পুলিশ বাহিনীর সংস্কারে অবিলম্বে স্বল্প, মধ্য ও দীর্ঘ মেয়াদে বাস্তবায়নযোগ্য ১৪টি সুপারিশ করেছে কমিশন। এর মধ্যে পুলিশ সদস্যদের নিয়মিত ডোপ টেস্ট ও মনস্তাত্ত্বিক পরীক্ষার আওতায় আনার কথা বলা হয়েছে। এ ছাড়া পুলিশ মহাপরিদর্শকের (আইজিপি) ম্যাজিস্ট্রেসি ক্ষমতা অনুমতি সাপেক্ষে যেন অধস্তন কর্মকর্তাদের ওপর অর্পণ করা যেতে পারে– সে ব্যাপারে মত দিয়েছে কমিশন।

অন্তর্বর্তী সরকারের গঠন করা পুলিশ সংস্কার কমিশনের পূর্ণাঙ্গ প্রতিবেদন গতকাল শনিবার স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ওয়েবসাইটে প্রকাশ করা হয়। সেখানে বল প্রয়োগ ও মানবাধিকার, আটক-গ্রেপ্তার, তল্লাশি-জিজ্ঞাসাবাদ, জিডি, মামলা, তদন্ত, ভেরিফিকেশন, শিশু ও জেন্ডার সচেতনতা বিষয়সহ 

জনবান্ধব পুলিশ গড়তে প্রয়োজনীয় সুপারিশ করা হয়েছে। সেইসঙ্গে বাহিনী সংস্কারে ২২টি আইন সংশোধন ও পরিমার্জন চেয়েছে কমিশন।

মানবাধিকার ও আইনের শাসন বিষয়ে বলা হয়েছে, সদস্যদের বিরুদ্ধে মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগ তদন্তের ক্ষমতা জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের ওপর ন্যস্ত করা যেতে পারে। সংস্থার বিরুদ্ধে মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগ উঠলে প্রধান যেন তদন্তের নির্দেশ দিতে পারেন, সে জন্য মানবাধিকার সেল রাখার প্রস্তাব করা হয়েছে। ভুক্তভোগী ও সাক্ষী সুরক্ষার জন্য একটি আইন প্রণয়ন করা উচিত, যা জনবান্ধব পুলিশিং নিশ্চিত করবে। জবাবদিহি এবং জনবান্ধব পুলিশ গড়তে র‍্যাবের অতীত কার্যক্রম ও মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগ পর্যালোচনা করে এর প্রয়োজনীয়তা পুনর্মূল্যায়ন জরুরি। জুলাই-আগস্ট অভ্যুত্থানে ছাত্র-জনতাকে হতাহত করার জন্য দোষী পুলিশ সদস্যদের যথাযথ আইনি প্রক্রিয়ায় শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে।

বিনা পরোয়ানায় গ্রেপ্তার ও হেফাজত প্রসঙ্গে বলা হয়েছে, এ সংক্রান্ত আপিল বিভাগের রায় পুনর্বিবেচনার জন্য রাষ্ট্রপক্ষের আবেদন দ্রুত নিষ্পত্তির উদ্যোগ নিতে হবে। সংবিধান অনুযায়ী সুপ্রিম কোর্টের রায়ের বাধ্যতামূলক কার্যকরিতা রয়েছে। তার পরও সংশ্লিষ্ট নির্দেশনাগুলো বিধিবদ্ধ করতে আপিল বিভাগের রায়ের আলোকে ফৌজদারি কার্যবিধিসহ সংশ্লিষ্ট আইন ও বিধি-প্রবিধান সংশোধন করা যেতে পারে।
‘মিডিয়া ট্রায়াল’ বিষয়ে বলা হয়েছে, বিচার প্রক্রিয়ায় সাক্ষ্য-প্রমাণের ভিত্তিতে দোষী সাব্যস্ত না হওয়া পর্যন্ত গণমাধ্যমের সামনে কাউকে অপরাধী হিসেবে উপস্থাপন করা যাবে না।

