Samakal:
2025-03-12@04:31:53 GMT

অর্থনীতিকে টেনে তুলব কীভাবে?

Published: 9th, February 2025 GMT

অর্থনীতিকে টেনে তুলব কীভাবে?

বিপ্লব আর গণঅভ্যুত্থান বলুন, ৫ আগস্ট পরবর্তী সরকারের ছয় মাস অতিবাহিত হয়েছে। অর্থনীতি নিয়ে একটি পত্রিকা শিরোনাম করেছে– পতন থেমেছে, স্বস্তি আসেনি। যদিও নতুন কত্তারা বলছেন– জুন নাগাদ স্বস্তি ফিরে আসবে; অনেকেরই আস্থায় ঘাটতি আছে।

ইতোমধ্যে দেশে প্রত্যক্ষ বৈদেশিক বিনিয়োগে (এফডিআই) বড় ধরনের পতন হয়েছে। চলতি অর্থবছরের জুলাই-সেপ্টেম্বর প্রান্তিকে গত অর্থবছরের একই প্রান্তিকের তুলনায় নিট বিদেশি বিনিয়োগ কমেছে প্রায় ৭১ শতাংশ, যা গত ১১ বছরের মধ্যে সর্বনিম্ন। বিনিয়োগ কমার পেছনে রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক অনিশ্চয়তাকেই দায়ী করেছেন ব্যবসায়ী ও বিশ্লেষকরা।

আমরা জানি, চলতি অর্থবছরের শুরু থেকেই দেশজুড়ে ছিল রাজনৈতিক অস্থিরতা। আওয়ামী লীগ সরকারের পতন হলে তৈরি হয় নতুন পরিস্থিতি। এর পরও কাটেনি অস্থিরতা। নানা দাবিতে বিভিন্ন সংগঠন এমনকি সামান্য কয়েকজন মিলেই বারবারই পথে নেমেছে।

শিল্পোদ্যোক্তারা বলছেন, রাজনৈতিক অনিশ্চয়তা ও আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির কারণে বিনিয়োগের পরিবেশ নেই। এমনকি গ্যাস-বিদ্যুৎ সংকটের ধারাবাহিকতার কারণে অনেক কারখানা বন্ধ হয়ে গেছে। তা ছাড়া বিনিয়োগে বড় বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে ব্যাংকের উচ্চ সুদহার। নতুন বিনিয়োগে যাচ্ছেন না দেশীয় বিনিয়োগকারীরা। বিদেশি বিনিয়োগকারীরাও পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করছেন।

ধরতে গেলে দু-তিন বছর ধরে বাংলাদেশ অর্থনৈতিক অব্যবস্থাপনার মধ্যে রয়েছে বা ছিল। গেল জুলাই থেকে সেপ্টেম্বর পরিস্থিতি ছিল অস্থিতিশীল। এতে বিনিয়োগকারীদের আত্মবিশ্বাস কমে যায়, তারা নিরুৎসাহিত হয়ে পড়েন। অনেকেই বলেছেন, পরিস্থিতি ঠিক না হওয়া পর্যন্ত তারা ‘ওয়েট অ্যান্ড ওয়াচ’ নীতি গ্রহণ করেছেন।

দুই অর্থবছর ধরেই সামষ্টিক অর্থনীতির কিছু বিষয়ে সমস্যা সৃষ্টি হয়েছে; যেমন– মূল্যস্ফীতির কারণে অভ্যন্তরীণ চাহিদা কমে যাওয়া, ডলারের বাজারে অস্থিতিশীলতার কারণে মূলধন কমে যাওয়া এবং আমদানিতে প্রভাব পড়া। এসবের সঙ্গে সেপ্টেম্বর প্রান্তিকে অভ্যুত্থান-পরবর্তী অস্থিরতা যোগ হয়। ফলে উৎপাদনে বিঘ্ন ঘটে এবং জোগান বাধাগ্রস্ত হয়। ঘন ঘন নীতির পরিবর্তনও বিদেশি বিনিয়োগ কমার অন্যতম কারণ।

