ঢাবির ভর্তি পরীক্ষায় ৪টি প্রশ্ন দু’বার
Published: 9th, February 2025 GMT
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ‘গ’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষার কিছু প্রশ্নপত্রে এলোমেলো অবস্থা দেখা গেছে। একই সেটের বহুনির্বাচনী অভীক্ষায় (এমসিকিউ) প্রশ্নের ক্রম ভেঙেছে, আবার চারটি প্রশ্ন দুইবার পুনরাবৃত্তি হয়েছে। তবে কর্তৃপক্ষ বলছে, এটি হিউম্যান এরর। খুবই অল্পসংখ্যক এমন প্রশ্নে হয়েছে। এগুলো শনাক্তকরণ চলছে। গতকাল শনিবার পরীক্ষা শেষে কিছু প্রশ্নপত্রে এমন ভুল নজরে আসে।
এবার ‘গ’ ইউনিটের পরীক্ষার প্রশ্নপত্রের দুটি সেট (সেট ‘এ’ ও সেট ‘বি’) পরীক্ষার্থীদের সরবরাহ করা হয়। প্রশ্নপত্রটি মোট সাত পাতার। একই সেটের প্রশ্নপত্রে দুই রকম ক্রম দেখা গেছে। সেট ‘এ’র কিছু প্রশ্নপত্রে সেট ‘বি’র ক্রম এবং সেট ‘বি’র কিছু প্রশ্নপত্রে সেট ‘এ’র ক্রম অনুযায়ী প্রশ্ন ছাপা হয়েছে। এতে চারটি প্রশ্ন দুইবার পুনরাবৃত্তি হয়েছে।
ভর্তি পরীক্ষার এমসিকিউ অংশের ওএমআর কম্পিউটারের মাধ্যমে স্ক্যান করে মূল্যায়ন করা হয়।
কম্পিউটারকে একটি সেটের জন্য একটি উত্তরপত্র ঠিক করে দেওয়া হয়। সে অনুযায়ী কম্পিউটার নম্বর ঠিক করে। তবে একই সেটের প্রশ্নে এমসিকিউর ক্রমধারা ঠিক না থাকলে কীভাবে সেগুলো মূল্যায়িত হবে, তা নিয়ে শিক্ষার্থীদের উদ্বেগ তৈরি হয়েছে।
‘গ’ ইউনিট ভর্তি পরীক্ষার প্রধান সমন্বয়ক ও ব্যবসায় শিক্ষা অনুষদের ডিন মাহমুদ ওসমান ইমাম সমকালকে বলেন, এটি একটি হিউম্যান এরর। কিছু প্রশ্নপত্রে ‘এ’ সেটের দুই নম্বর পৃষ্ঠা ‘বি’ সেটে ছাপা হয়েছে, আবার ‘বি’ সেটেরটা ‘এ’ সেটে ছাপা হয়েছে। ফলে সেটে প্রশ্নের ক্রম ভেঙেছে। আবার কয়েকটা প্রশ্নের পুনরাবৃত্তি হয়েছে। তবে এগুলো অল্পসংখ্যক প্রশ্নপত্রে ঘটেছে। আমরা সেগুলো শনাক্ত করছি। কারও প্রতি বৈষম্য করা হবে না।
তিনি বলেন, আমরা ইতোমধ্যে যেসব অভিযোগ পেয়েছি, কোন হলে, কোন কেন্দ্রে, সেই হলগুলোয় আলাদা রিড করাচ্ছি; সেই প্যাটার্ন দিয়ে নিচ্ছি। ওই প্যাটার্ন দিয়ে ফল তৈরি করা হবে।
.উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: পর ক ষ র
এছাড়াও পড়ুন:
ছাত্রদল–যুবদলের নেতাদের বিরুদ্ধে ইউপি চেয়ারম্যানকে মারধর ও গাড়ি পোড়ানোর অভিযোগ
দিনাজপুরের কাহারোল উপজেলায় এক ইউপি চেয়ারম্যানকে মারধর করে মোটরসাইকেল পুড়িয়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে উপজেলা ছাত্রদল ও যুবদলের কয়েকজন নেতা–কর্মীর বিরুদ্ধে। আজ বৃহস্পতিবার বেলা দেড়টার দিকে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার (ইউএনও) কার্যালয়ের সামনে এ ঘটনা ঘটে।
ওই ইউপি চেয়ারম্যানের নাম আনোয়ার হোসেন। তিনি উপজেলার সুন্দরপুর ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান ও আওয়ামী লীগের সমর্থক ছিলেন। তবে ইউপি নির্বাচনে তিনি বিদ্রোহী প্রার্থী হয়ে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছিলেন। জুলাই অভ্যুত্থানের পর একটি মামলায় সাত দিন কারাগারেও ছিলেন। এরপর জামিনে বেরিয়ে ইউনিয়ন পরিষদের কার্যক্রম চালাচ্ছিলেন।
প্রত্যক্ষদর্শী ও স্থানীয় কয়েকজন বাসিন্দার সূত্রে জানা যায়, আজ দুপুর ১২টার দিকে ইউএনও কার্যালয়ে ইউপি চেয়ারম্যানদের নিয়ে একটি বৈঠক শুরু হয়। বৈঠক শেষ হওয়ার একটু আগেই বাইরে বের হন আনোয়ার হোসেন। উপজেলা চত্বরে আগে থেকেই অপেক্ষায় ছিলেন যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক ইমরান সর্দার, ছাত্রদল নেতা মেজবাহুল, সাব্বির হোসেনসহ আরও কয়েকজন। তাঁদের হাতে মারধরের শিকার হন আনোয়ার হোসেন। একই সঙ্গে তাঁর মোটরসাইকেলটিও সেখানে পুড়িয়ে দেওয়া হয়।
দিনাজপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আনোয়ার হোসেন বলেন, ‘এর আগেও আমার ওপরে হামলা করে ১৫ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করেছিল ইমরান ও মেজবাহ। ৫ আগস্টের পর থেকে রাস্তাঘাটে বিভিন্ন সময় আটকে আমাকে হয়রানি করে আসছে তারা। তবে আমি স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়ে নির্বাচনে জয় পেয়েছিলাম।’
স্থানীয় বাসিন্দা ও বিএনপি নেতা–কর্মীদের সূত্রে জানা গেছে, কয়েক দিন আগে বালুমহাল দখল নিয়ে আনোয়ার হোসেনের অনুসারীদের সঙ্গে সাব্বিরের দ্বন্দ্ব হয়। এই হামলার সঙ্গে ওই বিরোধের জের থাকতে পারে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে জেলা যুবদলের আহ্বায়ক মাসুদুল ইসলাম বলেন, দলের কেউ যদি এ ধরনের ঘটনার সঙ্গে যুক্ত থাকেন এবং তদন্তে তা প্রমাণিত হয়, তাহলে তাঁদের বিরুদ্ধে দলীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এ বিষয়ে লিখিত অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের আশ্বাস দিয়েছেন কাহারোল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রুহুল আমিন।