ-দুঃখ, আনন্দ-বেদনার কথা, তেমনি তিনি কলম ধরেছেন তৎকালীন কুসংস্কারাচ্ছন্ন সমাজব্যবস্থা এবং সামাজিক বৈষম্যের বিরুদ্ধে। গোড়ামি ও ধর্মান্ধতার বিরুদ্ধে গান লিখতে গিয়ে অনেক সময় তিনি আক্রোশেরও শিকার হয়েছেন। এ সময় তিনি অত্যাচারিত হয়ে গ্রাম ছেড়েছেন। গান ছাড়েননি। আবদুল করিমের সংগীত চর্চায় মরমি, বিচ্ছেদি গানের মাঝেও গ্রামের সাবলীল ভাষায় সমাজের বৈষম্যের কথা উচ্চারিত হয়েছে। 

এ দিন উৎসব উদ্বোধনের পর শাহ্ আবদুল করিমের অন্যতম শিষ্য বাউল আব্দুর রহমান, রণেশ ঠাকুর, সিরাজ উদ্দিন, ছেলে শাহ নুর জালাল, সূর্যলাল দাস, প্রাণকৃষ্ণ দাস ও নতুন প্রজন্মের শিল্পী সৌরভ সোহেল, বাউলিয়ানা ফয়সলসহ স্থানীয় প্রায় অর্ধশত শিল্পী সমবেত কণ্ঠে পরিবেশন করেন জনপ্রিয় গান ‘আগে কী সুন্দর দিন কাটাইতাম’। 

১৯১৬ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারি উজানধল গ্রামে ইব্রাহিম আলী ও নাইওরজান বিবি দম্পতির ঘরে জন্মগ্রহণ করেন বাউল সম্রাট শাহ্ আবদুল করিম। ২০০১ সালে তিনি একুশে পদকে ভূষিত হন। ২০০৯ সালের ১২ সেপ্টেম্বর শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি। 

সম্পর্কিত নিবন্ধ