বিনিয়োগ যে কমছে, তার চিত্র দেখা যাচ্ছে বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (বিডা) তথ্যেও। ২০২১ সালে ১ হাজার ৮৩টি ব্যবসা প্রকল্পের জন্য ১ হাজার ৩৩৪ কোটি ৫১ লাখ ডলার বিনিয়োগের প্রস্তাব নিবন্ধন হয়েছে। পরের বছর ১ হাজার ৮১টি ব্যবসা প্রকল্প নিবন্ধনের মাধ্যমে ১ হাজার ২৮৮ কোটি ৩৫ লাখ ডলার বিনিয়োগ প্রস্তাব এসেছিল। ২০২৩ সালে আরও কমে ব্যবসার ৯৯৮টি প্রকল্পে ৮৯৭ কোটি ৮৫ লাখ ডলার হয়। ২০২৪ সালে ব্যবসার ৭৪২টি প্রকল্পে ১ হাজার ১৬৩ কোটি ডলার বিনিয়োগ নিবন্ধন হলেও এপ্রিল-জুন প্রান্তিকে ২৫৪টি প্রকল্পে ৬৬৬ কোটি ৮০ লাখ ডলার হয়। জুলাই-সেপ্টেম্বর প্রান্তিকে তা কমে ১৮৬টি প্রকল্পে মাত্র ১৮৬ কোটি ৭১ লাখ ডলার হয়।

বিনিয়োগ কমার চিত্র পরিষ্কার হ­য়েছে মূলধনি যন্ত্রপাতি আমদানির মাধ্যমেও। চলতি ২০২৪-২৫ অর্থবছরের প্রথম পাঁচ মাস জুলাই-নভেম্বরে মূলধনি যন্ত্রপাতি আমদানির ঋণপত্র বা এলসি খোলা আগের অর্থবছরের একই সময়ের তুলনায় ২৬ শতাংশ কমেছে। একইভাবে মূলধনি যন্ত্রপাতি আমদানির ঋণপত্র নিষ্পত্তি কমেছে প্রায় ২২ শতাংশ।

বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, বেকারের সংখ্যা এখন ২৬ লাখ ৬০ হাজার। আগের বছর দেশে বেকার জনগোষ্ঠী ছিল ২৪ লাখ ৯০ হাজার। তার মানে, গত বছরের একই সময়ের চেয়ে বেকার বেড়েছে ১ লাখ ৭০ হাজার। বেকারত্বের হার বেড়ে হয়েছে ৪.

৪৯ শতাংশ; গত বছর তা ছিল ৪.০৭ শতাংশ।

ব্যবসায়ী নেতাদের অনেকেই বলেছেন, বর্তমানে দেশে গ্যাস ও বিদ্যুতের সংকট, সুদের অধিক হারসহ ব্যাংকগুলোর অসহযোগিতার কারণে বিনিয়োগ কমছে। বেসরকারি খাতে ঋণ প্রবৃদ্ধিও ব্যাপক কমেছে। গত নভেম্বর মাসে আগের বছরের একই সময়ের তুলনায় বেসরকারি খাতে ঋণ প্রবৃদ্ধি ছিল ৭.৬৬ শতাংশ। এই প্রবৃদ্ধি গত সাড়ে তিন বছরের মধ্যে সর্বনিম্ন।

যদিও আগামী মুদ্রানীতিতে নীতি সুদহার কমানোর সম্ভাবনা নিয়ে আলোচনা রয়েছে, মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে সুদহার বাড়ানো অব্যাহত রেখেছে বাংলাদেশ ব্যাংক। দফায় দফায় নীতি সুদহার বেড়ে ৯ শতাংশ থেকে এখন ১৫ শতাংশ ছাড়িয়েছে। এতে বেসরকারি খাতের ঋণ প্রবৃদ্ধি কমেছে। সুদের হার বাড়ার কারণেও অনেকে বিনিয়োগ থেকে পিছিয়ে যাচ্ছেন।

