বরগুনার আমতলীর দূরপাল্লার ইউনিক বাস কাউন্টারের পাল্টাপাল্টি দখল নিয়ে বিএনপির দুই পক্ষের মধ্যে দফায় দফায় সংঘর্ষ হয়েছে। এতে আহত হয়েছেন ১১ জন। শনিবার দুপুরে আমতলী পৌরসভার বটতলায় এ সংঘর্ষ হয়। সংঘর্ষের পর বটতলায় অবস্থিত ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানের পরিবহনের সব কাউন্টার চার ঘণ্টা বন্ধ ছিল। পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করে। আহতদের পটুয়াখালী ও বরিশাল নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, দুপুর ১২টার দিকে পৌরসভার বটতলায় পরিবহন ইউনিক কাউন্টারের দখল নিয়ে যুবদলের আহ্বায়ক কমিটির সদস্য ও সাবেক কাউন্সিলর সামসুল হক চৌকিদার এবং পৌর বিএনপি ও যুবদলের আহ্বায়ক কবির ফকিরের অনুসারীদের মধ্যে সংঘর্ষ বাধে। এ সময় উভয় পক্ষ রামদা ও লাঠিসোটা ব্যবহার করে। সংঘর্ষে বটতলা থেকে নতুন বাজার চৌরাস্তা পর্যন্ত পুরো এলাকা রণক্ষেত্রে পরিণত হয়। আতঙ্কিত লোকজন দৌড়ে পালিয়ে যান। দোকানপাট বন্ধ করে নিরাপদে চলে যান ব্যবসায়ীরা। বাঁধঘাটে মোশারেফ হোসেন নামের একজনের ওপর ধানের আড়তে হামলা হয়েছে। সংঘর্ষের পর আমতলী থেকে ছেড়ে যাওয়া দূরপাল্লার শতাধিক বাস কাউন্টার বন্ধ হয়ে যায়।

সংঘর্ষে আহত ব্যক্তিরা হলেন– ফরহাদ ফকির (৩২), রাহাত ফকির (২৮), মিজানুর রহমান মোল্লা (৪৮), সাইফুল ইসলাম (৩৮), বায়েজিদ (৩০), আলী হোসেন (৩২), মো.

ইছা (২৪), লিমন মৃধা (২৪), সামসুল হক চৌকিদার (৪৬), আলামিন ফকির (৩৪) ও বেল্লাল (৩১)।

আহতদের প্রথমে আমতলী হাসপাতালে নিয়ে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়। পরে তাদের মধ্যে আটজনকে বরিশাল শের-ই-বাংলা চিকিৎসা মহাবিদ্যালয় হাসপাতাল এবং তিনজনকে পটুয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।

গুরুতর আহত মিজানুর রহমান মোল্লার ভাষ্য, তিনি বিআরটিসি কাউন্টারের সামনে দাঁড়ানো ছিলেন। এ সময় সামসুল হক চৌকিদারের লোকজন এসে রামদা দিয়ে তাঁকে কোপানো শুরু করে।

এ বিষয়ে সামসুল হক চৌকিদার বলেন, ইউনিক কাউন্টার তাঁর। এ নিয়ে দুই দফা সালিশ বৈঠকও হয়েছে। তারপরও শুক্রবার রাতে কবির ফকিরের লোকজন কাউন্টারের তালা ভেঙে ল্যাপটপ ও টিকিট নিয়ে যায়। আজ (শনিবার) দুপুরে তারা আবার কাউন্টার দখলে গেলে তাদের (সামসুল হক চৌকিদার পক্ষ) লোকজন বাধা দেয় এবং তাদের তিনজনকে কুপিয়ে জখম করে। রামদার কোপে তাঁরও ডান হাতের একটি আঙুল কেটে গেছে।
এসব দাবি ও অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করে কবির ফকির বলেন, ইউনিক কাউন্টার তাদের (কবির ফকির) পক্ষের লোকজনের। তাদের লোকজন কাউন্টার চালাচ্ছিলেন। দুপুরে সামসুল হক চৌকিদার দুই থেকে আড়াইশ ভাড়া করা সন্ত্রাসী বাহিনী নিয়ে ইউনিকসহ বিআরটিসি কাউন্টার দখল নিতে গেলে তাদের লোকজন বাধা দেয়।

আমতলী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আরিফুল ইসলাম জানান, বর্তমানে পরিস্থিতি শান্ত। মামলা হলে তদন্তসাপেক্ষে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: বরগ ন ব এনপ স ঘর ষ র ল কজন স ঘর ষ র দখল দখল ন ইউন ক

এছাড়াও পড়ুন:

সরকারবিরোধী অপপ্রচারের লিফলেটসহ তিনজন আটক: পুলিশ

রাজধানীর আরামবাগ এলাকা থেকে সরকারবিরোধী অপপ্রচারের লিফলেটসহ তিনজনকে আটক করেছে ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) মতিঝিল থানা। আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে মতিঝিলের আরামবাগ এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাঁদের আটক করা হয়।

আটক ব্যক্তিরা হলেন মো. নজরুল ইসলাম (৪২), মো. জাহাঙ্গীর বিশ্বাস (৩২) ও শিপন (২০)। তাঁদের বিরুদ্ধে মতিঝিল থানায় বিশেষ ক্ষমতা আইনে মামলা প্রক্রিয়াধীন বলে জানিয়েছে ডিএমপি।

মতিঝিল থানা সূত্রে জানা যায়, বৃহস্পতিবার দুপুরে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে আরামবাগ পুরাতন পোস্ট অফিস গলির সামনে একটি ভবনের নিচতলায় ‘উদয়ন প্রিন্টার্স’ নামের একটি দোকানে বিশেষ অভিযান চালায় মতিঝিল থানার একটি দল। অভিযানে সরকারবিরোধী অপপ্রচারের বেশ কয়েকটি লিফলেট এবং উক্ত লিফলেট তৈরির সিলভার রঙের টিনের চারটি প্লেট (ছাঁচ) উদ্ধার করা হয়। এ সময় ওই লিফলেটগুলো প্রিন্টিং ও প্রচারের সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে তিনজনকে আটক করা হয়।

ডিএমপির উপকমিশনার (মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেশনস বিভাগ) মুহাম্মদ তালেবুর রহমান জানান, লিফলেটগুলোতে সরকার ও রাষ্ট্রবিরোধী বিভিন্ন অপপ্রচার এবং আওয়ামী লীগের বিভিন্ন কর্মসূচি সফল করার আহ্বানসংবলিত লেখা রয়েছে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • আমতলীতে বাস কাউন্টার দখল নিয়ে বিএনপির দুই পক্ষের সংঘর্ষ, আহত ১৭
  • বান্দরবানে অনুপ্রবেশকালে ৩৩ রোহিঙ্গা আটক
  • পাচারের হাত থেকে উদ্ধার ১১ মুখপোড়া হনুমান এখন সাফারি পার্কে
  • সরকারবিরোধী অপপ্রচারের লিফলেটসহ তিনজন আটক: পুলিশ