ইউরোপের মধ্য আয়ারল্যান্ড বর্তমানে বিদেশি শিক্ষার্থীদের অন্যতম জনপ্রিয় গন্তব্য হয়ে উঠছে। শিক্ষাব্যবস্থার ধরন, কম খরচসহ নানা সুবিধার কারণে শিক্ষার্থীদের কাছে দেশটি জনপ্রিয়তা পাচ্ছে। আয়ারল্যান্ড সরকার বিশ্বের বিভিন্ন দেশের শিক্ষার্থীদের বিনা মূল্যে স্নাতক, স্নাতকোত্তর ও পিএইচডি প্রোগ্রামে পড়ার সুযোগ দেয়। আয়ারল্যান্ড গভর্নমেন্ট স্কলারশিপের আওতায় নির্বাচিত শিক্ষার্থীরা দেশটির বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে পড়াশোনার সুযোগ পান। বিশ্বের অন্য দেশের শিক্ষার্থীদের মতো বাংলাদেশি শিক্ষার্থীরাও এ স্কলারশিপের জন্য আবেদন করতে পারবেন।

আরও পড়ুনতুরস্কে স্কলারশিপ, স্নাতকোত্তর-পিএইচডিতে সুযোগ০৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ফাইল ছবি.

উৎস: Prothomalo

এছাড়াও পড়ুন:

পিএইচডি স্তরের এআই এজেন্ট কী, কতটা বাস্তবসম্মত

কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) প্রযুক্তির নতুন আলোচিত ধারণা ‘পিএইচডি স্তরের এআই এজেন্ট’। সাম্প্রতিক সময়ে প্রযুক্তি খাতের শীর্ষ নির্বাহী ও বিশ্লেষকদের মধ্যে বিষয়টি নিয়ে ব্যাপক আলোচনা চলছে। শক্তিশালী এই এআই মডেলগুলোর সক্ষমতা নিয়ে যেমন আগ্রহ তৈরি হয়েছে, তেমনি বাস্তব প্রয়োগ ও নির্ভরযোগ্যতা নিয়ে উঠেছে প্রশ্ন।

সম্প্রতি দ্য ইনফরমেশনের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ওপেনএআই কয়েকটি বিশেষায়িত এআই এজেন্ট চালুর পরিকল্পনা করেছে। এর মধ্যে গবেষণা সহায়ক এজেন্টকে বলা হচ্ছে পিএইচডি স্তরের এআই এজেন্ট। এআই এজেন্টটি ব্যবহারের জন্য প্রতি মাসে খরচ করতে হবে ২০ হাজার মার্কিন ডলার বা ২৪ লাখ টাকা (প্রতি ডলারের বিনিময় মূল্য ১২০ টাকা ধরে)। ওপেনএআইয়ের দাবি, পিএইচডি স্তরের এআই এজেন্ট গবেষকদের মতো তথ্য বিশ্লেষণ করতে পারবে। জটিল গবেষণা পরিচালনায় সহায়তা করার পাশাপাশি বিশাল তথ্যভান্ডার থেকে গবেষণা প্রতিবেদন তৈরি করে দেবে।

ওপেনএআইয়ের দাবি, ওওয়ান ও ওথ্রি এআই মডেল গবেষকদের চিন্তার প্রক্রিয়া অনুকরণ করতে সক্ষম। এই মডেলগুলো ‘প্রাইভেট চেইন অব থট’ নামে একটি কৌশল ব্যবহার করে। এ কৌশলের মাধ্যমে গবেষকেরা সমস্যা সমাধানের সময় যে পদ্ধতিতে চিন্তা করেন, তা অনুকরণ করা হয়। প্রচলিত লার্জ ল্যাংগুয়েজ মডেল (এলএলএম) সাধারণত ব্যবহারকারীর প্রশ্নের সরাসরি উত্তর দেয়। কিন্তু ওপেনএআই এর নতুন মডেলগুলো ধাপে ধাপে অভ্যন্তরীণ বিশ্লেষণ করে যুক্তিসম্মত সমাধান দিয়ে থাকে। আর তাই এই এআই এজেন্ট চিকিৎসা গবেষণা বিশ্লেষণ, জলবায়ু মডেলিং এবং গবেষণার বিভিন্ন পর্যায়ে সহায়তা করতে পারবে।

ওপেনএআইয়ের তথ্যমতে, ওথ্রি মডেল এআরসি-এজিআই ভিজ্যুয়াল বিশ্লেষণ পরীক্ষায় ৮৭ দশমিক ৫ শতাংশ নম্বর পেয়েছে, যেখানে মানুষের গড় নম্বর ৮৫ শতাংশের বেশি হয়ে থাকে। তা ছাড়া এটি জিপিকিউএ ডায়মন্ড পরীক্ষায় ৮৭ দশমিক ৭ শতাংশ নম্বর পেয়েছে। স্নাতকোত্তর পর্যায়ের জীববিজ্ঞান, পদার্থবিজ্ঞান ও রসায়নের বিভিন্ন প্রশ্নের মাধ্যমে এ পরীক্ষা নেওয়া হয়েছে।

সূত্র: ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • পিএইচডি স্তরের এআই এজেন্ট কী, কতটা বাস্তবসম্মত
  • রোমানিয়ায় বৃত্তি: মাসে স্নাতকে ৬৫, মাস্টার্সে ৭৫ ও পিএইচডিতে ৮৫ ইউরো পাবেন শিক্ষার্থী
  • আরব আমিরাতের খলিফা বিশ্ববিদ্যালয়ে বৃত্তি, প্রয়োজন ইংরেজি দক্ষতার সনদ