মাত্রাতিরিক্ত বল প্রয়োগ নিয়ে বলা হয়েছে, জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা বাহিনীর নীতিমালা অনুসরণ করে পাঁচ ধাপে বল প্রয়োগের পরিকল্পনা করা হয়েছে। চার ধাপে সব কৌশল প্রয়োগ করার পরও সংঘবদ্ধ জনতা ছত্রভঙ্গ না হয়ে মৃত্যু ঘটানোর মতো আক্রমণ, ব্যাপক জ্বালাও-পোড়াও করলে পঞ্চম ধাপে যেতে হবে। এ ক্ষেত্রে পিআরবি ও জাতিসংঘ মানদণ্ড অনুযায়ী দলগত আগ্নেয়াস্ত্র ব্যবহারের কথা বলা হয়েছে। যথাযথ কর্তৃপক্ষের অনুমতি নিয়ে দক্ষ শুটার দিয়ে নির্দিষ্ট লক্ষে গুলি ছুড়ে আক্রমণকারীকে প্রতিহত, এমনকি মৃত্যু পর্যন্ত ঘটানো যেতে পারে। তবে কখনোই প্রয়োজনের অতিরিক্ত সশস্ত্র শক্তি প্রয়োগ করা যাবে না।

সুপারিশে আরও বলা হয়েছে, শক্তি প্রয়োগের সব ঘটনা যথাযথ কর্তৃপক্ষকে রিপোর্ট করতে হবে এবং তা ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের যাচাই ও অনুসন্ধান করতে হবে। ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ যথাযথ আইনগত ব্যবস্থা নিতে ব্যর্থ হলে তাকে দায়দায়িত্ব বহন করতে হবে। ঊর্ধ্বতনের অবৈধ আদেশকে শক্তি প্রয়োগের আইনসম্মত বৈধতা হিসেবে ব্যবহার করা যাবে না।

ক্ষমতাকেন্দ্রিক থেকে জনকেন্দ্রিক পুলিশিং ব্যবস্থা গড়ে তোলার ক্ষেত্রে এক বছরের মধ্যে স্বল্প, মধ্য ও দীর্ঘ মেয়াদে বাস্তবায়নযোগ্য সুপারিশ করা হয়েছে। অবিলম্বে বাস্তবায়নযোগ্য সুপারিশে বলা হয়েছে– জনগণ ও পুলিশের মধ্যে আস্থা পুনর্গঠনে স্থানীয় থানার উদ্যোগে নিয়মিত নাগরিক-পুলিশ সংলাপ একটি কার্যকর পদ্ধতি হতে পারে। প্রতিটি এলাকায় নাগরিক নিরাপত্তা কমিটি গঠনে সদরদপ্তর থেকে গত ১০ আগস্ট একটি নির্দেশনা দেওয়া হয়। নির্দেশনাটি পুনর্মূল্যায়ন করে কমিটি গঠনের ব্যাপারে বিবেচনা করা যেতে পারে। মধ্যম সময়ে বাস্তবায়নযোগ্য সুপারিশে বলা হয়েছে, পাঠ্যক্রমে এমন মডিউল অন্তর্ভুক্ত করা উচিত, যেখানে নাগরিক অধিকার, দায়িত্ব ও পুলিশের ভূমিকা সম্পর্কে শিক্ষার্থীরা জানতে পারবে। নাগরিকদের সচেতনতা ও সক্ষমতা বাড়াতে সংক্ষিপ্ত সার্টিফিকেট কোর্সের উদ্যোগ কার্যকর হতে পারে। পুলিশের একটি আলাদা ও সুসংগঠিত জনসংযোগ কৌশল থাকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। সেবা সম্পর্কে জনগণকে সচেতন করার পাশাপাশি পুলিশের সঙ্গে জনগণের সম্পর্ক উন্নত করতে সহায়তা করবে।

প্রতিবেদনে স্বেচ্ছাসেবী পুলিশ গঠনের ধারণাপত্র উপস্থাপন করা হয়েছে। এ ক্ষেত্রে স্কুল-কলেজের ১৩ থেকে ২৫ বছর বয়সী শিক্ষার্থীদের পুলিশিং কার্যক্রমে সম্পৃক্ত করার মাধ্যমে সংশ্লিষ্ট এলাকার আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ এবং নিরাপদ দেশ বিনির্মাণের কথা বলা হয়েছে।