সুদহার বাড়ানো ছাড়াও ব্যবসা ও বিনিয়োগে খরচ বেড়ে যাওয়ায় বিপাকে রয়েছেন ব্যবসায়ী উদ্যোক্তারা। অনেকে টিকে থাকার লড়াই করছেন। ব্যবসায়ীদের অনেকেরই সমালোচনা– যখন বেসরকারি খাতে বিনিয়োগের কথা আসে তখন তারা দীর্ঘদিন ধরে সংকুচিত মুদ্রানীতি অনুসরণ করেছেন। আবার যখন সরকারের ঋণের বেলায় আসে তখন কিন্তু সংকোচন নেই।

মোদ্দাকথায়, নানা সংকটে ব্যবসা-বাণিজ্যে এখন বিরাট প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি হচ্ছে বা হয়েছে। একটি হলো আইনশৃঙ্খলাজনিত, আরেকটি ব্যাংকিং খাতের অস্থিরতাজনিত। সবটার মূলেই আছে রাজনীতি। তাই অর্থনীতি ঠিক করতে, বিনিয়োগ আকর্ষণ করতে আগে রাজনীতি ঠিক করতে হবে।
আমরা জানি, দেশি বিনিয়োগকারীদের সুবিধা দিলে বিদেশি বিনিয়োগ এমনিই বাড়বে। কারণ বিদেশি বিনিয়োগকারীরা বিনিয়োগ করার আগে স্থানীয় বিনিয়োগকারীদের জিজ্ঞেস করেন– দেশে বিনিয়োগ পরিস্থিতি কেমন।

১৫-২০ বছর ধরে আমরা প্রশ্ন করে আসছি, কেন বাংলাদেশে অনেক সম্ভাবনা থাকা সত্ত্বেও বিনিয়োগ হচ্ছে না? বিনিয়োগকারীদের একটা কমন প্রশ্ন থাকে, করের হার আসলে কত? কোনো বেঞ্চমার্ক নেই। বিভিন্ন ধরনের ট্যাক্স রেট আরোপ করায় কার্যকর মৌলিক করহারের কাঠামো নেই। অন্যদিকে উচ্চ করের সঙ্গে আছে অসংগত নীতিমালা। নীতি পরিবর্তন করে দেওয়া হচ্ছে যখন-তখন। এতে অনিশ্চয়তার মধ্যে পড়েন বিনিয়োগকারীরা। অন্তর্বর্তী সরকারের পক্ষ থেকে বিনিয়োগ ও কর্মসংস্থান বাড়াতে অর্থনীতিসংক্রান্ত একমাত্র টাস্কফোর্স ৩১টি সুপারিশ প্রণয়ন করেছে।

সুপারিশগুলোতে প্রস্তাব রয়েছে– ১০ লাখ ডলারের সমপরিমাণ পণ্য রপ্তানির সক্ষমতা রয়েছে এমন ১৫শ কোম্পানিকে বিশেষ নীতির আওতায় আনা, এসএমই খাতকে সমর্থন করতে ‘ঢাকা হাট’ প্রকল্প স্থাপন, আন্তর্জাতিক মানের হাসপাতাল প্রতিষ্ঠার জন্য বিদেশি বিনিয়োগ উদ্বুদ্ধ করা এবং বিভিন্ন শিল্পে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা প্রযুক্তির প্রয়োগ বাড়ানোর উদ্যোগ। এই প্রতিবেদনে দেশের বিনিয়োগযোগ্য খাতগুলোর বিশদ বিবরণ, স্বাস্থ্য ও শিক্ষা খাতের উন্নয়ন এবং সরকারি দপ্তরগুলোর প্রশিক্ষণের প্রয়োজনীয়তাও তুলে ধরা হয়েছে।

