চলছে ভ্যালেন্টাইন সপ্তাহ। ৯ ফেব্রুয়ারি চকলেট দিবস। এই দিবসে প্রিয়জনকে ভালোবাসার প্রতীক হিসেবে চকলেট দিতে পারেন। ছোট্ট এই উপহারটি প্রিয়জনের মন ভালো করে দিতে পারে। এতে সম্পর্কে যোগ হতে পারে মধুরতা। চকলেট ষোড়শ শতাব্দীতে ইউরোপে জনপ্রিয়তা পায়। একটা পর্যায়ে প্রেম ও হাসিখুশির প্রতীক হয়ে ওঠে। অনেকে চকলেট উপহার দিয়ে প্রেমের প্রস্তাব দেন।

জানা যায়, ষোড়শ শতাব্দীতে ইউরোপে চকলেট জনপ্রিয়তা পায়। শুরুতে চকলেটের স্বাদ তেতো ছিল। চকলেটের স্বাদ কেবল অসাধারণই নয় এটি স্বাস্থ্যের জন্যও খুব উপকারী। মানসিক স্বাস্থ্যও ভালো রাখে চকলেট। প্রিয়জনকে চকলেট বক্স ছাড়াও আর কী কী উপহার দিতে পারেন, জেনে নিন।

চকলেট কেক: চকলেট দিবসে প্রিয়জনকে চকলেট কেক উপহার দিতে পারেন। কেক উপহার দিলে এর সঙ্গে একটি মিষ্টি বার্তা দেওয়ারও সুযোগ পাবেন। কেকের ওপর লিখে দিতে পারেন প্রেমের কোনো কবিতা।

আরো পড়ুন:

আজ প্রেমের প্রস্তাব দেওয়ার দিন

সে কি প্রকৃত বন্ধু?

চকলেটের তোড়া: চকলেট দিবসে বিশেষভাবে চকলেটের তোড়া প্রিয়জনকে উপহার দিতে পারেন। এই ধরনের উপহারে সঙ্গী বেশ খুশিই হবে ৷

চকলেট হ্যাম্পার: চকলেট হ্যাম্পারে থাকে বিভিন্ন ধরণের চকলেট। আপনি এটি কাস্টমাইজও করে দিতে পারেন। যার মধ্যে থাকতে পারে চকলেট চিপস, চকলেট পানীয়, চকলেট ক্যান্ডি, চকলেট সাবান কিংবা চকলেট সুগন্ধি। 

চকলেট গয়না: চকলেট দিবস উপলক্ষে যদি প্রিয়জনকে চমকে দিতে চান তাহলে  আপনি তাকে চকলেট গয়না উপহার দিতে পারেন। সেক্ষেত্রে গিফট শপে আপনি চকলেট কানের দুল থেকে শুরু করে নেকলেস, ব্রেসলেট ইত্যাদি অনেক বিকল্প খুঁজে পেতে পারেন। অথবা কাস্টেমাইজ করে দিতে পারেন। 

চকলেট স্পা: চকলেট দিবস উপলক্ষে, আপনি আপনার প্রিয়জনের জন্য চকলেট স্পা বুক করতে পারেন। চকলেট স্পা মেজাজ ভালো করে দেয়। এতে ভালোবাসাও বৃদ্ধি পাবে ।

চকলোটের উপকারিতা: চকলেটের রয়েছে নানা ধরনের উপকারিতা। চকলেট খেলে  মস্তিষ্ক এন্ডোরফিন নিঃসরণ করে৷ যা  হার্টের জন্য খুবই উপকারী। এটি রক্তচাপ কমায় এবং রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়।

ঢাকা/লিপি

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর উপহ র দ ত উপক র

এছাড়াও পড়ুন:

আফগানিস্তানের বিপক্ষে দ্বিপক্ষীয় সিরিজ বাতিল করল আয়ারল্যান্ড

আফগানিস্তানের বিপক্ষে একাধিক সংস্করণের সিরিজ বাতিল করল আয়ারল্যান্ড। আইসিসির সফরসূচি অনুযায়ী, চলতি বছরে আফগানিস্তানের বিপক্ষে একটি টেস্ট এবং তিনটি করে ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টি খেলার কথা ছিল আইরিশদের।

তবে অস্ট্রেলিয়া ও ইংল্যান্ডের মতো আয়ারল্যান্ডও আফগানিস্তানের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় সিরিজ খেলছে না। যদিও ক্রিকেট আয়ারল্যান্ডের প্রধান নির্বাহী ওয়ারেন ডিউট্রমের দাবি, এটি রাজনৈতিক সিদ্ধান্ত নয়, বরং অর্থনৈতিক কারণে নেওয়া হয়েছে।

ডিউট্রম বলেছেন, ‘আফগানিস্তানের বিপক্ষে সিরিজটি আর্থিক কারণে করা সম্ভব হচ্ছে না। আমাদের স্বল্পমেয়াদি বাজেট–সংকট মোকাবিলা করতে হচ্ছে এবং বোর্ডের কৌশলগত লক্ষ্য অনুযায়ী বিনিয়োগের ভারসাম্য বজায় রাখতে হবে।’

সেপ্টেম্বরে প্রথমবারের মতো আয়ারল্যান্ডে তিন ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজ খেলবে ইংল্যান্ড।

কারণটা অর্থনৈতিক হলেও আফগানিস্তানের জন্য এটি বড় ধাক্কা হতে পারে। কারণ, মাঠের পারফরম্যান্স দুর্দান্ত হলেও মাঠের বাইরে ঘটনায় আন্তর্জাতিকভাবে চাপে আছে দেশটি। ২০২১ সালের আগস্টে তালেবানরা ক্ষমতায় আসার পর দেশটিতে মেয়েদের খেলাধুলার পাশাপাশি পড়ালেখা, এমনকি চিকিৎসাসেবার শিক্ষা নেওয়াও নিষিদ্ধ।

আরও পড়ুনআফগানিস্তানকে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে নিষিদ্ধ করার আহ্বান হিউম্যান রাইটস ওয়াচের১৯ ঘণ্টা আগে

আফগানিস্তান আইসিসির পূর্ণ সদস্য, আর এই সদস্যপদ পাওয়ার একটি শর্ত হলো মেয়েদের দল থাকতে হবে। এসব জটিলতায় অস্ট্রেলিয়া ও ইংল্যান্ডের মতো দল আফগানদের বিপক্ষে দ্বিপক্ষীয় সিরিজ না খেলার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এমনকি সম্প্রতি আফগানিস্তানকে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে নিষিদ্ধ করার আহ্বানও জানিয়েছে আন্তর্জাতিক মানবাধিকার প্রতিষ্ঠান হিউম্যান রাইটস ওয়াচ।

গত বছর আফগানিস্তানের বিপক্ষে টেস্ট জিতেছিল আয়ারল্যান্ড

সম্পর্কিত নিবন্ধ