আটক, গ্রেপ্তার, তল্লাশি ও জিজ্ঞাসাবাদে স্বচ্ছতা প্রসঙ্গে বলা হয়েছে, পুলিশের কার্যক্রমে এই ক্ষেত্রগুলোতে অস্পষ্টতা বা হয়রানির সুযোগ সৃষ্টি হতে পারে, যা জনমনে আস্থা নষ্ট করে। তাই এসব প্রক্রিয়ায় স্বচ্ছতা এবং নিরপেক্ষতা নিশ্চিত করতে প্রাসঙ্গিক নিয়ম ও নীতিমালা অনুসরণ করা জরুরি। সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশনা বাস্তবায়ন করতে হবে। থানায় স্বচ্ছ কাচের জিজ্ঞাসাবাদ কক্ষ স্থাপন করতে হবে। নারী পুলিশের উপস্থিতিতে নারী আসামির জিজ্ঞাসাবাদ বাধ্যতামূলক করতে হবে। অভিযানের সময় বডি-অন ক্যামেরা ও জিপিএস ব্যবহার নিশ্চিত করতে হবে। রাতে গৃহ তল্লাশিতে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট বা স্থানীয় প্রতিনিধি থাকতে হবে। মিথ্যা মামলায় জড়ানো পুলিশ কর্মকর্তাদের শাস্তির ব্যবস্থা করতে হবে।

স্বাধীনতা ও জবাবদিহি নিয়ে বলা হয়েছে, স্বচ্ছতা এবং নিরপেক্ষতা নিশ্চিত করতে একটি শক্তিশালী আইনি কাঠামো তৈরি করা হবে। পাশাপাশি সুষ্ঠু তদারকি ব্যবস্থা গড়ে তোলা হবে, যাতে কোনো ধরনের অপব্যবহার বা দুর্নীতির সুযোগ না থাকে। একটি স্বাধীন পুলিশ কমিশন গঠন করতে হবে এবং এর কার্যক্রম যাতে সংবিধান ও আইন অনুযায়ী পরিচালিত হয়, তা নিশ্চিত করতে হবে।

থানায় মামলা, তদন্ত ও ভেরিফিকেশনের সহজীকরণ বিষয়ে বলা হয়েছে, জিডি (সাধারণ ডায়েরি) নেওয়া বাধ্যতামূলক করতে হবে। মামলার এফআইআর (প্রাথমিক তথ্য বিবরণী) নিতে গড়িমসি করলে কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে হবে। জাতীয় পরিচয়পত্রধারীর ভেরিফিকেশন সহজ করতে হবে এবং রাজনৈতিক মতাদর্শ যাচাই বন্ধ করতে হবে।

যুগোপযোগী আইন ও প্রবিধানমালা বিষয়ে বলা হয়, সময়ের সঙ্গে পরিবর্তিত সমাজ, প্রযুক্তি এবং আন্তর্জাতিক পরিস্থিতির সঙ্গে সংগতি রেখে আইন ও প্রবিধানগুলো সংশোধন ও উন্নয়ন করা জরুরি। ১৮৬১ সালের ঔপনিবেশিক পুলিশ আইন সংস্কার করতে হবে। ১৮৯৮ সালের ফৌজদারি কার্যবিধিতে মানবাধিকার সুরক্ষায় সংশোধনী আনতে হবে। ১৯৪৩ সালের পুলিশ প্রবিধানমালার প্রয়োজনীয় পরিবর্তন করতে হবে।