দেশকে এগিয়ে নিয়ে যেতে হলে, কর্মসংস্থান সৃষ্টি করতে হলে সরকারি-বেসরকারি খাতে বিনিয়োগ বাড়ানোর বিকল্প নেই। সরকারি খাতে বিনিয়োগ বাড়াতে হলে আবার সরকারের আয় বাড়াতে হবে। অনাবশ্যকীয় খরচ কমাতে হবে। বেসরকারি খাতে বিনিয়োগ বাড়াতে হলে আর্থিক খাতে তারল্য বাড়াতে হবে, আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নতিসহ বিনিয়োগ পরিবেশ উন্নত করতে হবে। উৎপাদনশীলতা বাড়াতে লাগসই প্রযুক্তির ব্যবহার বাড়াতে হবে। শিক্ষার মানের উন্নয়ন ঘটাতে হবে। বিনিয়োগ সম্পর্কিত নিয়মনীতির আধুনিকায়ন করতে হবে। সর্বোপরি বাংলাদেশের সরকার যে দেশি-বিদেশি বিনিয়োগের ব্যাপারে সত্যিই সিরিয়াস, প্রতিটি ক্ষেত্রে তার প্রমাণ রাখতে হবে। যখন-তখন কারখানা ভাঙচুর আর রাস্তা অবরোধের সংস্কৃতিকে জাদুঘরে পাঠিয়ে দিতে হবে।

মামুন রশীদ: অর্থনীতি বিশ্লেষক

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: বছর র একই ব ন য় গ কম পর স থ ত ব সরক র ব যবস য় সরক র র প রকল প র জন ত আমদ ন ম লধন

এছাড়াও পড়ুন:

সরকারি অনুদানে চলচ্চিত্র নির্মাণে বড় পরিবর্তন

সরকারি অনুদানে চলচ্চিত্র নির্মাণ নীতিমালায় বেশ কিছু পরিবর্তন এনেছে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়। সম্প্রতি ‘পূর্ণদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র নির্মাণে সরকারি অনুদান প্রদান নীতিমালা ২০২৫’ এবং ‘স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র নির্মাণে সরকারি অনুদান প্রদান নীতিমালা ২০২৫’ প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়। তাতে এসব পরিবর্তনের বিষয়ে অবহিত করা হয়েছে। 

নতুন নীতিমালা অনুযায়ী, লেখক ও চিত্রনাট্যকারদের সম্মানি বেড়েছে। গল্প লেখককে ২ লাখ এবং চিত্রনাট্যকারকে ৩ লাখ টাকা উৎসাহ পুরস্কার দেওয়া হবে। আগে গল্প লেখক ও চিত্রনাট্যকারকে দেওয়া হতো ৫০ হাজার টাকা করে।

এ ছাড়া পূর্ণদৈর্ঘ্য ও স্বল্পদৈর্ঘ্য— দুই বিভাগেই নির্মাতা/ পরিচালকের যোগ্যতা ও অভিজ্ঞতা নির্ধারণ করে দেওয়া হয়েছে। প্রস্তাবকারী পরিচালককে পূর্বনির্মিত কমপক্ষে একটি চলচ্চিত্র অথবা নির্মাণের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট এক বা একাধিক চলচ্চিত্রে তার ভূমিকা থাকতে হবে।

আরো পড়ুন:

আমাকে নিয়ে বলিউডে ষড়যন্ত্র হয়েছে: গোবিন্দ

রুনা খানের বাবা মারা গেছেন

অন্যদিকে, আগের নীতিমালায় পূর্ণদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র নির্মাণ করতে সময় বেঁধে দেওয়া হতো ৯ মাস। কিন্তু চলচ্চিত্র নির্মাতারা বহুবার অভিযোগ করেছেন যে, সেই নির্ধারিত সময় পর্যাপ্ত নয়, যার ফলে নির্মাণে দেরি হয়।

এখন অনুদানের প্রথম চেক পাওয়ার পর পূর্ণদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্রের ক্ষেত্রে এই সময় বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৮ মাস। সময় বেড়েছে স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্রের ক্ষেত্রেও। স্বল্পদৈর্ঘ্য নির্মাণে ১২ মাস এবং প্রামাণ্যচিত্রের জন্য ২৪ মাস সময় পাবেন নির্মাতারা। তবে যৌক্তিক বিবেচনায় পূর্ণদৈর্ঘ্যের ক্ষেত্রে ছয় মাস ও স্বল্পদৈর্ঘ্যের ক্ষেত্রে তিন মাস করে সর্বোচ্চ দুবার সময় বাড়ানো যাবে।

নতুন নীতিমালায় অর্থ প্রদানের নিয়মেও পরিবর্তন এসেছে। এখন প্রথম কিস্তি হিসেবে দেওয়া হবে অনুদানের ২০ শতাংশ। এই অর্থ প্রাপ্তির দুই মাসের মধ্যে শুটিং শিডিউল, প্রোডাকশন প্ল্যান, লোকেশন ব্যবহারের অনুমতি, শিল্পীদের সঙ্গে চুক্তিপত্র সম্পাদনাসহ প্রয়োজনীয় দলিলাদি জমা দিতে হবে। চলচ্চিত্র বাছাই ও তত্ত্বাবধান কমিটি সন্তুষ্ট হলে অনুদানের ৫০ শতাংশ অর্থ দেওয়া হবে। অনুদানের সিনেমার পারিশ্রমিক নিয়ে অনেক শিল্পী অভিযোগ করেন। তারই পরিপ্রেক্ষিতে চিত্রায়িত অংশের কমপক্ষে ৫০ শতাংশ রাফকাট, শিল্পীদের সম্মানি প্রাপ্তির প্রমাণপত্র দেখানোর পর মিলবে আরো ২০ শতাংশ অর্থ। সিনেমা মুক্তির পর মিলবে বাকি ১০ শতাংশ অর্থ।

এরই মধ্যে ২০২৪-২৫ অর্থবছরের জন্য চলচ্চিত্রে অনুদানের জন্য চিত্রনাট্য আহ্বান করেছে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়। অনুদান পেতে আগ্রহীদের চলচ্চিত্রের গল্প, চিত্রনাট্য, অভিনয়শিল্পীদের নামসহ পূর্ণাঙ্গ প্যাকেজ আগামী ৭ এপ্রিল বিকেল ৪টার মধ্যে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ে জমা দিতে হবে।

এদিকে, প্রতি অর্থবছরে সর্বোচ্চ ১২টি পূর্ণদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্রকে অনুদান দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এর আগের নীতিমালায় এই সংখ্যা ছিল ১০। এ ছাড়া স্বল্পদৈর্ঘ্যের ক্ষেত্রে এখন থেকে প্রতিবছর ১০টির পরিবর্তে অনুদানের জন্য বিবেচিত হবে ২০টি চলচ্চিত্র।

ঢাকা/রাহাত/শান্ত

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • অর্থসংকটে সরকার, বাড়ছে না বাজেটের আকার
  • প্রকল্প বদলাতে পারেনি ভিক্ষুকের ভাগ্য
  • চট্টগ্রাম সিটিতে ৮ মাসে রাজস্ব আদায় মাত্র ৪০%, গাফিলতির অভিযোগে শোকজ
  • উত্তরা ব্যাংকের পর্ষদ সভার তারিখ ঘোষণা
  • সুদ পরিশোধে সরকারের ব্যয় বেড়েছে ২৭ শতাংশ
  • ভারত থেকে শুল্ক ফাঁকি ও চোরাচালানের মাধ্যমে শাড়ি ও থ্রি-পিস দেশে আসছে
  • সরকারি অনুদানে চলচ্চিত্র নির্মাণে বড় পরিবর্তন