দুর্নীতি প্রতিরোধ ও প্রতিকারে বলা হয়, জনগণের আস্থা ও বিশ্বাস স্থাপন করতে হলে দুর্নীতি বন্ধ করতে হবে। মধ্য মেয়াদে পুলিশের আচরণ ও কর্মকাণ্ডে স্বচ্ছতা নিশ্চিত করতে নিয়মিত প্রশিক্ষণ, নজরদারি এবং কার্যকর অভিযোগ ব্যবস্থাপনা চালু করা প্রয়োজন। থানায় সর্বদলীয় পর্যবেক্ষণ কমিটি গঠন করতে হবে। দুর্নীতি তদন্তের জন্য বিশেষ টাস্কফোর্স গঠন করতে হবে এবং পুরস্কার (বিপিএম/পিপিএম) প্রাপ্তির মানদণ্ড নির্ধারণে স্বচ্ছতা আনতে হবে।

বাহিনীর ভেতরের দুর্নীতি বন্ধে কমিশনের সুপারিশমালায় বলা হয়, দুর্নীতির বিরুদ্ধে নিরপেক্ষ তদন্ত, অভিযোগের দ্রুত নিষ্পত্তি এবং সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে কার্যকর শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া জরুরি। নিয়োগ ও পদোন্নতিতে স্বচ্ছতা নিশ্চিত করতে হবে, বদলি ও পদোন্নতিতে রাজনৈতিক ও আর্থিক প্রভাব খতিয়ে দেখতে হবে, থানার জরুরি খাতগুলোতে অর্থ বরাদ্দ বাড়াতে হবে এবং থানায় কোনো ধরনের মধ্যস্থতা নিষিদ্ধ করতে হবে।

বাহিনীকে আন্তর্জাতিক মানে করে তুলতে প্রশিক্ষণ ও সক্ষমতা বাড়ানোর ব্যাপারে জোর দেওয়া হয়েছে। সদস্যদের আইনি জ্ঞান, মানবাধিকার সংক্রান্ত দক্ষতা এবং প্রযুক্তিগত সক্ষমতা বাড়ানোর জন্য নিয়মিত প্রশিক্ষণ আয়োজন প্রয়োজন। বিশেষ করে সাইবার অপরাধ, ফরেনসিক তদন্ত এবং আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহারে দক্ষতা অর্জন করা জরুরি। 

ভৌগোলিক অবস্থানভেদে পুলিশিং ব্যবস্থা নিয়ে প্রতিবেদনে বলা হয়, শহর এবং গ্রামীণ এলাকাগুলোর নির্দিষ্ট চাহিদা ও পরিস্থিতি অনুযায়ী আলাদা ব্যবস্থা নেওয়া জরুরি। শহরাঞ্চলে ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা ও সাইবার অপরাধ নিয়ন্ত্রণে বিশেষ গুরুত্ব দিতে হবে, আর গ্রামীণ এলাকায় অপরাধ প্রতিরোধ এবং কমিউনিটি পুলিশিং কার্যক্রমে জোর দেওয়া প্রয়োজন। দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনায় পুলিশিং পদ্ধতিগুলোর আধুনিকীকরণ ও দক্ষতা বৃদ্ধির জন্য গবেষণার ওপর বিশেষ গুরুত্ব দিতে হবে। সেন্টার ফর পুলিশ রিসার্চ অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট (সিপিআরডি) গঠন করতে হবে। বাহিনীতে নারী, শিশু এবং জেন্ডার সংবেদনশীলতার বিষয়ে প্রশিক্ষণ ও সচেতনতা বৃদ্ধি করাও অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। শিশু আইন ২০১৩-এর পূর্ণাঙ্গ বাস্তবায়ন নিশ্চিত করতে হবে এবং নারী ও শিশুদের বিরুদ্ধে অপরাধ প্রতিরোধে বিশেষ ইউনিট গঠন করতে হবে।

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: ন শ চ ত করত গঠন করত ব যবস থ ক র যকর ব যবহ র র জন য ধ করত অপর ধ ন করত তদন ত ক ষমত

এছাড়াও পড়ুন:

চট্টগ্রাম আইনজীবী সমিতির নির্বাচনে বিনা ভোটে জয়ী হচ্ছেন সবাই

চট্টগ্রাম জেলা আইনজীবী সমিতির নির্বাচনে সভাপতি- সাধারণ সম্পাদকসহ ২১টি পদে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হতে যাচ্ছেন বিএনপি-জামায়াত সমর্থিত প্রার্থীরা। আগামী ১৬ এপ্রিল সমিতির নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা থাকলেও প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী না থাকায় যারা মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন তাদের আনুষ্ঠানিকভাবে বিজয়ী ঘোষণার প্রক্রিয়া চলছে। 

আওয়ামী সমর্থিত প্রার্থীদের অভিযোগ, নির্বাচনে অংশ নিতে তারা ফরম নিতে পারেননি। ফরম নিতে বাধার সম্মুখীন হয়েছেন বলেও জানান তারা।

গতকাল শুক্রবার (১১ এপ্রিল) ছিল চট্টগ্রাম জেলা আইনজীবী সমিতির নির্বাচনের মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার শেষ দিন। এই দিন সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকসহ সবগুলো পদে একজন করে প্রার্থী মনোনয়নপত্র জমা দেন। ফলে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী পাওয়া যায়নি।

আরো পড়ুন:

নির্বাচনী প্রচারে পোস্টার না রাখার কথা ভাবছে ইসি

বাপ ডাইক্কা নির্বাচন দেওন লাগব, বললেন বিএনপির ফজলুর রহমান

মুখ্য নির্বাচনী কর্মকর্তা অ্যাডভোকেট তারিক আহমদ জানান, ২১টি পদের জন্য ২১ জন প্রার্থী মনোনয়নপত্র জমা দেন। যাচাই-বাছাইয়ে সবগুলোই উৎরে গেছে। প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী না থাকায় সবাইকে বিজয়ী ঘোষণা করা হবে।

মনোননয়ন জমা দেওয়া ২১টি পদের মধ্যে ১৪টি পদে বিএনপি সমর্থিত প্রার্থীরা হলেন- সভাপতি আবদুস সাত্তার, সাধারণ সম্পাদক হাসান আলী চৌধুরী, জ্যেষ্ঠ সহ-সভাপতি কাজী মো. সিরু, অর্থ সম্পাদক আনোয়ার হোসেন, পাঠাগার সম্পাদক তৌহিদুল ইসলাম, সাংস্কৃতিক সম্পাদক আশরাফী বিনতে মোতালেব, ক্রীড়া সম্পাদক মঞ্জুর হোসেন এবং সদস্য আহসান উল্লাহ, আসমা খানম, বিবি ফাতেমা, মেজবাহ উল আলম, রায়হানুল ওয়াজেদ চৌধুরী, রাহিলা গুলশান ও সাজ্জাদ কামরুল হোসেন।

সাতটি পদে জামায়াত সমর্থিত প্রার্থীরা হলেন- সহ-সভাপতি আলমগীর মোহাম্মদ ইউনুস, সহ-সম্পাদক ফজলুল বারী, তথ্য ও প্রযুক্তি সম্পাদক আবদুল জব্বার এবং সদস্য শাহেদ হোসেন, হেলাল উদ্দিন, রোবায়তুল করিম ও মোহাম্মদ মোরশেদ।

নির্বাচনে আওয়ামী লীগ সমর্থিত সভাপতি প্রার্থী আইনজীবী মো. আবদুর রশীদ লোকমান বলেন, “নির্বাচনে অংশ নিতে আমরা ফরম নিতে পারিনি। দুপুর ও বিকেলে আমরা দুই দফায় সমিতির লাইব্রেরি থেকে মনোনয়ন ফরম কিনতে গিয়ে বাধার শিকার হয়েছি।” 

বিএনপি-জামায়াতপন্থী আইনজীবী ঐক্য পরিষদের সভাপতি প্রার্থী অ্যাডভোকেট আবদুস সাত্তার বলেন, “আমরা ২১ জন ফরম নিয়েছি। অন্যরা ফরম না নিলে আমাদের তো কিছু করার নেই। তাদের সৎ সাহস নেই। ফ্যাসিবাদবিরোধী আন্দোলনের সময় যারা ছাত্র-জনতার ওপর লাঠি নিয়ে হামলা করেছিল, তারা নানা অপপ্রচার চালাচ্ছে।”

ঢাকা/রেজাউল/মাসুদ

সম্পর্কিত নিবন্ধ